সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

জুতা পায়ে শহীদ মিনারে, এ কেমন শ্রদ্ধা?

| প্রকাশের সময় : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা জুতা পায়ে দিয়েই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য শহীদ মিনারে প্রবেশ করেছে বলে জানা গেছে। শহীদ মিনারে ফুল দিতে এসে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে চলে গেছেন। ছাত্রলীগ কর্মীদের ধাক্কাধাক্কিতে পুলিশ, প্রশাসন, সরকার দলীয় নেতাকর্মী ও জনসাধারণসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অনেকেই শহীদ মিনারে ফুল দিতে ব্যর্থ হন।
সরেজমিন দেখা যায়, শহীদ মিনারে ফুল দেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ফুল লুট করে নিয়ে যায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। অনেকেই আবার শহীদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে সেলফি তোলায় ব্যস্ত হয়ে পরছে।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের প্রিয় নেতার সঙ্গে ছবি বা সেলফি তোলায় ব্যস্ত। শহীদ মিনারে প্রবেশ করতে হলে সবাইকে অবশ্যই খালি পায়ে সম্মান জানিয়ে প্রবেশ করার নিয়ম রয়েছে। রাত ১০টা থেকেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ফুল দেয়ার জন্য উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে হাজির হয়। এসময় ছাত্রলীগ নেতাকার্মীরা বিভিন্ন ধরনের সেøাগান দিতে শুরু করে। ১২টা এক মিনিটে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ফুল দেয়ার পর বেপরোয়া হয়ে পরে ছাত্রলীগের কর্মীরা। অনেক সংগঠন, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ছাত্রলীগ কর্মীদের উশৃঙ্খলতার জন্য শহীদ মিনারে ফুল দিতে পারেননি। ফুল দেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই শহীদ মিনারের ফুল লুট করে নিয়ে ছাত্রলীগ কর্মীরা। এমন শ্রদ্ধা কেন শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে ফুল দেয়া হয়, সেই ফুলই আবার কিছুক্ষণ পর লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়। খালি পায়ে প্রবেশের নিয়ম থাকলেও রাত ১২টা এক মিনিটে ফুল দিতে গেলে দেখা যায়, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা জুতা পায়েই শহীদ মিনারে ফুল দিচ্ছে। ছাত্রলীগের পাশাপাশি বেশ ক’জন পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিদের জুতা পায়ে দিয়ে শহীদ মিনারে প্রবেশ করে শ্রদ্ধা জানাতে দেখা গেছে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে ভাষার জন্য তাদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে হাজারো ভাষাসৈনিক।
তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর লক্ষে একুশে ফেব্রয়ারিকে আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস হিসেবে পালন করে বাঙালি জাতি। সে শ্রদ্ধা যদি হয় উশৃঙ্খলতায় ভরা তাহলে এটি কিসের শ্রদ্ধা। এমনটি মন্তব্য করেছেন সুশীল সমাজের লোকজন। মুক্তিযোদ্ধা আল-আমিন দুলাল বলেন, এটি আমাদের দেশ ও জাতির জন্য একটি লজ্জার ব্যাপার।
যারা রক্তের বিনিময়ে আমাদের বাংলা ভাষা এনে দিয়েছে, তাদেরকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে জুতা পায়ে দিয়ে যারা এসকল কর্মকান্ড করেছে তা আসলেই দুঃখজনক। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা ইসলাম বলেন, ছাত্ররাই যদি ভাষা শহীদদের প্রতি অসম্মান জানায়, তাহলে তারা ভবিষ্যতে কি করবে? এ ধরনের কর্মকান্ড সঠিক হয়নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Mohammed Alam ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ৩:৩৯ এএম says : 0
Zuta (Shoe) paye gele ki hoise. Kon Hadishe likha ase zuta paye jaowa jabe nah
Total Reply(0)
Salim Sarker ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১:২২ পিএম says : 0
সেলফি শ্রদ্ধা !
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন