উচ্চশিক্ষা। কার না মন চায়? সকলেই ইচ্ছা পোষণ করে দেশের মাটিতে বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করতে। আর সেই উচ্চতর ডিগ্রী যদি বিদেশের মাটিতে হয় তাহলে তো কথাই নেই। “মদীনা মুনাওয়ারার”র মতো স্থান হলে আগ্রহ তো থাকবেই। কারণ, মুসলমানদের পবিত্রতম ভূমি হল “মদীনা মুনাওয়ারা”। যা ইসলামী জ্ঞান বিজ্ঞানের কেন্দ্রভূমি। যেখানে অবতীর্ন হত মহান আল্লাহর পবিত্র বাণী কুরআনুল কারীম। যেখানে রাসুল পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবীদেরকে নিয়ে দ্বীনের শিক্ষা প্রদান করতেন। যেখানে শুয়ে আছেন আল্লাহর প্রিয় হাবীব মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। যেখানে শুয়ে আছেন খোলাফায়ে রাশেদীনের তিন খলিফা হযরত আবু বকর (রা.), হযরত ওমর (রা.) ও হযরত উসমান (রা.)। যেখান থেকে হযরত ওমর (রা.) অর্ধজাহান শাসন করেছিলেন। অসংখ্য অগণিত সাহাবায়ে কেরামগণের পদধূলিত স্থানসহ ইতিহাসের সাক্ষ্য হয়ে আছে যে পবিত্র লীলাভূমি। রয়েছে মাসজিদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মসজিদে ক্বুবাসহ অসংখ্য পুণ্যময় ও দর্শনীয় স্থান। মসজিদে নববীতে জ্ঞানার্জনের মর্যাদা বর্ণনা করে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন- হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, “যে ব্যক্তি আমাদের এই মসজিদে (মসজিদে নববীতে) উত্তম কিছু শিক্ষা প্রদাণের জন্য অথবা শিক্ষা গ্রহণের জন্য প্রবেশ করবে সে যেন আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারী মুজাহিদের মতো” (ইবনে মাজাহ)।
মসজিদে নববীতে নামায আদায় ও ইসলামের প্রথম মসজিদ মসজিদে ক্বুবাতে আবাদাত বন্দেগী করার সুবর্ণ সুযোগ ভাগ্যে জুটবে ঐ শিক্ষার্থীদের কপালে। সেই পুণ্যময়, ইসলামের ইতিহাস ঐতিহ্য বিজড়িত স্থানে অবস্থিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘মদীনা ইসলামী বিশ্ববদ্যিালয়’ ইসলামী জ্ঞান-বিজ্ঞান, ইসলামী শিক্ষা ও গবেষণার অন্যতম একটি। যে প্রতিষ্ঠানটি তার নিজস্ব স্বকীয়তা নিয়ে সারা বিশ্বে সমাদৃত হয়ে আছে। বিশ্বের প্রায় ১৭০টি দেশের শিক্ষার্থীরা সেখানে জ্ঞানার্জন করছে। যেখানে রয়েছে ছাত্রজীবনের পরম সুখ। ঐ বিখ্যাত, সু-প্রসিদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করতে কার না ইচ্ছে হয়? কার না মন চায় সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হয়ে নিজেকে গৌরবান্বিত করতে? কিন্তু; কয়জনের ভাগ্যে জুটে। এ যেন আকাশ কুসুম কল্পনা। তবে হ্যাঁ, আপনার সৌভাগ্য হয়তো টেনে নিতে পারে ঐ ভার্সিটিতে, নবীর শহরে। আমার মতো এক অধমকে পবিত্রতম স্থানের ঐ ইউনিভার্সিটিতে লেখাপড়ার সুযোগ প্রদানের জন্য মহান আল্লাহ পাকের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আপনিও হতে পারেন সুমহান ভাগ্যের অধিকারী। চলুন জেনে নেই ‘মদীনা ইসলামী বিশ্ববদ্যিালয়ে’ আবেদন করার নিয়মাবলী ও করণীয়-
আলিম/সমমান পরীক্ষার সার্টিফিকেট ও মার্কশীট নির্ভরযোগ্য অনুবাদ সেন্টার হতে আরবীতে অনুবাদ কররা পর নোটারী পাবলিক করে শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক সত্যায়ন করতে হবে।
শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক সত্যায়নের পর পর্যায়ক্রমে শিক্ষামন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ও বাংলাদেশে অবস্থিত সৌদি দূতাবাস হতে সত্যায়ন করাতে হবে।
চারিত্রিক সনদপত্র (প্রতিষ্ঠানের প্রশংসাপত্র) নির্ভরযোগ্য অনুবাদ সেন্টার হতে আরবীতে অনুবাদ করার পর নোটারী পাবলিক করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে সত্যায়ন করতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট। আরবীতে অনুবাদ করার পর নোটারী পাবলিক করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে সত্যায়ন করতে হবে।
মেডিকেল সার্টিফিকেট। আরবীতে অনুবাদ করার পর নোটারী পাবলিক করে (প্রয়োজনে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় হতে সত্যায়ন করতে হবে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে সত্যায়ন করতে হবে।
তাজকিয়া (প্রশংসাপত্র) ২টি। (যে কোন দুজন প্রসিদ্ধ আলেম অথবা যে কোন দুইজন মাদানী হতে) যা আরবীতে থাকে। এরপর নোটারী পাবলিক করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে সত্যায়ন করতে হবে।
পাসপোর্ট এর কপি।
ছবি (চশমা ও টুপি বিহীন)।
উপরোক্ত কাগজ সমূহ সংগ্রহ করে অনলাইনে িি.িধফসরংংরড়হ.রঁ.বফঁ.ংধ -তে পাঠাতে হবে।
উল্লেখ্য যে, প্রার্থীকে অবশ্যই পাসপোর্ট ও সার্টিফিকেটের বয়স অভিন্নও ২৫ বছরের মধ্যে থাকতে হবে। আরো বিস্তারিত তথ্যের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েব সাইট িি.িরঁ.বফঁ.ংধ তে অনুসন্ধান করে জানতে পারেন।
ষ মাহফুজ আল মাদানী
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন