অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ও কানাডার টরেন্টোসহ সাত শহরে বাংলাদেশের আরও সাতটি নতুন মিশন স্থাপন এবং ইতোমধ্যে স্থাপিত ১৭টি মিশনকে ভূতাপেক্ষ অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এসব প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয় বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান।
সভা শেষে সচিবালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আফগানিস্তানের কাবুল, সুদানের খার্তুম, সিয়েরালিওনের ফ্রি টাউন, রোমানিয়ার বুখারেস্ট, ভারতের চেন্নাই, অস্ট্রেলিয়ার সিডনি এবং কানাডার টরেন্টোতে বাংলাদেশের নতুন মিশন হবে।
এছাড়া ১৭টি মিশন ২০১৪ সাল থেকে কাজ চালিয়ে আসছে, যেগুলোর অনুমোদন আগে নেওয়া হয়নি। রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী মিশন স্থাপনের আগে মন্ত্রিসভার অনুমোদন নিতে হয়। এ কারণে এখন ভূতাপেক্ষ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
নতুন করে স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া মিশনগুলোর মধ্যে চারটি মিশন আগে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, ওই চারটির সঙ্গে আরও তিনটি নতুন মিশন খোলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
২০১৪ সাল থেকে চালু থাকা মিশনগুলো হল- এথেন্স, মিলান, মুম্বাই, ইস্তাম্বুল, লিসবন, কুনমিং, বৈরুত, মেক্সিকো সিটি, ব্রাসিলিয়া, পোর্ট লুইস, কোপেনহেগেন, ওয়ারশ, ভিয়েনা, আদ্দিস আবাবা, আবুজা, আলজিয়ার্স ও গোয়াহাটি।
পেপারলেস ট্রেডে যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ
কয়েকটি দেশের সঙ্গে ‘পেপারলেস ট্রেড’ চালু করতে একটি ফ্রেমওয়ার্কে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ‘ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট অন ফ্যাসিলিটেশন অব ক্রস-বর্ডার পেপারলেস ট্রেড ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক’ নামের এই কাঠামো চুক্তির আওতায় সদস্য দেশগুলো ‘পেপারলেস ট্রেড’ অর্থাৎ অনলাইন ট্রেড সিস্টেম চালু করবে।
“ব্যবসা বাণিজ্যের গতি স্মুথ করতে পেপারেলস সিস্টেমটাকে এখানে বড় ইন্সট্রুমেন্ট হিসেবে গণ্য করা হয়।”
নজরুল ইনস্টিটিউট আইন
বোর্ডের সদস্য সংখ্যা দুই জন বাড়িয়ে নজরুল ইনস্টিটিউট আইনের খসড়ায় এদিন চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
শফিউল আলম বলেন, নজরুল ইনস্টিটিউট অর্ডিনেন্স ১৯৮৪-কে বাংলায় অনুবাদ করে নতুন আইন করা হচ্ছে। আইনে তেমন বড় কোনো পরিবর্তন সেখানে করা হয়নি।
“আগে বোর্ডে সাতজন সদস্য ছিল, এখন এই সংখ্যা বাড়িয়ে নয় জন করার প্রস্তাব করা হয়েছে।”
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন