রোববার, ২৬ মে ২০২৪, ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বেহাল মহাসড়ক

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে চলাচল দায় হয়ে পড়েছে

মিজানুর রহমান তোতা | প্রকাশের সময় : ২৮ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

‘সড়কের যে অবস্থা তাতে রাস্তা ঘাটে চলাচল করা দায় হয়ে পড়েছে। আর গাড়ী চালানোয় যায় না। যাত্রীরা গাড়িতে বসে ছোট বড় গর্ত ও ভাঙাচুরায় ঝাকুনি খেয়ে শুধু উহু উহু করেন। ঝুকি নিয়ে গাড়ী চালাতে কষ্ট হয়’- কথাগুলো বললেন, সাতক্ষীরার পরিবহন চালক ইরফান আলী। দক্ষিণ-পশ্চিমের সড়ক ও মহাসড়কের অবস্থা বেহাল। যশোর, খুলনা, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, নড়াইল, মাগুরা ও চুয়াডাঙ্গাসহ অঞ্চলটির ১০ জেলায় ১৮টি রুটের সড়ক ও মহাসড়কের ২৪টি রাস্তায় ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন পয়েন্টে। সাতক্ষীরায় এমন কোন রাস্তা নেই যেখানে ক্ষতবিক্ষত হয়নি। একই অবস্থা ঝিনাইদহ ও যশোরের। যশোর-খুলনা, যশোর চুকনগর, যশোর-সাতক্ষীরা, যশোর-বেনাপোল, যশোর-ঝিনাইদহ, যশোর-মাগুরা এবং যশোর-নড়াইল সড়কের মাইলের পর মাইল ভাঙ্গাচুরা। সড়ক বিভাগ জোড়াতালি দিয়ে রাস্তায় ইট, বালি, পাথর বিছিয়ে কোনরকমে চলাচলের উপযোগী করার চেষ্টা করছে। এদিকে, গতকাল যশোর সার্কিট হাউজে সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীদের সঙ্গে বৈঠক করে সড়কের অবস্থা জানতে চান। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যে, ঈদে মানুষ যাতে নির্বিঘেœ চলাচল করতে পারে সেজন্য ২৪ ঘন্টার মধ্যে সকল সড়কের সংস্কার ও মেরামত করতে হবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ অফিস থেকে এর আগে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় সড়কের বেহাল অবস্থার কথা উল্লেখ করে। তাতে উল্লেখিত ছিল, যশোর-খুলনা মহাসড়কের ৩৮ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে চাঁচড়া মোড়, মুড়লী, রাজঘাট, বসুন্দিয়া, প্রেমবাগ, চেঙ্গুটিয়া ও ভাঙ্গাগেটসহ বিভিন্নস্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যশোর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, এবারের বর্ষায় রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঈদের আগে সড়কগুলো চলাচলের উপযোগী করার জোর চেষ্টা চলছে। যাতে মানুষ ঈদে স্বাচ্ছন্দে চলাচল করতে পারে। সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহসহ অন্যান্য জেলার সড়ক ও জনপদ দপ্তর সুত্রে একই ধরণের বক্তব্য পাওয়া গেছে। বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী পরিবহন চালকদের কথা, খুব কষ্টে ভাঙ্গাচুরা রাস্তা পার হতে হচ্ছে। তাদের কথা, ঈদের মাত্র ৪/৫দিন বাকি। এর মধ্যে সব ভাঙ্গাচুরা সড়ক ও মহাসড়ক মেরামত করা হবে কষ্টসাধ্য। ফলে ঈদযাত্রা স্বাচ্ছন্দ্য হচ্ছে না এটি অনেকটা নিশ্চিত করে বলা যায়। তবে সড়ক বিভাগের কর্মকর্তাদের বক্তব্য সড়ক ও সেতু মন্ত্রীর নির্দেশে দিনরাত মেরামতের কাজ চলছে। চলাচলের অসুবিধা হবে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যশোর-ঝিনাইদহ সড়কের ১৬ কিলোমিটারের মধ্যে ১২ কিলোমিটার সড়ক বিধস্ত। যশোর-মাগুরা সড়কের কদমতলী, সীমাথালি, লেবুতলা বাজার ও রজনীগন্ধা পাম্প এলাকা খুবই খারাপ অবস্থা। যশোর নড়াইল সড়কের ২০ কিলোমিটার সড়কে মনিহার থেকে হামিদপুর অংশের পুরোটাই ছোটবড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আর ভাঙ্গাচুরা তো আছেই। যশোর-বেনাপোল সড়কের পুলেরহাট থেকে নাভারণ মোড় পর্যন্ত সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী। যশোর-খুলনা এবং যশোর- বেনাপোল সড়ক মেরামতে ৬শ’৪২ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। দ্রুতই দরপত্র আহ্বান করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন