দোভাষ স্যারের ক্লাস চলছে। সবাই চুপ। হঠাৎ দরজা দিয়ে একটুখানি উঁকি দিতেই হই চই। ‘নকিব খান আসছেন; ওই যে দেখুন!’-এক ছাত্রের এমন কথায় ক্লাসরুমের সব চোখ যেন নিমিষে সরে গেলো সামনে থেকে।
সত্যি তাই। জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী হিশেবে সবাই চেনেন নকিব খানকে। কিন্তু অনেকেই জানেন না, তিনি একজন দেশ সেরা কর্পোরেটও। সাপ্লাই চেইন বিষয়ে সুনাম কুড়িয়েছেন বহুকাল থেকে। বর্তমানে নেসলে বাংলাদেশের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স ডিরেক্টর।
চট্টগ্রামের তারুণ্য মুখর বিশ্ববিদ্যালয় ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি (ইডিইউ)। এখানকার ছাত্র-ছাত্রীরা পড়ালেখায় যেমন তুখড়, তেমনি গান-বাজনা কিংবা আড্ডাতেও কম যান না তারা। নকিব খান তারুণ্য প্রিয় মানুষ।
তাই তারুণ্যের টানে সম্প্রতি তিনি ছুটে এসে ছিলেন ইডিইউর প্রবর্তক মোড়ের একাডেমিক ভবনে। যেটুকু সময় ছিলেন, দিয়েছেন আড্ডা। জানিয়ে ছিলেন নিজের বাস্তব-অভিজ্ঞতা, ক্যারিয়ার, সঙ্গীতজীবন ও কর্পোরেট লাইফ নিয়ে মজার মজার সব তথ্য।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এমবিএতে সাপ্লাই চেইন চালু করে এই ইডিইউ। একাডেমিক ডিগ্রি নিলেই শেখার সিলেবাস শেষ হয়ে যায় না। তরুণদের প্রতি আমার পরামর্শ থাকবে, তোমরা চ্যালেঞ্জ নিতে শেখো। নিজে কিছু করে তাক লাগিয়ে দাও।
নকিব খানের শৈশব কেটেছে সাগরপাড়ের শহর চট্টগ্রামে। তার জনপ্রিয় সব গান এখনো ইডিইউর শিক্ষার্থীরা ক্যান্টিনে টেবিল চাপড়িয়ে গেয়ে যান বলে অনেকে জানালেন। ‘ভালো লাগে জোছনা রাতে’ কিংবা ‘হৃদয় কাঁদা মাটি’ এমন সব গান এখনো ইডিইউর তরুণদের মুখে মুখে ফেরে।
সঙ্গীতশিল্পী নকিব খানকে কাছে পেয়ে দারুণ খুশি শিক্ষার্থীরা। এই সময় দলবেধে অনেকে মেতে উঠেন সেলফিতে। পরে ইডিইউর লাইব্রেরি, নতুন স্থায়ী ক্যাম্পাস ও ক্লাস কার্যক্রম ঘুরে দেখেন নকিব।
ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, আমরা একাডেমিক শিক্ষকদের পাশাপাশি কর্পোরেট জগতের সফল ব্যক্তিদের এনে তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা ক্লাস রুমে উপস্থাপন করার চেষ্টা করি। বিশ্ব মানের শিক্ষা নিশ্চিত করতেই এই ধরনের উদ্যোগ আমাদের প্ল্যানিং-এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এতে পাঠ্যসূচির বাইরে কর্মমুখী জ্ঞানের বিষয়ে নানা ধারণা পায় ছাত্র-ছাত্রীরা।
ষ মহিউদ্দীন জুয়েল
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন