শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক

এ, কে , এম, ফজলুর রহমান মুন্শী | প্রকাশের সময় : ২৪ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

হজ্জ ইসলামী ইবাদতের চতুর্থ স্তম্ভ
কুরআনুল কারীমে মহান রাব্বুল আলামীন হজ্জ ফরজ হওয়ার ঘোষণা এভাবে প্রদান করেছেন। ইরশাদ হয়েছে : আল্লাহর সন্তোষ্টির জন্য মানুষের কর্তব্য হচ্ছে আল্লাহর ঘরের হজ্জ করা সেই লোকের, যার সেই পর্যন্ত যাতায়াতের সামর্থ্য আছে। (আল ইমরান : আয়াত ৯৭)। এই আয়াতের মর্মের আলোকে বুঝা যায় যে, আল্লাহর ঘর পর্যন্ত যাতায়াতের যাবতীয় ব্যয়, সুযোগ সুবিধা ও শক্তি সামর্থ্যরে অধিকারী প্রত্যেক ব্যক্তির উপর হজ্জ করা ফরজ। তারপর আল্লাহপাক হিজরী ষষ্ঠসালে হজ্জ ফরজ হওয়ার চূড়ান্ত নির্দেশ প্রদান করেন। ইরশাদ হয়েছে : তোমরা আল্লাহর সন্তোষ্টির জন্য হজ্জ ও উমরা সম্পূর্ণরূপে আদায় কর। (সূরা বাকারাহ : আয়াত ১৯৬)।
হজ্জের ফজিলত সম্পর্কে হযরত আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেছেন : আমি রাসূলুল্লাহ (সা:) কে বলতে শুনেছি : যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তোষ্টির জন্য হজ্জ করল। এবং এ সময়ের মধ্যে স্ত্রী সম্ভোগ ও কোনরূপ ফাসেকী কাজ করল না, সে তার মাতা কর্তৃক ভূমিষ্ঠ হওয়ার দিনের মতই হয়ে গেল।” (সহীহ বুখারী)। এ পর্যায়ে অবশ্যই অনুধাবন করা দরকার যে, হজ্জ শব্দের আভিধানিক ও ব্যবহারিক অর্থ কি? এ প্রসঙ্গে অভিধানবিদ খলীল বলেছেন : “হজ্জ শব্দের অর্থ কোন বিষয়ের বা কাজের ইচ্ছা বা দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করা এবং কোন মহৎ বিরাট কাজের বারবার সংকল্প ও ইচ্ছা গ্রহণ করা।” আর আল্লামা আজহারী বলেছেন : “হজ্জ অর্থ কোনস্থানে একবারের পর দ্বিতীয়বার আসা। এ কারণেই মক্কা গমনকে আল্লাহর ঘরের হজ্জ বলা হয়। কেননা, জনগণ প্রত্যেক বছর আল্লাহর ঘর যিয়ারতের জন্য আসে।”
বস্তুত : ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় : আল্লাহর ঘরের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে কতকগুলো বিশেষও নির্দিষ্ট কাজ সহকারে মর্যাদা পূর্ণ ঘরের যিয়ারতের সংকল্প করাই হলো হজ্জ। এ প্রসঙ্গে আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী (রহ:) বলেছেন : আল্লাহর ঘরের সম্মান ও মহানত্ব প্রকাশের উদ্দেশ্যে উহার যিয়ারতের সংকল্প করাই হলো হজ্জ। এ প্রসঙ্গে আল্লামা কিরমানীর বক্তব্য খুবই উপযোগী। তিনি বলেছেন : কাবাঘরের অনুষ্ঠানাদি পালন ও আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের উদ্দেশ্যে তথায় গমন করাই হলো হজ্জ।
মহান রাব্বুল আলামীন কুরআনুলকারীমে সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন যে, “হজ্জ আদায়কালে স্ত্রী সম্ভোগ, ফাসেকী ও গোনাহের কাজ, এবং ঝগড়া বিবাদের কোনই অবকাশ নেই। (সূরা বাক্বারাহ। আয়াত ১৯৭)। এ সকল আবিলতা হতে বিমুক্ত হয়ে যে ব্যক্তি হজ্জ ক্রিয়া সম্পন্ন করতে সক্ষম হবে, সে সদ্যজাত শিশুর মতই নিষ্পাপ হয়ে যাবে। এর কোন ব্যতিক্রম হবে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন