বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিনোদন প্রতিদিন

এবার তবলিগ জামায়াতে অংশগ্রহণ করতে নারায়ণগঞ্জ আসছেন অনন্ত

বিনোদন ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১৭ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক, প্রযোজক এবং বিশিষ্ট শিল্পপতি এবার তবলিগ জামায়াতের সাথে নারায়ণগঞ্জ আসছেন। ১৮ আগস্ট থেকে ২০ আগস্ট এই তিন দিন তিনি জামায়াতে অংশগ্রহণ করবেন। গত ১৫ আগস্ট তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি ভিডিও আপলোডের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় অবস্থিত বাইতুল আকসা জামে মসজিদে তিনি অবস্থান করবেন। মসজিদটি ফতুল্লা থানার এনায়েত নগর, পশ্চিম মাজদাইর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে অবস্থিত। ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। আসুন আমরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি এবং আল্লাহতায়ালার কাছে প্রার্থণা করি, যেন তিনি আমাদের সবাইকে ইসলামের নিয়ম-কানুন মানার তৌফিক দান করেন। এর পাশাপাশি তিনি সকলের কাছে আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশে এখন ভয়াবহ বন্যা চলছে। আসুন, আমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াই এবং আল্লাহতায়ালার কাছে এই সঙ্কট নিরসনের প্রর্থাণা করি। দেশকে ভালবাসুন, দেশের মানুষের পাশে থাকুন। নারায়ণগঞ্জে তিন দিন অবস্থান কালে তিনি সাধারণ মানুষের কাছে ইসলামের শান্তির বাণী প্রচার এবং মানবতার কল্যাণে নিয়োজিত হওয়ার আহ্বান জানাবেন। উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই আনন্ত ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে তিন দিনের তাবলিগ জামায়াতে ছিলেন। সেসময় তিনি ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে উপস্থিত হয়ে সবাইকে ইসলামের দাওয়াত দেন। ইসলামের শান্তির বাণী প্রচার নিয়ে বিশ্বের গণমাধ্যমে এ সংবাদ ফলাও করে প্রচার করা হয়। এ সময় তিনি ঘোষণা দেন, আগামী এক বছর নিজেকে ইসলামী কার্যক্রমের সঙ্গে নিয়োজিত রাখবেন। তার এ সংবাদ প্রকাশ করে এএফপি, দ্য ডেইলি মেইল, আরব নিউজ, ইন্ডিয়ান নিউজসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। এএফপির সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেছেন। আমি তার শুকরিয়া আদায় করছি। যদি আমি তরুণ প্রজন্মের কাছে ইসলামের বাণী পৌঁছে দিতে পারি, তবে তারা উপকৃত হবেন। তারা রাসুল (স.)-এর পথের অনুসারী হতে পারবেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন। এতে আমাদের সমাজে শান্তি, শৃঙ্খলা, মূল্যবোধ বৃদ্ধি পাবে এবং যুব সমাজ অপকর্ম থেকে বিরত থাকবে। তিনি বলেন, সমাজে আজ যে অনাচার এবং নৃশংস ঘটনার সৃষ্টি হচ্ছে, তা মূল্যবোধের চরম অবক্ষয় থেকে ঘটছে। যদি ধর্মীয় মূল্যবোধকে মানুষের মধ্যে কার্যকরভাবে জাগিয়ে তোলা যায়, তবে এ ধরনের জঘন্য অপকর্ম অনেকাংশে হ্রাস পাবে। আমি আমার জায়গা থেকে যতটুকু সম্ভব, মানুষের মধ্যে এ মূল্যবোধ জাগ্রত করার চেষ্টা করছি। এতে একজনও যদি উপকৃত হয়, তবে নিজেকে সার্থক মনে করব।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন