বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিক্ষাঙ্গন

নবীন-প্রবীণ মিলনমেলা

শাবির এফইটি বিভাগের পুনর্মিলনী

| প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্মৃতির ডানায় ভর করে সবাই যেন ফিরে গিয়েছিলেন ছাত্রজীবনে। সেই পুরনো ক্যাম্পাসে আবার দেখা। মুঠোফোনের সেলফিতে বন্ধুদের ফ্রেমবন্দী রাখতে ভুললেন না কেউ-ই। উচ্ছ¡াসটাও ছিল বাঁধভাঙা। প্রাক্তনদের এই বাঁধভাঙা উচ্ছ¡াসে যোগ দেয় বর্তমান শিক্ষার্থীরা। এ যেন নবীন-প্রবীণ মহামিলনমেলা। দিনটি ছিল ২৩ ফেব্রæয়ারি, বৃহস্পতিবার। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি’ (এফইটি) বিভাগের শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী। ‘এ ট্রিপ টু নস্টালজিয়া’ সেøাগানকে সামনে রেখে দুই দিনব্যাপী একযুগ পূর্তি ও পুনর্মিলনী উৎসবের আয়োজন করে এফইটি বিভাগ। দুই দিনব্যাপী এই উৎসবের উদ্বোধন করেন শাবি ভিসি প্রফেসর ড. আমিনুল হক ভ‚ঁইয়া।
পুনর্মিলনী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিভাগের সামনে ভিড় জমাতে থাকেন প্রাক্তন আর বর্তমান শিক্ষার্থীরা। দেশের বহু জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অনেকেই তাদের পরিবার নিয়ে পুনর্মিলনীতে অংশ নেন।
পুনর্মিলনীর উৎসবের সদস্য সচিব ও বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মনির হোসেন বলেন, নবীন-প্রবীণদের  মিলনমেলায় পুরনো দিনের স্মৃতিগুলো আবারো রঙিন হয়ে উঠলো। এই পুনর্মিলনীর মাধ্যমে প্রাক্তন ও বর্তমানদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠবে এটাই আমার বিশ^াস।
উৎসবের আহŸায়ক ও বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মোজাম্মেল হক জানান, ২০০৪ সালে যাত্রা শুরু করা এই বিভাগ অল্প সময়ের মধ্যে শাবির একটি অনন্য বিভাগে পরিণত হয়েছে। বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও প্রচেষ্টায় সেটা সম্ভব হয়েছে। আমি আশা করি এই পুনর্মিলনীর উৎসবে নবীন-প্রবীণ মেলবন্ধনে সে ধারাকে আরো গতিশীল রাখবে।
দুই দিনব্যাপী উৎসবের প্রথম দিনে ছিল র‌্যালি, সেমিনার, স্মারণিকা “অনুরণন”-এর মোড়ক উন্মোচন, খেলাধুলা, আনন্দ আড্ডা, ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মুন্না ও নিয়াজের ব্যতিক্রমী উপস্থাপনায় সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় ছিল কবিতা আবৃত্তি, গান, নাচ, নাটক, মিজেট নাচ, র‌্যাম্প শো, অভিনয় ও মুকাভিনয়সহ আরো নানা আয়োজন।
এছাড়া উৎসবের ২য় দিন শুক্রবারে ছিল বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণ, দেশখ্যাত ব্যান্ড ‘আর্টসেল’ এর কনর্সাট ও অ্যালামনাই কমিটি গঠন। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বিভাগের ৫ম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. ইয়াসিন বলেন, ফেসবুক কিংবা হোয়াটসঅ্যাপের পর্দাতেই বন্ধুর সঙ্গে ‘দেখা-দেখি’টা কারও কারও জীবনে সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। কারও তো আবার বিশ^বিদ্যালয় জীবন শেষে কর্মজীবনে প্রবেশের পর আর মুখ দেখাদেখিই হয়নি। সেই সমস্ত হারিয়ে যাওয়া পথগুলো যেন পুনরায় ফিরে পেলাম।
পুনর্মিলনীর উৎসবে শেষে বিভাগের ৩য় ব্যাচের ছাত্র ও সহকারী অধ্যাপক আফজাল হোসেন  তার অভিব্যক্তি এভাবে প্রকাশ করেন, ‘যখন কেউ বলেন- আরে আমি তো বড় মিস্ করলাম। কেন যে অংশ হতে পারলাম না। হায়! আফসোস আজীবনের। তখন আমাদের প্রাপ্তিরেখা আরো বেড়ে যায়। নিজেদের ভালোবাসার গ্রাফটা আরো উপরে উঁচিয়ে বলি- ‘মনে রেখো, আমিও ছিলাম’।
ষ রিফাত আল মামুন

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন