বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ধর্ম দর্শন

পথ নির্দেশ : বিয়ে : ফজিলত ও উপকারিতা

প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মুফতি পিয়ার মাহমুদ
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
ইসলামপূর্ব যুগেও বিয়ের পূর্বে খুতবা দেয়ার রেওয়াজ ছিল। তবে সেকালের খুতবা ছিল অহংকার, বড়ত্ব, বংশীয় গৌরব গাথা ও পূর্বপুরুষদের প্রশংসার সাতকাহন। কিন্তু ইসলাম নির্বাচন করেছে এমন খুতবা যাতে থাকবে আল্লাহর হামদ-ছানা ও তাওহীদ রিসালাতের সাক্ষ। তাতে স্থান পাবে তাকওয়া - খোদাভীতি। আরো স্থান পাবে কুরআন ও হাদীসের এমন বাণী যাতে রয়েছে মানব জীবনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সুস্পষ্ট নির্দেশনা।
বিয়েতে এলান : বিয়ের একটি অন্যতম সুন্নাত হলো এলান বা ঘটা করে বিয়ের আকদ সম্পন্ন করা। বিনা কারণে গোপনে বিয়ে করা সুন্নতের খেলাফ। রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন “তোমরা বিয়েকে প্রচার কর।” (তিরমিযী:১/২০৭; রহীমিয্যাহ:৮/১৪৭; আল বাহরুর রায়েক, কিতাবুন নিকাহ )
মসজিদে বিয়ে : বিয়ে মসজিদে সম্পন্ন হওয়াও একটি অন্যতম সুন্নাত। মহানবী (সা.) ইরশাদ করেন “বিয়ে মসজিদে সম্পাদন কর।” (তিরমিযী:১/১৪৭)। কিন্তু বড় পরিতাপের ব্যাপার হলো মুসলমানদের মুসলমানিত্ব ও দ্বীনদারীর চরম অধঃপতনের এ যুগে মহান এই সুন্নাতটি চরমভাবে অবহেলিত। বিয়েতে এই সুন্নাত পালন তো অনেক পরের কথা অনেক মুসলমান এটা জানেও না যে, মসজিদে বিয়ে পড়ানো সুন্নাত। কমিউনিটি সেন্টার ও পার্টি সেন্টারের এ যুগে বিয়েতে এসব সুন্নাত পালনের পরিবর্তে ইসলামের এক গুরুত্বপূর্ণ বিধান বিয়ে হয়ে উঠে বহু অপরাধ ও অশ্লীলতায় ভরপুর এক অনুষ্ঠান। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।
খেজুর ছড়ানো : বিয়ের পর খেজুর ছিটিয়ে দেয়া সুন্নাত। মহানবীর (সা.) এ সুন্নতটিও মৃতপ্রায়। উল্লেখ্য যে, খেজুর ছিটিয়ে দিলে যদি মনমালিন্য কিংবা মসজিদের আদব পরিপন্থী পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার আশংকা দেখা দেয়, তাহলে ছিটিয়ে না দিয়ে বন্টন করে দেয়াই উচিত। অবশ্য একথাও সত্য এবং অভিজ্ঞতাও সাক্ষী যে, এজাতীয় অনুষ্ঠানে যে ধাক্কাধাক্কি, ঠেলাঠেলি ও কড়াকড়ি হয়, তা কখন মনমালিন্য কিংবা ঝগড়া-বিবাদ পর্যন্ত গড়ায় না বরং এর ভিতর আনন্দই প্রকাশ পায়। তাই এ ব্যাপারে অবস্থা দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে। (হিন্দিয়া: ৫/৩৪৫; আল মুগনী:৭/২১৯)
বিয়ের দিন ও মাস : বিয়ে শাউয়াল মাসে ও জুমার দিনে সম্পন্ন করা উত্তম ও মুস্তাহাব। তাই এ ব্যাপারে সকলের খেয়াল করা উচিত। তার অন্য যে কোন মাস বা দিন কিংবা সময়েও বিয়ে করা জায়িয আছে। কিছু কিছু মানুষ মহররম, সফর, জিলক্বদ, চৈত্র ইত্যাদি মাসে এবং শনিবারে বিয়ে করাকে অশুভ ও অমঙ্গলজনক মনে করে।
এসব ধারণা মূলত কুসংস্কার ও ইসলাম পরীপন্থী। ইসলামে এসব চিন্তাধারণার কোনই স্থান নেই। কেননা ইসলামের দৃষ্টিতে অশুভ বলতে কোন সময় নেই। (তিরমিযী:১/২০৭; ইহইয়াউ উলুমিদ্দীন:২/৩৬; ফাতহুল কাদীর:৩/২১৯)

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Mishty ২৪ মার্চ, ২০২২, ৮:১০ এএম says : 0
Amar Shaban masher 16 tarikh dupor 12:30tar nagad biye hoyeche shedin shonibar chilo..ei din tarikh e ki Kono somossa ache????
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন