চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার চিকনদন্ডীতে থেকে গতকাল মঙ্গলবার ভোরে ২টি ওয়ান শুটারগান ও গুলিসহ এক যুবককে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গ্রেফতারকৃত মোঃ মহিন উদ্দিন বাবলু (৩৩) ওই গ্রামের মৃত অলি আহম্মেদের পুত্র। র্যাব-৭ চট্টগ্রামের কর্মকর্তা লেঃ কমান্ডার আশেকুর রহমানের নেতৃত্বে একটি চৌকষ দল অভিযান পরিচালনা করা হয়। তার বিরুদ্ধে থানায় অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে।
পায়ুপথে ১২টি স্বর্ণের বার
এদিকে, মোবাইল, জুতা আর অর্ন্তবাসের পর এবার পায়ুপথে লুকিয়ে স্বর্ণের বার পাচারের সময় চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গতকাল মঙ্গলবার এক যাত্রীকে আটক করা হয়েছে। আটক মোঃ বেলালের (৩৭) বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায়।
এয়ার এরাবিয়ার একটি ফ্লাইটে সকালে তিনি শারজাহ থেকে চট্টগ্রামে আসেন বলে শুল্ক গোয়ন্দা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক প্রণয় চাকমা জানান। তিনি বলেন, বিমানবন্দরের গ্রিন চ্যানেল অতিক্রম করার সময় বেলালকে আটক করা হয়। প্রথমে স্বীকার করতে না চাইলেও মেটাল ডিটেক্টরে পরীক্ষা করার পর তার শরীরে ধাতব বস্তু থাকার সংকেত পাওয়া যায়।
পরে জিজ্ঞাসাবাদে পায়ুপথে লুকিয়ে স্বর্ণ আনার কথা তিনি স্বীকার করেন। চারটি প্যাকেট মুড়িয়ে বেলাল পায়ুপথে লুকিয়ে ১২টি স্বর্ণের বার নিয়ে এসেছেন। শাহ আমানত বিমানবন্দরে এই কৌশলে আনা স্বর্ণের সবচেয়ে বড় চালান এটি। প্রতিটি স্বর্ণের বারের ওজন ১০ তোলা। সব মিলিয়ে এক কেজি ৩৯২ গ্রাম ওজনের এই সোনার বাজার দর ৬৫ লাখ টাকা।
জানা যায়, এই যাত্রী সোনা বহন করতে পারে এমন তথ্য আগে থেকেই ছিল। জিজ্ঞাসাবাদে ওই যাত্রী জানিয়েছেন তারা চার বন্ধু সোনা পাচারের কাজ শুরু করেছিলেন। এটি ছিল তার প্রথম চালান। শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, আটক যাত্রীর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর আগে রোববার ও শনিবার মোবাইল ফোন, জুতা ও অন্তর্বাসের ভেতর লুকিয়ে আনা ১১টি সোনার বারসহ ধরা পড়েছে তিন বিমানযাত্রী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন