বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আগামী নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে সরকার চাপ প্রয়োগ করবে না ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক

| প্রকাশের সময় : ১১ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম



নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ জরুরী ড. আবদুল মঈন খান
স্টাফ রিপোর্টার : নির্বাচনে ইভিএম প্রয়োগে সরকার চাপ প্রয়োগ করবে না। তবে নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলে আমরা তা স্বাগত জানাবো। আমরা চাই নির্বাচন কমিশন সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করুক। আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক উপরোক্ত অভিমত ব্যক্ত করলেও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, প্রযুক্তি এক শতাংশ ভুল করলেও মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়। তাই যন্ত্র ব্যবহারের সাথে যে মানুষ সম্পৃক্ত আছেন তাদের সততা ও স্বচ্ছতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠাই হচ্ছে বড় বিষয়। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত ইভিএমের ব্যবহার বা ইভিএম মেশিন রাজনৈতিক দলগুলোর নিকট উন্মুক্ত করেনি। যে কারণে এ মেশিনের কার্যকারিতায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা সম্পর্কে কেউ জানে না। গতকাল শনিবার সকালে এফডিসি’তে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজনে নির্বাচনে ইভিএম এর ব্যবহার বিষয়ক এক সংসদীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় উপরোক্ত অভিমত ব্যক্ত করেন ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক ও ড. আবদুল মঈন খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক আরো বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে সর্বাধিক ক্ষমতা দিয়েছে। আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে সরকার সব ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করবে। ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ইভিএম ছাড়াও নির্বাচন সুষ্ঠু করার অন্যান্য উপাদানের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন জনগণের ভোটাধিকার পুরোপুরি নিশ্চিত করা না গেলে কোনো উন্নয়নই টেকসই হবে না বরং বিশ্ববাসীর নিকট আমাদের আত্মমর্যাদা ক্ষুন্ন হবে। সভাপতির বক্তব্যে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, দেশের প্রধান দুই দলই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য হিসেবে দেখতে চায়। যদিও আগামী নির্বাচন কেমন সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে তা নিয়ে রয়েছে পরস্পর বিরোধী অবস্থান। ইতিমধ্যে ইভিএম এর মাধ্যমে নির্বাচন করা যায় কিনা তা নিয়েও তৈরী হয়েছে মতভেদ। বিশ^ প্রযুক্তির যুগে ইভিএম এর মাধ্যমে কোথাও কোথাও ভোট অনুষ্ঠিত হলেও তা নিয়ে রয়েছে স্বচ্ছতার অভিযোগ। প্রতিযোগিতার সরকারি দল হিসেবে ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিক পরাজিত করে বিরোধী দল প্রাইম ইউনিভার্সিটি বিজয়ী হয়। বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস এবং যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. এস এম মোর্শেদ। প্রতিযোগিতা শেষে বিতার্কিকদের সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন