বিদেশ যেতে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদকে অবহিত করে আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। গতকাল মঙ্গলবার আইন মন্ত্রনালয়ে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক। তিনি ইনকিলাবকে বলেন, মহামান্য প্রেসিডেন্ট বরাবর প্রধান বিচারপতি বিদেশে যাওয়ার জন্য চিঠির একটি অনুলিপি আমরা পেয়েছি। এটি এখন প্রক্রিয়াধীন।
এদিকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেছেন, আমরা যখন বিদেশে যাই, তখন একটি জিও (সরকারি আদেশ) করতে হয়। প্রধান বিচারপতি যখন বিদেশ যান, তখন তাঁর জনও জিও করতে হয়। তিনি জিও করার জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন বলে আমি শুনেছি। আইনমন্ত্রী আরো বলেন, চিঠি আমার মন্ত্রণালয়ে পৌঁছার পর সচিব মহোদয় আমাকে জানিয়েছেন যে এটা পৌঁছেছে। এখন প্রসেস করা হচ্ছে। আমার কাছে না আসা পর্যন্ত এটার কনটেন্ট (বিষয়ববস্তু) কী আমি বলতে পারব না।
অপরদিকে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বিদেশে যেতে প্রেসিডেন্ট বরাবর চিঠির পাঠিয়েছেন এমন বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্ট কোন কর্মকর্তা মন্তব্য করতে রাজি হননি। তারা বিষয়টি এড়িয়ে যান।
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর এ নিয়ে সরকার ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সংক্ষুব্ধ হয়। বিশেষ করে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ নিয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছিলেন মন্ত্রী, দলীয় নেতা ও সরকারপন্থী আইনজীবীরা। তাঁরা প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবিও তোলেন।
সুপ্রিম কোর্ট খোলার দিনই অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে প্রধান বিচারপতি ৩ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত ৩০ দিনের ছুটিতে যান বলে সাংবাদিকদের জানান আইন মন্ত্রনালয়। তবে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বিএনপির সমর্থিত আইনজীবীরা অভিযোগ করেছেন, প্রধান বিচারপতি অসুস্থ নন, তাঁকে জোর করে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখা হয়েছে। এ নিয়ে তাদের সকল জেলা বারে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে। যদিও আওয়ামী আইনজীবীরা তাদের সঙ্গে এত মত পোষন করেনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন