এ. কে. এম. ফজলুর রহমান মুন্্শী : পূর্ববর্তী বিস্তৃত আলোচনার পর আমাদের চিন্তা করা দরকার যে, ইসলামে রোজার উদ্দেশ্যে কি? যদিও তার একটা বৃহৎ দিক আমাদের আলোচনায় এসে গেছে। কিন্তু আমরা এর অধিক বিশ্লেষণ করাকে সঙ্গত মনে করছি।
রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর প্রত্যেক রাব্বানী আহকাম শুধু কেবল হুকুম হিসেবে পির্যবশিত ছিল না। বরং এর সবকিছুই ছিল হেকজমত এবং মুসলিহাতে পরিপূর্ণ। তাঁর ফারায়েজ ও আবশ্যিক কর্তব্যসমূহের ইমারত রূহানী, আখলাকী, সামগ্রিক ও বস্তুভিত্তিক উপকারীতা ও মঙ্গলের উপরই প্রতিষ্ঠিত ছিল এবং এই উপকারীতা ও মঙ্গলময় কর্মকান্ডের নিয়ম-নীতি এবং সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার সঠিক দিক-নির্দেশনা রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর নিকট অবতীর্ণ আসমানী কিতাবের দ্বারাই প্রতিপ্নন হয়েছে। তাছাড়া একথাও বলে দেয়া হয়েছে যে, রোজার উদ্দেশ্যাবলি ও লক্ষ্য সমূহ খুবই প্রণিধানযোগ্য এবং আল কোরআনে সেই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহকে খুবই সংক্ষিপ্ত আকারে বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
১। আল-কুরআনে মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেছেন, “যেন আল্লাহ পাক তোমাদেরকে যে হেদায়েত দান করেছেন, এর উপর দৃঢ় থেকে তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ও পবিত্রতা বর্ণনা করতে পার।” (সূরা বাকারাহ : রুকু-২৩)
২। অন্য এক আয়াতে ঘোষণা করা হয়েছে, “যেন এই হেদায়েত লাভ করার পর তোমরা আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পার।” (সূরা বাকারাহ : রুকু-২৩)
৩। মহান আল্লাহ পাক আরও ইরশাদ করেছেন, “যেন তোমরা মুত্তাকী ও পরহেজগার হতে পার।” (সূরা বাকারাহ : রুকু-২৩)
পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, শরীয়তধারী পয়গাম্বরদের কর্মকান্ডের দ্বারা সুস্পষ্ট জানা যায় যে, তারা তাদের উপর শরীয়ত অবতীর্ণের পূর্বে ফেরেশতা সুলভ জিন্দেগী অতিবাহিত করেছেন। তারা সম্ভবত : মানবিক পানাহারের প্রয়োজনীয়তা হতে মুক্ত ও পবিত্র ছিলেন এবং তারা এভাবে নিজেদের রূহকে ঊর্ধজগতের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের উপযোগী করেছিলেন যে, তারা আল্লাহর সাথে কথোপকথন করার সৌভাগ্যও অর্জন করেছিলেন এবং তাদের উপর অহী অবতীর্ণ হতে থাকে। হযরত মূসা (আ:) চল্লিশ দিন পর্যন্ত এভাবেই অতিবাহিত করেছিলেন। এরপর তৌরাতের ফলকসমূহ তাঁর নিকট প্রদান করা হয়। হযরত ঈসা (আ:)-ও চল্লিশ দিন যাবত এভাবে অতিবাহিত করেছিলেন। তারপর তার বক্ষদেশ ও মস্তক হতে হেকমত ও প্রজ্ঞার প্র¯্রবণ প্রবাহিত হতে লাগলো। রাসূলুল্লাহ (সা:)-ও হেরাগিরীগুহায় ত্রিশ দিন অর্থাৎ একমাস এভাবে নিমগ্ন ছিলেন। তারপর আল্লাহর নূরের প্রবাহ সে গুহার মুখ হতে উদয় হলো।
কুরআনে বাহকের অনুসরণ :
এর দ্বারা বুঝা যায় যে, এই রোজার ফরজিয়াতের সর্বপ্রথম উদ্দেশ্য ছিল আম্বিয়ায়ে কেরামের সেই বরকতময় ও পবিত্র দিনগুলোকে অনুসরণ করা ও পায়রবী করা। ইহুদীরাও হযরত মূসা (আ:-এর অনুসরণে সে সকল দিনে রোজা রাখাকে উপযোগী এবং শুধুমাত্র চল্লিশ দিন রোজা রাখা ফরজ বলে বিবেচনা করত। খৃস্টানরাও হযরত ঈসা (আ:)-এর অনুসরণে ব্যাপৃত থাকা উচিত ছিল। কিন্তু তারা পৌলের অনসরণে গা ভাসিয়ে দিল এবং হযরত ঈসা (আ:)-এর আহকাম ও সুন্নাতগুলোর পায়রবী পরিত্যাগ করল। অনুরূপভাবে মুসলমানদেরও এই হুকুম হলো যে, তারা তাদের রাসূলের অনুসরণে কয়েকটি দিন রোজার হালতে অতিবাহিত করা। তাই, আল-কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, “হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববতীদের উপর।” (সূরা বাকারাহ : রুকু-২৩)
দ্বীনে ইলাহীর পরিপূর্ণতা নবুওতের সর্বশেষ পর্যায় এবং রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর শিক্ষার এটাও একটা বড় দলিল যে, প্রাচীন উম্মতগণ নিজ নিজ পয়গাম্বরদের অনুসরণ এবং তাকলীদের শিক্ষাকে মাত্র কয়েকটি যুগের মাঝেই বিস্মৃত হয়ে গিয়েছিল, কিন্তুু রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর লক্ষ্য-কোটি উম্মত তাঁর শিক্ষা ও আদর্শকে অদ্যাবধি কাজে এবং কথায় অবিকৃত রেখেছে এবং রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর অনুসরণে তারাও একমাস পানাহার এবং খাহেশাতে নাফসানী থেকে বিরত হয়ে রোজার অবস্থায় নিজেদেরকে পবিত্র রাখে এবং ফেরেশতাসুলভ জিন্দেগী অতিবাহিত করে।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ :
এই রোজা শুধু কেবল আম্বিয়ায়ে কেরামের অনুসরণ ও পায়রবীই নয়; বরং মূলত : তা হচ্ছে আল্লাহ পাকের সর্বশ্রেষ্ঠ অনুকম্পা ও ইহসান যা তিনি স্বীয় পয়গাম্বরের মাধ্যমে মানুষের উপর অর্পণ করেছেন। তাই মুসলমানদের উচিৎ এই ইহসানের শোকর-গুজারী করা এবং আল্লাহর ইহসানকে অনুধাবন করা। বস্তুুত : মহান আল্লাহ পাক কিতাব দ্বারা এবং তালীম ও হেদায়েত দ্বারা মানুষের মাঝে এমন এক রূহানী এবং নূরানী অনুকম্পাপ প্রদান করেছেন যার বদৌলতে মানুষ শয়তানী স্বভাব হতে ফেরেশতা স্বভাবের অধিকারী হতে পারে এবং অন্ধকারাচ্ছন্ন গোমরাহীর পর্দা উন্মোচন করে হেদায়েতের নূরের আলোকে উদ্ভাসিত হয়ে উঠতে পারে। এই নূরে আলোকচ্ছাটা মানুষকে নীচুতা ও লজ্জাহীনতার সুগভীর সমুদ্র হতে উদ্ধার করে তাদেরকে উন্নতি ও উৎকর্ষের চরম শিখরে উন্নীতকরতে পারে। তাদের অসংলগ্ন জীবনকে সভ্যতা ও নৈতিক পবিত্রতার দ্বারা আলোকিত করেছেন এবং তাদের অসংলগ্ন জীবনকে সভ্যতা ও নৈতিক পবিত্রতার দ্বারা আলোকিত করেছেন এবং তাদের মূর্খতা ও অজ্ঞতাকে জ্ঞান ও মনীষার আলোকে উদ্ভাসিত করেছেন, তাদের হীনমন্যতা ও নীচুতাকে হেকমত ও বিজ্ঞানের আলোকে সমুজ্জ্বল করেছেন, তাদের অন্ধকারময় জীবনকে আলো এবং দূরদৃষ্টির দ্বারা মর্যাদামন্ডিত করেছেন এবং যিনি এই শ্রেণীর বৈপ্লবিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে তাদের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক জীবন-যাত্রার পথকে সমৃদ্ধ ও সুষমামন্ডিত করে তুলেছেন এবং যিনি সাধারণ ধুলো-বালিমন্ডিত জীবন পরিক্রমাকে উন্নীত ও সমুন্নত করে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে দিয়েছেন এই হাকীকতকে কুরআনুল কারীমে মহান রাব্বুল আলামীন এভাবে তুলে ধরেছেন। ইরশাদ হচ্ছে, “এবং (এই রমজানের রোজা) এ জন্য (ফরজ করা হয়েছে) যেন তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা কর এবং তিনি তোমাদেরকে হেদায়েত প্রদান করেছেন যেন তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা কর এবং তিনি তোমাদেরকে হেদায়েত প্রদান করেছেন যেন তোমরা আল্রাহর শোকর-গুজারী আদায় করতে পার।” (সূরা বাকারাহ : রুকু-২৪) এই হেদায়েতে রাব্বানী এবং কিতাবে ইলাহীর অনুকম্পার উপর শোকর-গুজারী আদায়ের গোপন রহস্য হচ্ছে এই যে, রমজান মাসের রাতসমূহ মুসলমানগণ কুরআনুল কারীমকে তারাবীহের নামাজে পরিপূর্ণ করেন এবং শ্রবণ করেন এবং এই মাসের শেষে আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার তাকবীর ধ্বনি উচ্চারণ করে ঈদগাহের দিকে গমন করেন এবং খুশী ও আনন্দের মাঝে ঈদগাহে দু’রাকাত শোকরানা নামাজও আদায় করেন।
তাকওয়া ও পরহেজগারী :
রোজার সবচেয়ে বড় আভ্যন্তরীণ উদ্দেশ্য হচ্ছে তাকওয়া অর্জন করা এবং অন্তরের পরহেজগারী ও পরিচ্ছন্নতা সাধন করা। মহান রাব্বুল আলামীন রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর মাধ্যমে ঘোষণা প্রদান করেছেন যে, হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর সেভাবেই রোজা ফরজ করা হয়েছে যেভাবে তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর ফরজ করা হয়েছিল যেন তোমরা তাকওয়া এবং পরহেজগারী অর্জন করতে পার।” এই আয়াতে তাকওয়া অর্জনের দিক-নির্দেশনাকে অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এবং এর বিশ্লেষণ এভাবে উপস্থাপন করা যায়।
তাকওয়া বলতে অন্তরের সেই অবস্থাকে বুঝায় যা অর্জন করার পর যাবতীয় গুনাহসমূহকে সর্বাত্মকভাবে অন্তর ঘৃণা করে এবং গুনাহের প্রতি বৈরীবাবের উদয় ঘটে এবং একই সাথে নেক কথা ও কাজের প্রতি অন্তর জুড়ে শুরু হয় তীব্র আকর্ষণ। সুতরাং রোজার আসল মাকসুদ হচ্ছে এই অনুভূতি ও অনুপ্রেরণার সৃষ্টি হওয়া। একথা সুস্পষ্ট যে, মানুষের অন্তরসমূহে গোনাহ এবং পাপাচার দ্বারা পশু সুলভ শক্তিগুলো ব্যাপক হারে মাথা চাড়া দিয়ে উঠে। রোজা মানুষের এই প্রবৃত্তিকে কঠোর হস্তে দমন করে। এ জন্য রাসূলুল্লাহ (সা:) ইরশাদ করেছেন, “রোজা হচ্ছে এই সকল নওযোয়ানের জন্য নিজেকে সম্বরণ করার হাতিয়ার যারা অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণে বিবাহ করতে সামর্থ্যবান নয়। সুতরাং তাদের জন্য নিজেদের নফস ও দৈহিক উত্তেজনাকে প্রতিহত করার মোক্ষম উপাদান হচ্ছে সিয়াম সাধনা।” তাই তিনি সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন, “মানুষের জৈবিক তাড়নাকে প্রতিহত করার জন্য উত্তম অবলম্বন হচ্ছে রোজা।” (সহীহ বুখারী ও মুসলিম।)
রোজার ফরযিয়াতের মাঝে যে একটি খাস ও নির্দিষ্ট হেকমত নিহিত আছে এবং এর মাঝে সার্বিক নিয়ম-শৃঙ্খলার মূল-দিক নির্দেশনার ছাপ আছে তা’ ইসলামের বিভিন্ন আহকাম ও বিধানের প্রতি লক্ষ্য করলে সহজেই বুঝা যায়। বছরের বারটি মাসের মাঝে একটি মাস মুসলমানদের এভাবে কাটানো উচিত যে, তারা দিন রাতভর মাত্র এক বেলা আহার করবে এবং অবশিষ্ট একবেলার আহার্য বস্তু গরীব ভাইদের মাঝে বিতরণ করবে। একই সাথে ফেদিয়া এবং কাফফারার হুকুম আহকামগুলোর প্রতি নজর দিলে বুঝা যাবে যে, রোজার বদলা হিসেবে গরীবদের মাঝে আহার্য বিতরণকে সাব্যস্ত করা হয়েছে। এতে একথাও বুঝা যায় যে, রোজা এবং গরীবদেরকে আহার্য দেয়া পরস্পর একটি অপরটির স্থলাভিষিক্ত বা কায়েম মোকাম। এমন লোক যারা আসলেই কমজোর অথবা চির রুগ্ন এই শ্রেণীর লোকদের জন্য রোজার পরিবর্তে এই হুকুম দেয়া হয়েছে “যারা অতি কষ্টে রোজা রাখতে পারে, তারা একজন মিসকীনের খাদ্য ফেদিয়া স্বরূপ প্রদান করবে।” (সূরা বাকারাহ : রুকু-২৪)
হজের সময় যদি কাহারও ওজরবশত: অথবা রোগের কারণে ইহরাম খোলার পূর্বেই মাথা মুড়াতে হয়, তাহলে ইসলাম তার জন্য এই ব্যবস্থা করেছে যে সে “ফেদিয়াস্বরূপ রোজা রাখবে, অথবা খয়রাত করবে, অথবা কুরবানী করবে।” (সূরা বাকারাহ: রুকু-২৪)
আর যে সকল লোক হজ্জ এবং ওমরাহ এক ইহরামে আদায় করে এই হজকে তামাত্তু বলা হয়, তাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব। যা শুধু কেবল গরীবদের মাঝেই বিতরণ করা হয়। তবে যদি কুরবানী করতে সক্ষম না হয় তাহলে তার জন্য ব্যবস্থা হচ্ছে এই যে, “হজের সময় তিন দিন রোজা রাখবে এবং গৃহে প্রত্যাবর্তন করে সাতদিন রোজা রাখবে। (সূরা বাকারাহ : রুকু-২৪)
হজের সময় যদি কাহারো ওজরবশত : অথবা রোগের কারণে ইহরাম খোলা পূর্বেই মাথা মুড়াতে হয় তাহলে ইসলাম তারা জন্য এই ব্যবস্থা করেছে যে, সে “ফেদিয়াস্বরূপ রোজা রাখবে, অথবা খয়রাত করবে অথবা কোরবানী করবে।” (সূরা বাকারা : রুকু-২৪)
আর যে সকল লোক হজ্জ এবং ওমরাহ এক ইহরামে আদায় করে এই হজ্জকে তামাত্তু বলা হয়, তাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব। যা শুধু কেবল গরীবদের মাঝেই বিতরণ করা হয়। তবে যদি কুরবানী করতে সক্ষম না হয় তাহলে তার জন্য ব্যবস্থা হচ্ছে এই যে, “হজ্জের সময় তিন দিন রোজা রাখবে এবং গৃহে প্রত্যাবর্তন করে সাত দিন রোজা রাখবে। (সূরা বাকারাহ : রুকু-২৪)
হজ্জের সময় জানোয়ার শিকার করা নিষিদ্ধ। যদি কেউ জেনে বুঝে এমনটি করে, তাহলে তার উপর সেই জানোয়ারের অনুরূপ কুরবানী অবশ্যই দিতে হবে যা মিনাতে নিয়ে গিয়ে যবেহ করতে হবে। যদি তা’আদায় করতে না পারে, তাহলে তার জন্য হুকুম হচ্ছে এই যে, “অথবা কয়েকজন মিসকীন আহার করাবে কিংবা সমপরিমাণ রোজা রাখবে।” (সূরা মায়িদাহ : রুকু-১৩)
আর যদি কেউ স্বেচ্ছায় কসম ভঙ্গ করে, তাহলে তার উপর দশজন মিশকীন খাওয়ানো ওয়াজিব। অথবা একজন গোলাম আযাদ করতে হবে। কিন্তুু যদি তা করতে না পারে, তাহলে সে তিন দিন রোজা রাখবে। (সূরা মায়িদাহ : রুকু-১৩)
আর যদি কোন ব্যক্তি স্বীয় স্ত্রীকে ‘মুহাররামাতদের’ সাথে তুলনা দিয়ে তাকে নিজের উপর হারাম করে এবং তৎপর তার প্রতি অনুরাগপ্রবেণক হয়ে তাকে ফিরিয়ে আনতে চায়, তা’ হলে তাকে একজন দাসমুক্ত করতে হবে। কিন্তু যদি সে তা করতে সক্ষম না হয় তাহলে তাকে দু’মাস এক নাগাড়ে রোজা রাখতে হবে। (সূরা মুজাদালাহ : রুকু-১৮) যদি এটাও তার পক্ষে সম্ভব না হয়, তাহলে তাকে ষাটজন মিসকীন খাওয়াতে হবে। (সূরা মুজাদালাহ : রুকু-১) সুতরাং এ সকল আহকাম দ্বারা সুস্পষ্ট বুঝা যায় যে, রোজা মূলত: সদকা ও খয়রাত, গরীবদের আহার করানো বরং গোলাম আযাদ করার কায়েম মোকাম মাত্র।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন