বিনোদন রিপোর্ট: সম্প্রতি একটি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকারকে কেন্দ্র করে শাকিবকে এক হাত নিলেন চিত্রনায়িকা নিপূণ। গত রবিবার একটি বেসরকারি টিভিতে শাকিব সরাসরি অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সেখানে শাকিবের কিছু মন্তব্য আপত্তিকর হওয়ায় নিপূণ তার ফেসবুকে এর প্রতিবাদ করেন। নিপূণ শাকিবকে উদ্দেশ করে লিখেন, আপনি কীভাবে বলেন বা বোঝাতে চান যে, বাংলাদেশের নায়িকারা শিক্ষিত না, ব্যাকগ্রাউন্ড ভালো না? মিডিয়াতে শুধু বুবলীই যোগ্য ও শিক্ষিত! শাকিব খান, আপনি নিজের বৌয়ের চেয়ে বেশি বারবার বুবলীর গুণগান মিডিয়াতে করছেন। তাই নয় কি? আপনি পারসোনালি মানুষকে বা বুবলীকে খুশি করার জন্য যা খুশি বলুন, কিন্তু মিডিয়ার সামনে অন্য আর্টিস্টদের সম্মান দিয়ে কথা বলবেন। আর আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা? আপনার ফ্যামেলি ব্যাকগ্রাউন্ড? আপনি মনে হয় আপনার ১১ বছর আগের কথা ভুলে গেছেন। ইমিগ্রেশন অফিসার ইংরেজিতে যা কিছুই জিজ্ঞেস করত, আপনি না বুঝেই ইয়েস/ নো বলতেন; যেখানে অন্য আর্টিস্টরা ঠিকঠাক উত্তর দিতেন! আপনি এতই শিক্ষিত যে 'ইডি' (এম্বারকেশন-ডিসএম্বারকেশন) কার্ড পূরণ করতে পারতেন না। ভুলে গেছেন? আপনি মনে হয় আপনার ব্যাকগ্রাউন্ডের সঙ্গে সঙ্গে অন্য আর্টিস্টদের ব্যাকগ্রাউন্ডও ভুলে গেছেন। তাই আমি আমার ব্যাকগ্রাউন্ড আবারও আপনাকে মনে করে দিতে চাই যে, আমি কোথা থেকে এসেছিলাম এবং আমার ফ্যামেলি ব্যাকগ্রাউন্ড, আমার বাবার পেশা, আমার মার পেশা, আমার ভাই-বোন, আমার শিক্ষা, আমার গ্রাজুয়েশন কী? আপনাকে আরও মনে করিয়ে দিতে চাই যে, বনানীর যে বাসায় আমি থাকি, সেটা সিনেমার টাকায় কেনা না। এটা আমার পৈত্রিক, মিডিয়াতে আসার আগে থেকেই ছিল। সিনেমায় এসেছি ভালো লাগা থেকে। মস্কো থেকে ২ বছর পর গ্রাজুয়েশনের ক্রেডিট ট্রান্সফার করে ইউএসের লা ভ্যালি কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন শেষ করে এসেছি। অন্য শিল্পীদের অসম্মান করার কথাও তুলে ধরেন নিপূণ। আপনি তো আবার অতীত ভুলে যান। তাই আরও মনে করিয়ে দিতে চাই যে, আপনি শূটিংয়ের সেটে রাজ্জাক আঙ্কেলকে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বসিয়ে রেখেছিলেন। শেষ পর্যন্ত সেটে আর আসেননি। আরও কতজনকে যে অসম্মান করেছেন তার হিসাব নেই। ভুলে গেছেন? ইন্ড্রাসট্রিতে যা খুশি তা করেছেন আপনি। সিনিয়ররা আপনার ব্যবহারে অতিষ্ঠ। আপনার জন্যই তো ওনারা ইন্ড্রাসট্রিতে নিয়মিত না। আপনি কী করে ভাবেন যে, রাজ্জাক আঙ্কেল, ফারুক আঙ্কেল, আলমগীর আঙ্কেল আপনাকে বার বার সাপোর্ট দেবেন। শাকিব খান, বাংলা সিনেমা নিয়ে আপনি যে নোংরা রাজনীতি করছেন, তা নিজের ও কিছু দেশি-বিদেশি স্বার্থবাদী মহলের স্বার্থরক্ষার জন্য করছেন, যা বাংলাদেশ চলচিত্র শিল্পর জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। বাংলা চলচ্চিত্র নিয়ে নোংরা রাজনীতি বাদ দিন। বুবলী ও অপু বিশ্বাসের প্রসঙ্গে নিয়ে লেখেন, বুবলীর ভিডিও গানের লক্ষ লক্ষ ভিউ ভিউয়ের কথা এত বার বার বলেন কেন? ভিউ বেশি মানেই কি অপুর চেয়ে বেশি বুবলীর গ্রহণযোগ্যতা দর্শকদের কাছে? আপনি কি জানেন না যে, বুস্ট করিয়ে মানে টাকা খরচ করিয়ে ভিউ বাড়ানো যায়?
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন