বিনোদন রিপোর্ট: সাফটা চুক্তির আওতায় কলকাতার সঙ্গে সিনেমা বিনিময় নিয়ে সমালোচনা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। অভিযোগ রয়েছে, কলকাতার সিনেমা বাংলাদেশে শতাধিক হলে মুক্তি পেলেও বাংলাদেশের সিনেমাগুলো সেখানে ১০টি হলেও মুক্তি দেয়া হয় না। থাকে না কোনো প্রচার-প্রচারণাও। অত্যন্ত কৌশলে বাংলাদেশে কলকাতার সিনেমার বাজার তৈরির প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে যৌথ প্রযোজনা নাম দিয়ে কলকাতার সিনেমা মুক্তি দেয়ার হিড়িক। সাফটা ও যৌথ প্রযোজনার কবলে পড়ে দেশের সিনেমাকে এক প্রকার বিদায় জানানোর প্রক্রিয়া চলছে। এর সাথে এ দেশের কিছু প্রযোজক ও হল মালিক জড়িত রয়েছেন। দেশের সিনেমা চলে না, এমন অজুহাত দিয়ে হল মালিকরা দেদারছে কলকাতার সিনেমা চালাচ্ছেন। একই সময়ে তথাকথিত যৌথ প্রযোজনার সিনেমা ও দেশের সিনেমা মুক্তির তারিখ ঠিক করলে হল মালিকদের সিন্ডিকেট দেশের সিনেমার ক্ষেত্রে ভাল কোনো হল দেয় না। তারা যৌথ প্রযোজনার সিনেমার মাধ্যমে ভাল ও মানসম্মত সব হল বুকড করে ফেলে। এতে দেশের সিনেমা মানসম্মত হল না পেয়ে মুখ থুবড়ে পড়ছে। দেশের সিনেমাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এ নিয়ে চলচ্চিত্রাঙ্গণের বিভিন্ন সংগঠন আন্দোলন, কর্মসূচি পালন করলেও কোনো লাভ হচ্ছে না। এ সুযোগে কলকাতার সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত চ্যাম্প নামে একটি সিনেমা সাফটা চুক্তির আওতায় আনা হচ্ছে। সিনেমাটি আনছে তিতাস কথাচিত্র। তিতাস কথাচিত্রে কর্ণধার আবুল কালাম জানিয়েছেন, রোজার আগেই চ্যা¤প মুক্তির অনুমতি চেয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। মন্ত্রণালয়ের অনুমতি এখনও পাইনি। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। আশা করছি আগামী মাসে চ্যা¤প বাংলাদেশে মুক্তি দিতে পারবো। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চ্যা¤প সিনেমার বিনিময়ে কলকাতায় যাচ্ছে বাংলাদেশের সিনেমা মাস্তানি। সিনেমাটি বাংলাদেশে মুক্তি পায় ১৯ আগস্ট ২০১৬। বলা বাহুল্য, নামকাওয়াস্তে বাংলাদেশের সিনেমা কলকাতায় মুক্তি দিয়ে সাফটা ও যৌথ প্রযোজনার নামে বাংলাদেশের সিনেমার বাজার দখল করার জন্য একটি চক্র উঠেপড়ে লেগেছে। অথচ কলকাতার সিনেমা কলকতায়ই ব্যবসা করতে পারছে না। সেখানে তাদের সিনেমার বাজার খুবই মন্দাবস্থার মধ্য দিয়ে চলছে। এই মন্দা কাটাতে এবং বাংলাদেশের সিনেমা বাজার দখল করতে এখন তারা জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন