শেখ মো. কামাল উদ্দিন
পাক ভারত উপমহাদেশ যখন ইংরেজগণ কর্তৃক শাসিত, মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্ম ও সামাজিক প্রতিপত্তি যখন বিলীন প্রায়, সে সময়ে তৎকালীন বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার বর্তমানে ফেনী জেলার দাগনভূঞা থানায় দুধমুখা নামক গ্রামে যাকে আকবর ওমরপুরও বলা হতো, সেই শ্যামল বাংলার নিভৃত পল্লীতে জন্মগ্রহণ করেন মরহুম পীর কেবলা হযরত মাওলানা শাহ্ সুফি মোহাম্মদ ইছহাক ছাহেব (র.)। তার জন্ম তারিখ সঠিকভাবে জানা যায়নি। তার পিতার নাম হাজী মহব্বত আলী। তিনি সুফি ও সাধক প্রকৃতির লোক ছিলেন। হযরত মাওলানা শাহ ইছহাক সাহেব (র.)-এর শিশুকাল দুধমুখা গ্রামেই কাটে এবং এখানকার মক্তবে কিছু শিক্ষা গ্রহণ করেন। কিশোরকালে তিনি সোনাগাজীর এক মাদ্রাসায় পড়ালেখা করেন। কথিত আছে যে, শিক্ষক একদিন তাকে কোনো বিষয়ে অধিক বেত্রাঘাত করেছিলেন। যার ফলে রাতে তার জ্বর এসেছিল। কিন্তু তবুও তিনি শিক্ষকের প্রতি বিরাগ হননি বা মাদ্রাসা ত্যাগ করেননি। এ অবস্থায় রাতে ওই শিক্ষক নিজেই এসে তার শুশ্রƒষা করেছিলেন এবং মহান আল্লাহপাকের দরগাহে ছাত্রের জন্য দোয়া করেছিলেন। যতটুকু জানা যায়, এই মাদ্রাসায় তিনি মোটামুটি মাধ্যমিক স্তরে থাকা অবস্থায় তার মধ্যে এক বিশাল চিন্তার উদ্রেগ হলো যে, তিনি পবিত্র মক্কা মোয়াজ্জমায় যাবেন এবং তথায় প্রকৃত শিক্ষা গ্রহণ করবেন। এ কারণে তিনি অল্প কিছু টাকা সংগ্রহ করে পবিত্র মক্কা শরীফের উদ্দেশ্যে একদিন চট্টগ্রাম বন্দরে গিয়ে ওঠেন। এখানে এক ঘটনা ঘটেছিল, যা তার মক্কায় যেতে সহযোগিতা করেছিল। তার ঘনিষ্ঠ মাওলানা নুরুজ্জামান সাহেব বলেন যে, তিনি যে টাকা সংগ্রহ করেছিলেন তা জাহাজের ভাড়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না। এমতাবস্থায় তিনি চট্টগ্রাম অপেক্ষা করেছিলেন। হঠাৎ একদিন চট্টগ্রাম জেদ্দার জাহাজ ভাড়া কমে গিয়েছিল, যাতে তিনি জেদ্দার জন্য একটা টিকিট কেনার পরও কিছু টাকা তার পথের চলার জন্য রইল। দীর্ঘ পরিক্রমায় তিনি পবিত্র মক্কা মোয়াজ্জমায় গিয়ে পৌঁছে ছিলেন এবং এখানেই কাবা শরীফের পাশে ছৌলাতিয়া নামক তৎকালীন মক্কা শরীফের বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছিলেন। তখন এই মাদ্রাসার পরিচালক ছিলেন হাদিস শাস্ত্রবিদ, তাফসিরে কোরআন বিশারদ, তাফসিরে একলিলের মোছান্নেফ শায়খুদ্দালায়েল হযরত মাওলানা শাহ্্ আবদুল হক মোহাজ্বেরে মক্কী (র.)। তিনি যেমন ছিলেন কিতাবি ইলেমে দক্ষ তেমনি ছিলেন আধ্যাত্মিক শক্তিতে বলীয়ান। এই মহান সাধকের তত্ত্বাবধানেই জ্ঞান অর্জনে শরীয়ত, তরীকত, মারফত ও হাকিকতে পূর্ণতা অর্জন করেছিলেন। দীর্ঘ ১২ বছর মতান্তরে ১৪ বছর মক্কা শরীফের ওই মাদ্রাসায় তিনি একদিকে হাদিস কোরআনের গূঢ় তাত্ত্বিক ইলম অর্জন করে, ওই মাদ্রাসার সর্বোচ্চ সনদপ্রাপ্ত হন এবং আধ্যাত্মিক সাধনায় তারই পীর ও মোর্শেদ হযরত মাওলানা শাহ আবদুল হক মোহাজিরে মাক্কী (র.)-এর প্রকৃত খেদমতের মাধ্যমে অতি উচ্চ আসনপ্রাপ্ত হন। যা তার পীরে কেবলার ভাষায় দালায়েলুল খায়রাত নামক কেতাবের এজাজতনামায় ও সনদে, তাকে “শায়খ মহাম্মদ ইছহাক” বলে সম্বোধন করা হয়। যতটুকু জানা যায়, শিক্ষা-পরবর্তী জীবনও তার মক্কা শরীফে কাটানোর একান্ত বাসনা ছিল, এই হেতু কথিত আছে যে, হজ করার জন্য এই দেশ হতে যখনই কোনো হাজী ছাহেবান গেছেন তাকে খোঁজ করার জন্য তিনি খুব একটা দেখা করতে চাইতেন না। কিন্তু সে সময় তার পিতামাতা জীবিত ছিলেন। একবার এফাজ উদ্দিন প-িত নামীয় তারই গ্রামের এক লোকসহ কয়েকজন লোক হজে যেতে ছিলেন। এ কথা শুনে তার পিতা ইছহাক সাহেব (র.)-কে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য বললে তারা মক্কা শরীফ গিয়ে তার মাদ্রাসা খুঁজে বের করলেন এবং হযরত আবদুল হক মোহাজেরে মাক্কী (র.)-কে সকল কথা বললেন এবং বিশেষ করে তার পিতামাতা জীবিত আছেন এবং তারা তাকে দেশে ফিরতে বলেছেন। এ সকল কথা বলায় শায়খুদ্দালায়েল আবদুল হক মহাজেরে মাক্কী (র.) মাওলানা শাহ ইছহাক সাহেবের দেশে আসার জন্য বুঝালেন এবং খেলাফত খিরকা প্রদান করে বললেন যে, আপনি পূর্ববঙ্গকে হেদায়েত করুন এবং মাতাপিতারও দেখাশুনা করুন।
পীরের নির্দেশ পেয়ে তিনি ইচ্ছা পরিবর্তন করেছিলেন এবং তার সকল কেতাবপত্রাদি ওই সকল হাজী সাহেবানগণকে দিয়ে তিনি বললেন, আপনারা জাহাজে উঠুন আমি আসতেছি। তারা জাহাজে উঠে বহু খোঁজাখুঁজি করলেন কিন্তু তাকে পেলেন না। তারা ভাবতে ছিলেন যে, দেশে এসে তার পিতামাতাকে কী জবাব দিবেন? কিন্তু আল্লাহর মেহেরবানীতে তারা এসে দেখলেন যে, তিনি কয়েকদিন পূর্বেই বাড়ি পৌঁছেছেন। নোয়াখালী এবং পূর্ববাংলার প্রায় অঞ্চলে তার কারামতপূর্ণ জীবনের বহু কিংবদন্তি জনশ্রুতির মাধ্যমে প্রচারিত আছে। দেশের বাড়িতে এসে প্রায় সময়ই মোরাকাবা মোশাহাদা, জিকির আজকার ইত্যাদির মধ্যেই ডুবে থাকতেন। ইতোমধ্যে তিনি জৈনপুরে পীর হযরত মাওলানা শাহ্্ আবদুর রব ছাহেবের (র.) ছোহ্বতে আসেন এবং হযরত মাওলানা শাহ্্ আবদুর রব সাহেব কেবলা তাকে খেলাফত প্রদান করেন ও হেদায়েতের কার্য চালিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। অতঃপর তিনি পূর্ববঙ্গের প্রায় জায়গায় বিশেষ করে হাতিয়া, খ-ল, চরবদু, বৃহত্তর ফেনী নোয়াখালীর অধিকাংশ, ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রামেও তিনি সফর করতেন। তিনি বেশির ভাগ সময় পালকিতেই সফর করতেন। ৪/৫ কক্ষবিশিষ্ট তার একটি বোটও ছিল। এই বোটেই পালকি থাকত। বোটটি নদীতে থাকত। এখান থেকেই পালকিতে করে তিনি যেখানে মাহফিল নির্ধারিত থাকত সেখানে গিয়েই মাহফিল করতেন। মাহফিলের নিকটে পৌঁছলে সকল প্রকারের লোক এসে পীর কেবলাকে তাকবীর ধ্বনি দিতে দিতে এগিয়ে নিয়ে যেত। কোনো কোনো স্থানে তিনি ধর্মীয় বিষয়ে তর্কযুদ্ধেও লিপ্ত হয়েছিলেন বলে কথিত আছে। তবে প্রায় স্থানেই তর্কযুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার পূর্বেই প্রতিপক্ষ করুণভাবে পরাজিত হয়ে যেত। হাতিয়ার এক স্থানে একবার কিছু আলেম মিলাদের এবং কেয়ামের বিপক্ষে তার সহিত “বাহাছ” তর্কযুদ্ধ করার জন্য তারিখ নির্ধারণ করে বড় বড় কেতাব গরুর গাড়িতে করে মাহফিলের মঞ্চে এসে উপস্থিত হলো। তারা কেতাবগুলো মঞ্চের নিচে রেখে নিজেরা বড় বড় চেয়ার নিয়ে বসল এবং একটা চেয়ার খালি রাখেন পীর সাহেব কেবলার জন্য। কিন্তু তিনি মঞ্চে গিয়ে চেয়ারের ওপরে না বসে নিচে বসেছিলেন, এতে তার ভক্ত মুরিদানগণ মনোক্ষুণœ হলেন এবং ওই আলেমগণ নিজেরা প্রফুল্ল হয়ে তিরস্কার করতে লাগল যে, পীর সাহেবের চেয়ারে বসার মতো সাহস নেই। কিন্তু যখন মাহফিলের উদ্যোক্তাগণসহ সকল নিরপেক্ষ বিচারকম-লী, উলামায়ে কেরামগণ জিজ্ঞাসা করলেন যেÑ হজুর আপনার জন্য চেয়ার নির্ধারিত আছে। আপনি এতে না বসে নিচে বসার কারণ কি? পীরে কেবলা তখন একটাই কথা বলেছিলেন যে, “আমি যে কিতাব পড়ে মানুষ হয়েছি ওই সকল কিতাব আমার নিচে থাকবে ও পায়ের কাছে থাকবে এমতাবস্থায় আমি কীভাবে চেয়ারে বসব?” এখানেই সেই দিনের তর্কযুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটেছিল। বিচারকম-লী ও নিরপেক্ষ উলামাগণ সাধারণ জনগণ একই বাক্যে চিৎকার করে উঠেছিল যে, যারা কিতাবের কদর করতে জানে না তারা কখনও আলেম হতে পারে না। ধ্বনি প্রতিধ্বনি উচ্চারিত হতে লাগল যে, দুধমুখার পীর সাহেব জিন্দাবাদ, দুধমুখার পীর সাহেব জিন্দাবাদ। তার সময়ে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে মুসলিম সম্প্রদায় উলামায়ে কেরামগণ সোচ্চার ছিলেন। একবার ছাগলনাইয়া ঈদগাহ ময়দানে এক মাহফিলে তিনিও ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে বক্তৃতা করেছিলেন। যাতে ইংরেজ শাসক শ্রেণি ক্ষিপ্ত হয়ে পীর কেবলাকে কারারুদ্ধ করেছিলেন। অবশ্য জানা যায় যে, তিন দিন পরেই তিনি ছাড়া পান। কিন্তু একটা রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় তাকে আসামি করা হয়। মাওলানা নুরুজ্জামান সাহেব বলেন, ম্যাজিস্ট্রেটের এক বাচ্চা অনেকদিন যাবৎ রোগ শয্যায় শায়িত ছিল। যেদিন পীর কেবলা কোর্টে হাজিরা দেবেন তার পূর্বের দিন ম্যাজিস্ট্রেট স্বপ্নে পীর কেবলাকে দেখেছিলেন যে, তিনি তার বাচ্চাকে দোয়া করতেছেন ও সে বাচ্চা ভালো হয়ে গেছে। পরের দিন যখন পীর সাহেব ভক্তগণ দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে কোর্টে হাজিরা দিতে উঠলেন, ইংরেজ ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাক হয়ে পলকহীন নেত্রে অনেকক্ষণ তাকিয়ে রইলেন। তার চেহারার জ্যোতিতে সে নিজেই ভক্তিতে পীর সাহেবকে কাঠগড়ায় চেয়ার দিতে বললেন। চেয়ার দেওয়া হলো এবং তিনি পীর সাহেবকে অতীব ভক্তি করে চেয়ারে বসতে বললেন। এখানে পীর সাহেব একটাই কথা বললেন যে, “আমি তো আসামি”। আসামি কী করে বিচারকের সামনে চেয়ারে বসবে? তৎক্ষণাৎ ম্যাজিস্ট্রেট সাহেব তার ফাইলপত্র দেখে ওই মামলা হতে তাকে খালাস করে দেন। তিনি “কাওলুল আরেফিন” ও তার পীরের তালিম সম্বলিত, তালিমে হক্কানী নামে উর্দু ভাষায় দুটি কিতাব রচনা করেন। তিনি তার ইন্তেকালের অল্পকাল পূর্বে অর্থাৎ ১৯৩৬ ইংরেজিতে ইছহাকীয়া এতিমখানা নামে একটি এতিমখানা স্থাপন করেন। তার সম্পত্তির প্রায় সম্পূর্ণ অংশই এই এতিমখানায় দান করে দেন। এতিমখানা স্থাপনের পরে এতিমখানার জন্য একটি বিশাল ফান্ড সংগ্রহ করেন ও বিভিন্ন স্থানে জমিন খরিদ করে দিয়ে যান। যাতে পরবর্তীতে এতিমখানা পরিচালনায় পরিচালকগণের সুবিধা হয়। ইহার অল্পকাল পরে ১৯৩৮ ইং সালে তিনি লক্ষ লক্ষ ভক্ত মুরিদানগণ, সন্তানাদি, দেশবাসীকে শোক সাগরে ভাসিয়ে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার জ্যেষ্ঠ পুত্র তার গদিনসিন পীর, হযরত মাওলানা শাহ্্ আবদুল হক াহেবের (র.) ব্যক্তিগত ডায়েরি বইতে পাওয়া যায় যে, ৬৩ বছর বয়সে মহান আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব, মোর্শেদে কামেল হযরত মাওলানা ইছহাক ছাহেব (র.) ১৯ নভেম্বর, ১৯৩৮ ইং মোতাবেক ৩ অগ্রহায়ণ, ২৭ রমজান রোজ শনিবার নিজ দুধমুখার বাড়িতে ইন্তেকাল করে। তার ইন্তেকালের খবর অতি অল্প সময়ের মধ্যেই সমগ্র দেশে ছড়িয়া পড়ে। দূর-দূরান্ত হতে ভক্ত মুরিদান সরকারি অফিসারসহ আপামর জনসাধারণ এক নজর তাকে শেষবারের মতো দেখার জন্য সমবেত হয়। ফেনীর মহকুমা প্রশাসক তৎকালীন মিজানুর রহমান সাহেব উপস্থিত থেকে শৃঙ্খলা বিধান করেন। পরের দিন রবিবার জানাজার নামাজে তারই বড় সাহেবজাদা গদিনসিন পীর কেবলা হযরত মাওলানা শাহ্ আবদুল হক সাহেব (র.) ইমামতি করেন ও হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মানুষের উপস্থিতিতে দাফন কার্য সম্পন্ন করা হয়।
বৈবাহিক জীবন ও সন্তানাদি : তার দুই বিবি সাহেবান ছিলেন। একজনের বাড়ি দুধমুখা গ্রামেই, অন্যজনের বাড়ি বরিশালের ভোলাতে ছিল। দুই বিবির ঘরে তার মোট ৪ (চার) জন ছেলে এবং ৫ (পাঁচ) জন মেয়ে ছিলেন। তার সম্মানিত ছেলেমেয়েগণ স্ব স্ব ক্ষেত্রে বিশেষ মর্যাদার সহিত ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে এলাকায় সম্মানিত ছিলেন। তার সম্মানিত সাহেবজাদাগণের নাম নি¤েœ প্রদত্ত হলো : (১) হযরত মাওলানা শাহ সুফি মোহাম্মদ আবদুল হক সাহেব (র.) গদিনসিন পীর ছাহেব দুধমুখা। (২) মৌঃ আবদুর রব সাহেব, তিনি জনসেবায় আত্মনিয়োগ করেছিলেন, বিশেষ করে ইছহাকীয়া এতিমখানা পুনর্গঠনে সহযোগিতা করেছিলেন। (৩) মাওলানা মোঃ ইয়াকুব সাহেব, তিনি অতীব দরবেশ প্রকৃতির লোক ছিলেন। এই প্রকারে দুনিয়ার প্রতি বিরাগ ছিলেন। ইছহাকীয়া এতিমখানা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন। (৪) পীরজাদা মোঃ সুলতান মাহমুদ ছাহেব। তিনি ছোট বেলা থেকেই বিদেশ করেন। ঢাকা শহরে থেকে জাহাজ স্টিমারের প্রকৌশলী হিসেবে খুবই খ্যাতি অর্জন করেন। পীর ছাহেব কেবলার দুই বিবির মধ্যে একজনের নাম জানা যায় যে, মোসাম্মৎ হাফেজা খাতুন। তিনি অত্যন্ত বিদূষী ছিলেন, ইবাদতের ক্ষেত্রেও তিনি সমসাময়িককালে অনন্য ছিলেন। তার সুলতানুল আজকার জিকির জারী ছিল বলে প্রকাশ আছে। তার সম্মানিত মেয়েগণের নাম নি¤েœ প্রদত্ত হলো। (১) মোসাম্মৎ হালিমা খাতুন, এক অনন্য আবেদা মহিলা ছিলেন। (২) মোসাম্মৎ আবিদা খাতুন, এবাদতের ক্ষেত্রে অদ্বিতীয় ছিলেন, সকল মেয়ের মধ্যে তার আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। (৩) মোসাম্মৎ ছাজিদা খাতুন, তিনিও আল্লাহর এবাদতে দিন রাতের অধিকাংশ সময় অতিবাহিত করেন। তার বাড়িতে ছোট ছোট ছেলেরময়েকে কোরআনের শিক্ষা দিয়ে থাকেন। (৪) মোসাম্মৎ ওমরজান বেগম, তাকে বেগম নামেই সকলে ডাকত, তিনি সাধারণ মানুষের খেদমতের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করতেন। (৫) মোসাম্মৎ রাকিয়া খাতুন, তিনিও আল্লাহর এবাদতের জন্য এলাকায় প্রসিদ্ধ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন