শেরপুরের নালিতাবাড়ি উপজেলায় পুলিশের হেফাজত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর বিশ্বজিৎ চন্দ্র দে (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) আমিনুল ইসলামকে আহ্বায়ক, সহকারী পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম ও ডিআইও-১ মিজানুর রহমানকে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ। পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আজ ৩ অক্টোবর দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার রফিকুল হাসান গনি।
পুলিশ সুপার এসময় বলেন, নিহত বিশ্বজিৎকে ১ অক্টোবর রাতে পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর ওই দিন রাত সাড়ে দশটার দিকে সম্পূর্ণ সুস্থভাবে পুলিশ হেফাজত থেকে তার পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেয়া হয়। যা থানার সিসি ক্যামেরার ফুটেজে রয়েছে। পরে ফুটেজ সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরা হয়। যেখানে সুস্থভাবেই বিশ্বজিৎকে তার স্বজনদের সাথে চলে যেতে দেখা যায়।
বাসায় গিয়ে রহস্যজনকভাবে তার মৃত্যু হয়। পুলিশের ধারনা অতিরিক্ত মদ্যপান করায় তার মৃত্যু হতে পারে।
বিশ্বজিতের মৃত্যুর পর তার পরিবারের সদস্যরা জানায়, পুলিশের নির্যাতনে বিশ্বজিতের মৃত্যু হয়েছে, এ খবর ছড়িয়ে পড়লে তার লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসী। এসময় ভাংচুর করা হয় সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয়। এসব ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন একটি মহল আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে খারাপর করার জন্যই এ কাজ করেছে।
এদিকে জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে বিশ্বজিতের শরীরে কোন আঘাতে চিহ্ন দেখা যায়নি। তবে তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ভিসেরা রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন