শনিবার, ২৫ মে ২০২৪, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সিটিসেল সিইও মেহবুব চৌধুরীর জামিন

| প্রকাশের সময় : ৩ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম


বিশেষ সংবাদদাতা : ব্যাংক থেকে অনিয়মের মাধ্যমে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় গ্রেফতারকৃত সিটিসেলের সিইও মেহবুব চৌধুরীকে জামিন দিয়েছে আদালত।
গতকাল রোববার দুপুরে তাকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করার পর তার পক্ষে আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে মহানগর হাকিম লস্কর সোহেল রানা মেহবুব চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর করেন। আদালতে মেহবুবের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আরশাদুর রউফ, কামরুল ইসলাম শিকদার ও মনিরুল ইসলাম দুলাল। দুদকের পক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন আইনজীবী রেজাউল করিম রেজা ও মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জুয়েল। গতকাল দুপুর ১টায় মেহবুব চৌধুরীকে আদালতে আনার পর তাকে কাঠগড়ায় দাঁড় না করিয়ে কোর্ট হাজতে রাখা হয়। জামিনের আবেদনে তার আইনজীবীরা বলেন, বৈধভাবেই তিনি ঋণ নিয়েছেন, ঋণের বিপরীতে বন্ধকি জামানত রয়েছে। তিনি এক টাকাও নিজে আত্মসাৎ করেননি। তাছাড়া মামলার এজাহারে যে অপরাধের কথা বলা হয়েছে তা ৪২০ ধারায় হওয়ায় জামিনযোগ্য। সিটিসেলের নামে এ বি ব্যাংক থেকে অনিয়মের মাধ্যমে ৩০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে গত ২৮ জুন একটি মামলা করে দুদক; এই মামলার আসামি হিসেবে শনিবার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার হন মেহেবুব চৌধুরী। ওই মামলায় মেহবুব চৌধুরী ছাড়াও সিটিসেলের অন্যতম মালিক সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খানের পাশাপাশি এ বি ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়। অন্য আসামিরা হলেন- এবি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাইজার আহমেদ, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ফজলুর রহমান, সাবেক উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ক্রেডিট) ও বর্তমানে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মসিউর রহমান চৌধুরী, ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট সালমা আক্তার, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম আহম্মেদ চৌধুরী, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মহাদেব সরকার সুমন। এছাড়া ব্যাংকটির এসভিপি ও রিলেশনশিপ ম্যানেজার সৈয়দ ফরহাদ আলম, সাবেক এসভিপি ও রিলেশনশিপ ম্যানেজার আরশাদ মাহমুদ খান ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, অপারেশনস বিভাগের সিনিয়র অ্যাসিসটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহানুর পারভীন চৌধুরী, সাবেক এভিপি ও মহাখালী শাখা ব্যবস্থাপক জার ই এলাহী খান এবং রিলেশনশিপ অফিসার মো. কামরুজ্জামানকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে। মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে আসামিদের আত্মসাৎ করা অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা এবং সাত বছর সশ্রম কারাদন্ড হওয়ার বিধান রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন