বিনোদন ডেস্ক: চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা তার ক্যারিয়ারের দুই দশকে পদার্পণ করলেন। ১৯৯৮ সালের ১৫ মে তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘এ জীবন তোমার আমার’ মুক্তি পায়। চলচ্চিত্রটি মুক্তির হিসেবে আজ চলচ্চিত্র জীবনের দুই দশকে পা রাখলেন তিনি। আজকের বিশেষ এই দিনে পূর্ণিমারও পরিকল্পনা ছিলো একটি অনুষ্ঠান করার। আজই তিনি আমেরিকা চলে যাচ্ছেন। ফিরবেন এক মাস পর। পূর্ণিমা বলেন, ‘শুরুতেই মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা। সেই সাথে আমার মায়ের কথা বলতেই হয়, কারণ তিনি আমাকে উৎসাহ না দিলে চলচ্চিত্রে কাজ করা হয়ে উঠতো না। সাংবাদিক শামীম আহমেদ ভাই’র প্রতিও কৃতজ্ঞতা। কারণ তার সঙ্গেই মূলত আম্মার পরিচয় ছিলো। পরিচয়ের সূত্র ধরেই রাজু ভাইয়ের সিনেমায় সুযোগ পাওয়া। আমি কৃতজ্ঞ রাজু ভাই, পানু ভাই’র প্রতি। সেই সাথে আমার প্রথম চলচ্চিত্রের নায়ক রিয়াজ’সহ রুবেল ভাই, ফেরদৌস, শাকিব, প্রয়াত মান্না ভাই, আমিন ভাই’র প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা। পরম শ্রদ্ধা পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম, এফ আই মানিক, মনতাজুর রহমান আকবর, মুশফিকুর রহমান গুলজার, বদিউল আলসম খোকন, সাংবাদিক আওলাদ ভাইয়ের প্রতি। সর্বোপরি আমার ভক্তদের প্রতিও অনেক ভালোবাসা। তাদের ভালোবাসাই আামাকে আজকের পূর্ণিমায় পরিণত করেছে।’ চলচ্চিত্রে সম্পৃক্ত হবার আগে পূর্ণিমা সালাহ উদ্দিন লাভলুর নির্দেশনায় ‘কসকো’র একটি বিজ্ঞাপনে মডেল হয়েছিলেন। পূর্ণিমা প্রসঙ্গে তার প্রথম চলচ্চিত্রের নায়ক রিয়াজ বলেন, ‘পূর্ণিমা খুব ভালো একজন অভিনেত্রী। প্রথম চলচ্চিত্রের পরও আমরা একসঙ্গে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি। একজন নায়িকা ও অভিনেত্রীর মধ্যে যে ধরনের গুণাবলী থাকা জরুরী তার সবগুলো গুণই আছে পূর্ণিমার। তার জন্য সবসময়ই শুভ কামনা। ’ পূর্ণিমার প্রথম চলচ্চিত্রের পরিচালক জাকির হোসেন রাজু বলেন, ‘আমার চোখে পূর্ণিমা পূর্ণিমাই। দেখতে দেখতে এতোটা সময় পেরিয়ে গেছে ভাবাই যায়না। পূর্ণিমা ভালো আছে, ভালো থাকুক এই দোয়া সবসময়।’ কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘ওরা আমাকে ভালো হতে দিলো না’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য পূর্ণিমা পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এই চলচ্চিত্রটি’সহ তার নিজের অভিনীত ভালোলাগার চলচ্চিত্র হচ্ছে ‘এ জীবন তোমার আমার’,‘মনের মাঝে তুমি’, ‘হৃদয়ের কথা’,‘ আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’,‘শাস্তি’,‘সুভা’,‘মা আমার স্বর্গ’।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন