শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সবার অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রত্যাশা ইইউ রাষ্ট্রদূতের

| প্রকাশের সময় : ৯ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কূটনৈতিক সংবাদদাতা : ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে সবাই শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনে সব দল অংশ নেবে-এমনটাই মনে করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। গতকাল সকালে ইউরোপীয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকাস্থ ইইউ রাষ্ট্রদূত পিয়েরো মায়দুন বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন একটি সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে সক্ষম। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) মনে করে, ২০১৪ সালের নির্বাচনের অভিজ্ঞতায় যে শিক্ষা হয়েছে, তা থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশের সব কটি রাজনৈতিক দল পরের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে। বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচনকে অনেক বেশি অংশগ্রহণমূলক করতে সব কটি রাজনৈতিক পক্ষ নির্বাচনে যাবে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ না থাকায়-শুরুতে এ নিয়ে প্রশ্ন তোলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। একই যুক্তিতে বিরত থাকে পর্যবেক্ষক পাঠানো থেকেও। যদিও নির্বাচনের পরে এ নিয়ে খুব একটা উচ্চবাচ্য শুনা যায়নি। এখন ঘনিয়ে আসছে আরেকটি নির্বাচনের সময়। তাই আবারও সরব হতে শুরু করেছে ইউরোপের দেশগুলোর এ জোট। গতকাল সকালে ঢাকাস্থ ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, তার আশা আগামী নির্বাচনে অতীত থেকে সবাই শিক্ষা নেবে। ফলে অংশগ্রহণ থাকবে সব দলের।
নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনের সাথে বৈঠকের প্রসঙ্গ তুলে ধরে মায়াদুন বলেন, বর্তমান কমিশন সবাইকে নিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে যথেষ্ট উদ্যোগী।
ইইউ রাষ্ট্রদূত কথা বলেন সরকারের সাথে হেফাজতে ইসলামীর অন্তরঙ্গতা নিয়েও। তার মতে, সুষ্ঠু গণতন্ত্রের জন্য সমাজের কোনো পক্ষকেই বিচ্ছিন্ন রাখা উচিত নয়। সরকারের এ দৃষ্টিভঙ্গি বাংলাদেশে একটি ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ’ গড়ে তুলতে সহায়ক হবে বলেও মন্তব্য করেন মায়াদুন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মায়াদুন বলেন, সমাজের কোনো অংশ, কোনো পক্ষকেই দূরে সরিয়ে রাখা উচিত না। এর কার্যকারিতাও আমাদের দেখতে হবে তবে আমি মনে করি এটা (সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি) ইতিবাচক।
দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের কাজের পরিবেশের অগ্রগতি নিয়ে পিয়েরে মায়াদুন বলেন, ভবনের নিরাপত্তা সন্তোষজনক হলেও শ্রমিকের সংগঠন করার অধিকারের প্রশ্নে এখনও রয়েছে বেশকিছু জটিলতা।
এসময় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন মায়াদুন। নিজের দেশ ফ্রান্সসহ অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, স্বস্তির বিষয় হচ্ছে, এখানে আমরা কখনও বন্ধ দরজার মুখোমুখি হইনি।
এক প্রশ্নের উত্তরে মায়াদুন বলেন, ইইউ অনেক নমনীয় একটি প্রতিষ্ঠান। ইইউ প্রতিষ্ঠার আগেও এ ধরনের বিতর্ক ছিল। আমরা এতে অভ্যস্ত, একে গ্রহণ করি এবং স্বাগত জানাই। ইইউর নীতি বাস্তবায়নের পথ পুনর্গঠনে এটি আমাদের সহায়তা করে।  
ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের একটি ইতিবাচক অর্জন হচ্ছে নারীর ক্ষমতায়ন। ইউরোপীয় ইউনিয়নে শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধার ফলে এখানে পোশাক শিল্প বেড়ে উঠেছে এবং কয়েক লাখ নারী দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন