রুপার্ট স্যান্ডার্স পরিচালিত সাইফাই অ্যাকশন-অ্যাডভেঞ্চার ফিল্ম ‘গোস্ট ইন দ্য শেল’। ২০১২তে মুক্তিপ্রাপ্ত ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট এবং ক্রিস হেমসওয়ার্থ অভিনীত ‘স্নো হোয়াইট অ্যান্ড দ্য হান্টসম্যান স্যান্ডার্স পরিচালিত একমাত্র পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। এর বাইরে তিনি বেশকিছু স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ এবং চলচ্চিত্রের একাধিক শাখায় কাজ করেছেন।
মাসামুনি শিরো’র ‘দ্য গোস্ট ইন দ্য শেল’ মাঙ্গা সিরিজের কাহিনী অবলম্বনে এই চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে।
২০২৯ সালের জাপান। এই সময়ে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বাস্তবের চেয়েও বাস্তবে পরিণত হয়েছে। প্রায় সব জায়গায় এর প্রয়োগ। এমনকি মানবের ক্ষেত্রেও। এমনই একজন মানুষ মেজর (স্কারলেট জোহানসন)। এক মারাত্মক দুর্ঘটনার পর তাকে প্রযুক্তির সাহায্যে বাঁচিয়ে তোলা হয়। সে পুরো যন্ত্রও নয়, পুরো মানুষ তো নয়ই। তাকে এক দুর্ধর্ষ সেনা হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে অপরাধ দমনের জন্য। মেজর তার পরিচয় সম্পর্কে পুরোই জানে। সে জানে একসময় সে পুরো মানুষ ছিল। সে সেই অভিজ্ঞতাটি আবার অর্জন করতে চায়। সে জানে তার এক মানবীয় অতীত ছিল এবং সে সম্পর্কে সে জানতে চায়। মেজর পাবলিক সিকিউরিটি সেকশন নাইন নামে একটি অপরাধ দমন ইউনিটের সদস্য। এটি এমন এক সময় যখন অপরাধ আর সন্ত্রাস এক নতুন মাত্রায় চলে গেছে। আর তাদের দমন করার জন্য মেজর হল নিখুঁত বাছাই। মেজরের দলের ওপর এক নতুন অপরাধীকে দমন করার মিশন দেয়া হয়। এই অপরাধীটি পাপেট মাস্টার সাংকেতিক নামের এক ভয়ানক হ্যাকার। পাপেট মাস্টারের সন্ধানের পাশাপাশি মেজর তার নিজের অতীত পরিচয়ই খুঁজতে থাকে। তার একান্ত ব্যক্তিগত এই মিশনের এক পর্যায়ে তার সামনে নতুন এক প্রশ্ন এসে দাঁড়ায়- কোথায় মানব সত্তার শেষ আর কোথায় সাইবর্গের শুরু। সে আবিষ্কার করে তাকে আসলে জীবন দেয়া হয়নি বরং তা তার কাছ থেকে চুরি করা হয়েছে। এমন কাজ যারা করেছে তাদের শাস্তি দেয়ার শপথ করে সে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন