ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা : আসামিদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে আমিন হক হত্যা মামলার চ‚ড়ান্ত প্রতিবেদন (এফআরটি) দাখিল করায় মহেশপুর থানার এসআই ফরিদ আহম্মেদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাগ্রহণের আদেশ দিয়েছেন। ঝিনাইদহের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩য় আদালতের বিচারক কাজী আশরাফুজ্জান এই আদেশ দেন। বুধবার আদালত থেকে পাওয়া নথী থেকে জানা গেছে, মহেশপুর উপজেলার উজ্জলপুর গ্রামের আমিন হক হত্যার পর আসামি সাইদুল ইসলাম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন।
জবানবন্দিতে কে কে এই হত্যার সাথে জড়িত তাও স্বীকার করেন আসামি সাইফুল। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফরিদ ১৬৪ ধারার জবানবন্দিকে পাশ কাটিয়ে আমিন হক হত্যা মামলার চ‚ড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। বিজ্ঞ বিচারক চূড়ান্ত প্রতিবেদন অগ্রাহ্য করে অধিকতর তদন্তের জন্য র্যাবকে নির্দেশ দেন। আদালতে তার পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেন, আসামি সাইফুল ইসলাম সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন কিভাবে আমিন হক হত্যার সাথে জড়িত। কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ফরিদ আহম্মেদ আসামির দেয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দি বিবেচনা না করে মামলার চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেছেন। যা কোনোভাবেই গ্রাহ্য নয় মর্মে আদালত মনে করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন