বাংলা বর্ণমালার সবচেয়ে প্রিয় বর্ণটি তার ‘প’। ব্যাখ্যাস্বরূপ প-তে পড়ালেখা আবার প-দিয়েই শুরু পরিশ্রম। আর এই ‘প’-কে ভালবেসে জীবনের বেশ খানিকটা পথ পাড়ি দেয়া হয়েছে। ছবি তোলা, ছবি আঁকা, নৃত্য পরিবেশন ও পরিচালনা, ফিল্মের প্রতি দুর্বলতা, অভিনয় করা সবকিছুই তার দ্বিতীয় ‘প’-এর থেকেই আসা। হ্যাঁ, ছেলেটি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) অধ্যয়নরত নীলফামারীর শামসুজ্জামান সুমন। পুরো ক্যাম্পাসে অবশ্য তিনি সামস সুমন নামেই পরিচিত।
ক্যাম্পাসে কমবেশি সকলের কাছেই পরিচিত নাম শামস্ সুমন। একাধারে ফিল্ম ডিরেক্টর, ফটোগ্রাফার, অংকন শিল্পী, সফল ড্যান্স ডিরেক্টর, ড্যান্স পারফর্মার, অভিনয়শিল্পী ও সফল সংগঠক হিসেবেও তার যথেষ্ট খ্যাতি রয়েছে। প্রকৃতির সাথে মিশে গিয়ে প্রাকৃতিক বস্তুগুলোকে পেন্সিলের স্কেচে কিংবা মাটির মূর্তিতে ফুটিয়ে তোলা রেখা মানুষের স্কেচ অংকন, কিংবা মোমের মূর্তি তৈরি করায় দক্ষ সুমন। শুধু তাই নয়; কবিতা লেখা, ছোটগল্প লেখা, শর্ট ফিল্ম তৈরিতেও রয়েছে তার যথেষ্ট আগ্রহ।
ফিল্মের প্রতি দুর্বলতা থেকে তিনি তৈরি করেছেন “বাটারফ্লাই ফিল্ম সোসাইটি” নামে ব্যক্তিগত একটি প্রোডাকশন হাউজ। আর এখানে তার সাথে জড়িত আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স শিক্ষার্থী মো. আশরাফুল আলম। এদের যৌথ উদ্যোগে শেষ হতে চলছে ১ ঘণ্টা ২০ মিনিটের একটি টেলিফিল্ম ‘জেড-ফ্যাক্টর’। এছাড়াও বাটারফ্লাই ফিল্ম প্রোডাকশন ও পদচিহ্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে দেশের সকল কৃষি সম্পর্কিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সুমন আয়োজন করে “এগ্রি-ইয়ুথ ফটোগ্রাফী কন্টেস্ট-২০১৫”। প্রতিনিয়তই কাজ করে যাচ্ছে সুমন। ইভটিজিং নিয়ে সুমনের শর্ট ফিল্ম ‘জাগরণ’ ক্যাম্পাসসহ বাইরেও যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছে।
নিজের সম্পর্কে সামস সুমন বলেন, জীবনে আরও পরিশ্রম করতে চাই। সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে সবাইকে আনন্দ দিতে চাই। দু’চোখে স্বপ্ন দেখি, ক্যামেরার লেন্সে তার প্রতিফলন ঘটানোর চেষ্টা করি। ক্যামেরার লেন্স আমার তৃতীয় আরেকটি চোখ। তবে ভালো কিছু করার জন্য প্রয়োজন কিছু ভালো মানুষের আর তাদের সাহায্য সহযোগিতা।
ষ মো. আশরাফুল আলম
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন