স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় জাদুঘর ২০ ফেব্রæয়ারি বিকাল ৩টায় কবি সুফিয়া কামাল মিলনাতয়নে বাংলার যাত্রা শিল্পের ওপর এক সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পশ্চিম বঙ্গের গবেষক, ‘বহুরূপী নাট্যপত্র’ ও যাত্রা আকাদেমী পত্রিকার সম্পাদক ড. প্রভাত কুমার দাস। আলোচনায় অংশ নেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত¡ বিভাগের অধ্যাপক ড. আফসার আহমদ এবং ফোকলোর গবেষক সাইমন জাকারিয়া। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি এম. আজিজুর রহমান। স্বাগত ভাষণ দেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী। তিনি বলেন, যাত্রাশিল্প বাঙালির সংস্কৃতি বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বাঙালির জীবণাচরণ, প্রেম-বিরহ-সংগ্রাম, বীর ও বীরত্বের গৌরব গাথা যাত্রাশিল্পীরা কুশলতায় দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করেন। যাত্রাশিল্পের অতীত-বর্তমান ভবিষ্যতের বহুমাত্রিক দিক সম্পর্কিত গবেষণা এ শিল্পের পৃষ্ঠপোষকতায় উৎসাহিত করবে। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ইতিহাস, ঐতিহ্যের স্মারক সংগ্রহ ও প্রদর্শনের পাশাপাশি ‘যাত্রাশিল্পে’র ইতিহাস বিষয়ে সেমিনার আয়োজন করেছে। ড. প্রভাত কুমার দাস বলেন, ইতিমধ্যে নতুন শতকের প্রথম দেড় দশককাল অতিক্রান্ত হওয়ার পরও এমন কোন সম্ভাবনা দেখা দেয়নি যার হাত ধরে যাত্রার অধোগতি রোধ করা সম্ভব হবে। আজ সে সত্যিকার সংকটে দীর্ণ যাত্রা জগৎ- ব্যবসায়িক অসাফল্যে মুখ থুবড়ে পড়েছে, এটা একটা অচিকিৎসা ব্যাধির প্রকোপ সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। কিন্তু পরিত্রাণের প্রকৃত উপায়ই বা কী হতে পারে সে বিষয়ে কোনো সুচিন্তিত পদক্ষেপ বা দিশা দেখা গিয়েছে এমন আশাও আমাদের সামনে নেই। তবু যাত্রা শিল্পের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান যাত্রা শিল্পের বিকাশে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আশা করা যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন