স্টাফ রিপোর্টার : চালের দাম নিম্নমুখী হতে বাধ্য আর ষড়যন্ত্রকারীরা এ বিষয়ে কোনোভাবেই সফল হতে পারবে না। আর বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ীরাই চালের দাম বাড়ার জন্য দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভাটির আয়োজন করে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ নামে একটি সংগঠন। একই সভায় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ চাল আমদানির ওপর ট্যাক্স প্রত্যাহার করতে সরকারের প্রতি আহŸান জানান।
খাদ্য মন্ত্রী বলেন, চালের দাম কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে, এটা স্বীকার করছি। এই চালের দাম চড়া হওয়ার পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী, কিছু মজুদদার এবং বিএনপি ঘরানার ব্যবসায়ীরা চালের দাম বাড়ানোর জন্যে দায়ী। সংকটের কোনো প্রশ্ন ওঠে না। এই সংকট মোকাবিলা করার জন্যে আমরা বিদেশ থেকে চাল আমদানি করছি। খুব তাড়াতাড়ি দাম নেমে যাবে। ।
তিনি বলেন, দেশে চালের কোনো সংকট নেই। এই অসাধু ও বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ীদের কারণে চালের দাম বেড়েছে। এরা ষড়যন্ত্র করে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে এই অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সব ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। অচিরেই চালের দাম নিম্নমুখী হয়ে আসবে। চাল আমদানির উপর যে ট্যাক্স রয়েছে সেটা আমরা তুলে দেব। কোনো ষড়যন্ত্র আমাদের পরাজিত করতে পারবে না।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের উপদেষ্টা হাসিবুর রহমান মানিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির ভিসি অধ্যাপক আব্দুল মান্নান চৌধুরী, কবি কাজী রোজী এমপি, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির ভিসি অধ্যাপক আব্দুল মান্নান চৌধুরী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের গোলাম কুদ্দুছ, এমএ করিম, অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন