বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সুপ্রিমকোর্ট থেকে বঙ্গভবন-গণভবন কত দূর

রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তাকে উদ্দেশ করে প্রধান বিচারপতি

| প্রকাশের সময় : ৯ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : নিন্ম আদালতের বিচারকদের চাকরির বিধিমালার সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ না করায় রাষ্ট্রের প্রধান আইনি কর্মকর্তাকে উদ্দেশ করে প্রধান বিচারপতি বলেছেন, আমার মনে হয় পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শহর ঢাকা।
সুপ্রিমকোর্ট থেকে একটি ফাইল বঙ্গভবন ও গণভবনে যেতে কতদিন সময় লাগে। আমার মনে হয় লক্ষ মাইলেরও বেশি, কারণ একটি ফাইল সুপ্রিমকোর্ট থেকে বঙ্গভবন আর গণভবনে যেতে আড়াই বছরের বেশি সময় লাগে। বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি আরো বলেছেন, এর আগেও (অ্যাটর্নি জেনারেল) আপনি সময় চেয়েছিলেন, আমরা মঞ্জুর করেছি। আপনার কাছে এক সপ্তাহ, দুই সপ্তাহ যা, দুই বছরও একই। গতকাল গেজেট প্রণয়নে রাষ্ট্রপক্ষ আবারও সময় আবেদন করলে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। এর আগে গত ৪ এপ্রিল  গেজেট প্রকাশের জন্য সরকারকে ৮ মে পর্যন্ত সময় দিয়ে বলেছিল, ওই সময়ের পর আদালত সরকারের আর কোনো অজুহাত শুনবে না। রাষ্ট্রপক্ষ আরও দুই সপ্তাহ সময়ের আবেদন করেন। এ বিষয়ে শুনানির পর আপিল বিভাগ সরকারকে আরও এক সপ্তাহ সময়  দেয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল একটি ফাইল উপস্থাপন করলে প্রধান বিচারপতি বলেন, এটা কি সময়ের আবেদন? আমরা  তো  ভেবেছি  গেজেট। এরপর তিনি অ্যাটর্নি জেনারেলকে প্রশ্ন করেন- বলেন তো, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শহর কোনটা? অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন- টোকিও। প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি তো জানতাম নিউইয়র্ক। এসময় অ্যাটর্নি বলেন, আপনার হিসেবে নিউ ইয়র্ক, আমার মনে হয় টোকিও। এ পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, বলেন তো, নিউইয়র্ক থেকে টোকিও  যেতে কত সময় লাগবে?
মাসদার হোসেন মামলার চূড়ান্ত শুনানি করে ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ সরকারের নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে আলাদা করতে রায় দেন। রায়ের পর ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা হয়ে বিচার বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়। আপিল বিভাগের নির্দেশনার পর গত বছরের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় নিন্ম আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার একটি খসড়া প্রস্তুুত করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠায়।
এরপর ওই খসড়া সংশোধন করে সুপ্রিমকোর্ট আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। এরপর দফায় দফায় সময়  দেয়া হলেও ওই বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ না করায় গত ৮ ডিসেম্বর দুই সচিবকে তলব করে আপিল বিভাগ। এরপর আরও আট দফায় প্রায় পাঁচ মাস সময় নেয় সরকার।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন