বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিক্ষাঙ্গন

লাল সবুজের রঙে রঙিন বাকৃবিসাস

| প্রকাশের সময় : ২৪ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সাংবাদিকতা মানেই ব্যস্ততা, দম ফেলার সময় নেই। সাংবাদিকদের ছুটি বলে কোন দিনই নেই। কারণ ঘটনা কোন বিশেষ দিনক্ষণে হয় না। তারপর যদি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মতো টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ে পাশাপাশি সাংবাদিকতার মহৎ দায়িত্ব পালন করা যায় তাহলে তো ব্যস্ততার শেষ নেই। তাই বলে কি সারাদিন পড়ালেখা ও সাংবাদিকতায় সীমাবদ্ধ থাকলেই হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে অবস্থিত বাকৃবির সকল সাংবাদিকদের সংগঠন বাকৃবিসাস প্রতি বছরই আয়োজন করে থাকে বাৎসরিক ভ্রমণ, পহেলা বৈশাখ, ও ফিস্টের মতো (আনন্দ ও ভূরিভোজে উৎসব) আয়োজন। এবারও তার ব্যতিক্রম ছিল না। বাকৃবিসাসের বর্তমান সভাপতি এস.এম আশিফুল ইসলাম (মারুফ) ও সাধারন সম্পাদক মো. ইউসুফ আলী। ফিস্ট উৎসব উদযাপনের জন্য আগে থেকেই চলে পূর্বপ্রস্তুতি করা হয় কয়েকটি উপকমিটি (খেলাধুলা, খাবার, গেঞ্জি) । ৭ এপ্রিল শুক্রবার ছিলো বাকৃবিসাসের সেই মাহেন্দ্রক্ষণ বাৎসরিক ফিস্টের দিন। সকল কর্মব্যস্ততাকে বাদ রেখে ক্যাম্পাসে কর্মরত সকল সাংবাদিক মেতে উঠেছিলো আনন্দ উল্লাসে, সকলে হয়েছিল লাল সবুজের রঙে রঙিন।
ফিস্ট উপলক্ষে আগে থেকেই চলতে থাকে প্রস্তুতি। ফিস্টের আগের রাতে গভীর রাত পর্যন্ত সাংবাদিক সমিতির কার্যলয় আলোকসজ্জা ও সাজানো হয়। পরদিন সকাল ৭টায় হ্যালিপ্যাড মাঠে ক্রিকেট, স্ট্যাম্প নিয়ে জড়ো হয় সবাই। ক্রিকেট ম্যাচে জয়ী হয় প্রেসিডেন্ট পক্ষ। পরে সকলে নাস্তা সেরে বঙ্গবন্ধু চত্বরে নেমে পড়ি ফুটবল নিয়ে। ফুটবল খেলায় বিজয়ী হয় সাধারণ সম্পাদক পক্ষ। এত পরিশ্রমের পর আইসক্রিম না হলে হয়। ফিস্ট উপলক্ষে আগত সমিতির বড় ভাই সাগর আব্দুস সালাম ভাইয়ের পকেট ফাঁকা করে কার্যালয়ের সামনে নেমে পড়ি মোরগ লড়াইয়ে। বিশ্রাম শেষে জুমা নামাজ পর আবার একত্রিত হই মধ্যাহ্ণভোজে। আবার খেলাধুলা, বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেনে বেলুন ফুটানো, হাঁড়ি ভেঙে চলে যাই ব্রহ্মপুত্র নদের ওপার, পায়ের মাঝে বেলুন রেখে দৌড়াতে। নৌকা ভ্রমণ শেষে পড়ন্ত বিকালে ক্যাম্পাসে দলবেঁেধ একই রঙের গেজ্ঞি পরে একটু হাঁটাহাটি। দেখতে দেখতে সন্ধ্যা অডিটোরিয়ামে চলছে পদচিহ্নের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা একটু ঠু না মারলে চলে? কিছুটা সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা উপভোগ করে সবাই চলে আসি সমিতির কার্যালয়ে। দিনভর বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার হাতে তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র- বিষয়ক উপদেষ্টা, প্রক্টর, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যবৃন্দ, শিক্ষক, সাংবাদিক সমিতির সাবেক বড় ভাইয়েরা। পুরস্কার বিতরণী শেষে সবাই একসাথে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে রাতের ভূরিভোজ সম্পূর্ণ করি। এরপর গান, আড্ডা ও ড্যান্স এর মধ্য দিয়ে শেষ হয় আনুষ্ঠানিক ফিস্ট উৎসবের। এভাবেই কখন যে পার হয়ে যায় উৎসব ও আনন্দমুখর একটি দিন।
ষ মো. শাহীন সরদার

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন