স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি না দেয়ার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার সারাদেশে জেলা সদর ও মহানগরে এবং রাজধানী ঢাকার সকল থানায় প্রতিবাদ সভা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। গতকাল (বুধবার) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এসময় তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভায় পুলিশের অনুমতি না দেয়াতে আবারো প্রমাণিত হলো, গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে পুলিশ যে হানা দিয়েছিলো, সেটি সরকার প্রধানের নির্দেশেই পূর্ব পরিকল্পিত নীল নকশার অংশ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি না দেয়ায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এর প্রতিবাদের আমরা বৃহস্পতিবার (আজ) সারাদেশে প্রতিবাদ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করছি। আমরা বলতে চাই, যে কোনো অন্যায়-অনিয়মের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের স্বীকৃত পথ হচ্ছে প্রতিবাদ করা। যখন এই প্রতিবাদ তারা করতে দিলো না তখন বুঝতে হবে স্বতপ্রণোদিতভাবে একটি বৃহত্তর অশুভ পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই সেদিন গুলশানের কার্যালয়ে পুলিশ হানা দিয়েছে।
গণতন্ত্র নিজস্ব পথে চলছে না মন্তব্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতার উচ্চ বলয় থেকে পতন হওয়ার আশঙ্কায় বিরোধী দলের সভা-সমাবেশ করার সকল গণতান্ত্রিক অধিকারকে লোহার খাঁচায় বন্দি করে রেখেছে। গণতন্ত্রকে তারা পুলিশের ইচ্ছাধীন করেছে, গণতন্ত্রের পরিসর তাদের পুলিশ) অনুমতির দ্বারা নির্ধারিত হয়। গণবিচ্ছিন্ন সরকার জনসমাবেশকে ভয় পায়। সেজন্য তারা আজকে সমাবেশ করতে দেয় না। বিএনপিকে এই সমাবেশ করতে না দেয়া সরকারের কুশাসনের পরিণতি। আমরা মনে করি, বর্বরোচিত আর্দশ পুলিশি রাষ্ট্র এখন বাংলাদেশ।
নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, কেন্দ্রীয় নেতা এবিএম মোশাররফ হোসেন, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ।
চট্টগ্রামের নেতাকে গ্রেফতারে নিন্দা: এদিকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শেখ মহিউদ্দিনকে গতকাল আরামবাগের বাস কাউন্টারের কাছ থেকে গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে অভিযোগ করে অবিলম্বের তার সন্ধান দাবি করে রিজভী বলেন, এই কাজগুলো বিগত কয়েক বছর ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী করে যাচ্ছে। সবাই দেখেছেন প্রকাশ্যে তুলে নিয়ে গেছে, যখন বাড়িতে এসে তুলে নিয়ে যায় তখন তারা পরিচয়ও দেয় আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোক। তারপরে তারা অস্বীকার করে। রাষ্ট্রযন্ত্র রক্তপিপাসু দানব না হলে রাষ্ট্রের পয়সায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জনগণের অংশ মানুষকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে, গুম করছে, আটকিয়ে রাখছে। আমি এহেন কর্মকান্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে বলছি, অবিলম্বে তাকে হাজির করুন, তার পরিবারের কাছে ফেরত দিন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন