শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

তাবলীগে টঙ্গী রণক্ষেত্র

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

টঙ্গিতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে তাবলীগের দুই পক্ষের দফায় দফায় ব্যাপক সংঘর্ষে ইসমাইল মন্ডল (৭০) নামে একজন নিহত ও তিন শতাধিক আহত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সংঘর্ষের পর বিকেল থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের কারণে বিমানবন্দর সড়ক সংলগ্ন খিলক্ষেত, কুড়িল, বনানী, মিরপুরসহ আশপাশের সংযোগ সড়কগুলোতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন কর্মস্থলগামী মানুষ। এমনকি বিদেশগামী যাত্রীরাও বিপাকে পড়েন। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ইজতেমা ময়দানে উপস্থিত হয়ে মুসল্লিদের চলে যেতে বলেন। এরপর দু’পক্ষের লোকজনই সেখান থেকে সরে যান। এ ঘটনার পর গতকাল বিকেলে তাবলীগ জামাতের দুই পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্বাচন পর্যন্ত ইজতেমার সব আয়োজন বন্ধ থাকার সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে। গতকাল সন্ধ্যায় টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি মো. কামাল হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, সাদপন্থী ও  জোবায়েরপন্থীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। এ ঘটনায় একজন নিহত হয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। বর্তমানে তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার ময়দানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় একজন নিহত ও বহু আহত হয়েছেন। আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
টঙ্গী সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক মনিরা জানান, ইজতেমা ময়দানে সংঘর্ঘের ঘটনায় শতাধিক মুসল্লিকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্র্রাফিক উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার প্রবীর কুমার দাশ জানান,  ভোর থেকেই আশকোনা এলাকায় মারমুখী অবস্থান নেয় তাবলীগ জামায়াতের দুই গ্রুপ। উত্তরার আবদুল্লাহপুরে অবস্থান নেয় আরেক পক্ষ। সংঘর্ষের পর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় সড়ক স্থবির হয়ে পড়ে। তারা সড়কে অবস্থান নেয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় বিকেল পর্যন্ত।
স্থানীয় ও তাবলীগের মুরব্বিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৩০ নভেম্বর থেকে (৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত) পাঁচ দিনের জোড় (সম্মিলন) আয়োজন করার কথা ছিল ভারতের তাবলীগ জামাতের মুরব্বি মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীদের। আর তাবলীগের দেওবন্দপন্থীরা ঘোষণা দিয়েছেন, তারা ৭ ডিসেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জোড় আয়োজন করবেন। সাদপন্থীদের আগামী ১১ জানুয়ারি  থেকে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত তিন দিনের ইজতেমা এবং দেওবন্দপন্থীদের আগামী ১৮ জানুয়ারি থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনদিনের ইজতেমা করার কথা রয়েছে। এই বিবাদের জেরে আগে থেকেই ইজতেমা ময়দানে দেওবন্দপন্থীরা মাঠ দখল করে পাহারা দিচ্ছে বলে গত ২৯ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন সাদপন্থীরা। এ ক্ষেত্রে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনাও করেন সাদপন্থী তাবলীগের অনুসারীরা।
সাদপন্থীরা বলছেন, তাদের আয়োজনকে ঠেকাতে আরেক গ্রুপ গতকাল ভোরে ঢাকা থেকে টঙ্গীমুখী সড়কে অবস্থান নিলেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়।
টঙ্গী থেকে মো. হেদায়েত উল্লাহ জানান, টইজতেমা সূত্র এবং প্রত্যক্ষদর্শী মুসল্লিরা জানান, টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে জোড় ইজতেমাকে কেন্দ্র করে মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সাদ গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েন মুসল্লিরা। জোড় ইজতেমা উপলক্ষ্যে মাওলানা জুবায়ের গ্রুপের তাবলীগ জামাতের মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে আগে থেকেই অবস্থান নিয়েছিলেন। শনিবার ভোর থেকেই সাদ গ্রুপের অনুসারীরা ইজতেমা ময়দান এলাকায় আসতে শুরু করেন এবং ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা চালান। এ নিয়ে ইজতেমা মাঠের প্রবেশ পথগুলোতে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এতে দফায় দফায় উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শী মুসল্লিরা জানান, সকাল থেকে সাদ গ্রুপের মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠের চারপাশের প্রবেশপথ এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নেন। এতে ওই সড়কে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এ সময় যোবায়ের গ্রুপের মুসল্লিরাও মহাসড়কে এসে অবস্থান নিলে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে দুপুরের দিকে সাদ গ্রুপের মুসল্লিরা জুবায়ের গ্রুপের মুসল্লিদের ওপর হামলা চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ইসমাইল মন্ডল (৭০) নামে একজন মুসল্লি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। ইসমাইল মন্ডলের বাবার নাম খলিল মন্ডল এবং তার গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলায় বলে জানা গেছে। এ ছাড়াও উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠিসোঁটার আঘাতে মো. সাইফুল ইসলাম (৪০), মাওলানা তাওহিদুল ইসলাম (৫৫), হাফেজ আবু বক্কর (৩৫), মো. গোলাম কিবরিয়া (৪২), জুয়েল (১৮), হাজী মো. রেজাউল করিম (৪৫), আশরাফুল ইসলাম (২৪), মতিউর রহমান (৪২), মাহমুদ হাসান (৩২), শামীম আহমেদ (২৩), মনিরুল ইসলাম (২৫) মানিক হোসেন (৩৩), দাউদ আহমেদ (৩৪), তাহের আলী (৪৪), আবু নাঈম (২৩), আবুল কালাম আজাদসহ (৪৪) অন্ততঃ তিন শতাধিক মুসল্লি আহত হয়ে টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল ও স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে জড়ো হন। আহতদের বেশির ভাগেরই মাথা, নাক ও পিঠে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে অঝোরে রক্ত ঝরছিল। গুরুতর আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ সময় রক্তাক্ত অবস্থায় শতাধিক আহত মুসল্লিকে টঙ্গী হাসপাতালসহ আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে গুরুতর আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করলে সরকারি হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পারভেজ হোসেন বলেন, এক সাথে রক্তাক্ত জখমের এত রোগী টঙ্গী হাসপাতালে আর আসেনি। আমরা সবাই মিলে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী এক মুসল্লি জানান, শনিবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটের সময় রাজধানীর উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরে বিশ্বনবী (স.) দারুল  উলুম মাদরাসার সামনে তাবলীগ জামাতের দু’গ্রুপ সাদপন্থী ও যোবায়েরপন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং উভয় গ্রুপের মুসল্লিরা মহসড়কে অবস্থান নিলে বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় শত শত সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অনেকেই যানবাহন না থাকায় হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। শুধু তাই নয়, বিদেশগামী সাধারণ মানুষও চরম ভোগান্তির শিকার হন। অনেকে বিমানবন্দরে আসার জন্য ট্টেনে চড়ে বিমানবন্দর স্টেশনে আসেন। একই ধরনের পরিস্থিতিতে পড়তে হয় বিদেশ ফেরত যাত্রীদের। অনেকেই দেখে গেছে যানবাহন না থাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিমানবন্দরে বসে আছেন।
মুসল্লিরা আরো জানান, এর আগে সকাল সোয়া ৮টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর গোলচত্বরে তাবলীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে বিমানবন্দর সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে কয়েক প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন করা হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ইজতেমা ময়দান খালি করে দেয়ার জন্য তাবলীগ জামাতের উভয় পক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়।
টঙ্গী কামারপাড়া রোডের চা-বিক্রেতা সোহাগ ও রাকিব জানান, জোবায়েরপন্থী মুসল্লিরা বুধবার ২৮ নভেম্বর রাত থেকে ইজতেমা ময়দানের ভেতরে অবস্থান  নেন। তারা শুক্রবার ৩০ নভেম্বর সকালে ইজতেমা ময়দানে ঢোকার সব গেট বন্ধ করে দেন। বাইরের সাধারণ মুসল্লিদেরও ইজতেমা মাঠে জুমার নামাজ আদায় করতে দেয়া হয়নি।
তারা আরো জানান, শনিবার ভোরে ফজরের নামাজের আগে থেকে মাওলানা সাদপন্থী মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠের চারদিকে টঙ্গী বাটাগেট ও কামাড়পাড়া  রোডে তসবিহ ও কিতাব হাতে অবস্থান নেন। পরে সকাল সাড়ে ১০টায় ইজতেমা মাঠের ভেতর থেকে সাদপন্থী মুসল্লিদের উদ্দেশে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরে ওই ইটপাটকেলগুলো নিয়ে সাদপন্থী মুসল্লিরা পাল্টা জোবায়েরপন্থী মুসল্লিদের দিকে নিক্ষেপ করেন। এতে উভয়পক্ষের প্রায় শতাধিক মুসল্লি মাথায় আঘাত পান।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক
৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ কারণে নির্বাচন পর্যন্ত ইজতেমার সব আয়োজন বন্ধ থাকার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। শনিবার বিকেলে সচিবালয়ে তাবলীগ জামাতের দুই পক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি  যে, ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সে জন্য আমরা আগেও বলেছিলাম নির্বাচনের আগে কোনো ধরনের ইজতেমা হবে না। আমরা সেটাকেই আবার রিপিট করেছি- ইলেকশন পর্যন্ত ইজতেমার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতিসভা কিংবা জোড় ইজতেমা কিংবা ইজতেমার জন্য সব ধরনের কার্যকলাপ সারা  দেশব্যাপী বন্ধ থাকবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা আবারো রিপিট করছি, ইজতেমার তারিখ কিন্তু বন্ধ হচ্ছে না, ইজতেমার তারিখ শুধু শিফট হচ্ছে, ইলেকশনের পর যে কোনো সময় এটা হবে। এখন থেকে ইজতেমার মাঠ প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। প্রশাসন সেটা নিয়ন্ত্রণে রাখবে, আমরা সেখানে কাউকে অ্যালাউ করব না। আজকে যে ঘটনা ঘটেছে, তারা সবাই নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়েছেন। এ বিষয়ে  ফৌজদারি মামলা হবে। ফৌজদারি মামলায় যেভাবে তদন্ত হয়, সেভাবেই তদন্ত হবে। তদন্তে চিহ্নিত দোষী ব্যক্তিদের আইনানুযায়ী বিচার হবে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দিল্লি মারকাজের মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভিপন্থী বাংলাদেশে তাবলীগের শুরা সদস্য সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, বিরোধীপক্ষ কওমিপন্থী মাওলানা জুবায়েরের পক্ষ থেকে তাবলীগের উপদেষ্টা মাওলানা আশরাফ আলী ও আবদুল কুদ্দুস প্রমুখ। এ ছাড়া পুলিশের মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া ও মাওলানা ফরিদ উদ্দীন মাসঊদ প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (17)
Md Mainul Islam ২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৫৫ এএম says : 1
কেনো এরকম হলো ভাবতে খুব অবাক লাগে।আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুক ও সঠিক পথে চলার তৌফিক দেক।আমিন,খুব আপসোস লাগছে,যারা ভাই ভাই বলে সস্মোধন করত অথচ তারা আজ... আপসোস
Total Reply(1)
Abu Kawsar Yousuf ২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৫৬ এএম says : 4
সংস্কার, নেতৃত্ব, আধিপত্য, গ্রুপ, মূল সমস্যা।
MD Habibur Rahman Akash ২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৫৬ এএম says : 2
কোরআন বাদ দিয়ে ফাযায়েলে আমল বই ধরেছে,আর এখন তার ফায়দা শুরু হয়েছে।
Total Reply(1)
Hasan ২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১০:৫৭ এএম says : 4
তাবলীগ দ্বীন আল-ইসলামের একটি অংশ। দ্বীনের তাবলীগ করার নির্দেশনা আল- কোরআন-এ-কারিমে এসেছে। কাজেই তাবলীগের মহান দায়িত্ব পালন করা মানে কোরআন বাদ দেয়া নয় বরং আল- কোরআন-এ-কারিমেরই অনুসরন। ফাজায়েলে আমাল হচ্ছে আমালের উপকারিতা/লাভ সংশ্লিষ্ট আল- কোরআন-এ-কারিমের আয়াতে কারিমা ও হাদিস শরীফের সন্নিবেশ এবং সাহাবায়ে কেরাম (রা) ও বুজুরগানে দ্বীনের জীবনের বিভিন্ন ঘটনা ও নসিহতের সন্নিবেশ। যা পড়া হয় মানুষের মনে আখিরাতের আমালের আগ্রহ তৈরি করার জন্য ও আল- কোরআন-এ-কারিমের নির্দেশনা মোতাবেক জীবন গড়ার জন্য।
আলোর পথ ২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৫৭ এএম says : 1
শত হলেও ওরা আমাদের মুসলিম ভাই। আল্লাহ সকলকে সঠিক বুঝ দান করুক। আমিন
Total Reply(0)
Md Kamrul Hasan ২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৫৭ এএম says : 1
ভাই হেরা যা করতো রে ভাই ফাজেলে আমল পড়েতে পাড়লেই মনে হয় মুফতি মোহাদ্দিষ হয়ে গিয়েছিল, আর লেখলাম না।
Total Reply(1)
Hasan ২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১১:০২ এএম says : 4
যারা এমনটি মনে করে এটি তাদের বাড়াবাড়ি কিন্তু এটি সবার দৃষ্টিভঙ্গি নয়।
Md Alauddin Sarker ২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৫৮ এএম says : 1
কোরাআনের সংস্পর্শ পেলে এমন ঘটনা কখনও ঘটবে না।
Total Reply(0)
Burhan Uddin ২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৫৯ এএম says : 1
কাজটা ভাল করেনি।
Total Reply(0)
মাহদী হাসান মুয়াজ ২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৫৯ এএম says : 1
রাসুল সাঃ বলেছেন:- إذا إلتقى المسلمان بسيفهما فالقاتل والمقتول في النار "দুইজন মুসলমান তাদের তরবারি নিয়ে মুখোমুখি হলে হত্যাকারী এবং নিহত ব্যক্তি দুজনই জাহান্নামে যাবে ৷ (সহীহ বুখারী , হাঃ 6875, সহীহ মুসলিম , হাঃ 2888)
Total Reply(2)
মুহাঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন ২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০০ এএম says : 4
মাহদী হাসান মুয়াজ যে মরবে সে জাহান্নামী কেন হবে সেইটা বলে দেন?
মাহদী হাসান মুয়াজ ২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০২ এএম says : 4
আল্লাহর রাসূল সঃ নিজেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন উভয়ের উদ্দেশ্য এক ছিলো। কেননা যে হতাহত হলো সেও অপর ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাতিয়ার ব্যাবহার করেছে
Moin Mohammad ২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০৩ এএম says : 1
তাবলীগ এর কাজ- অমুসলিম ব্যতীত মুসলিম কে ইসলামের দাওয়াত দেয়া। আলেমগণ কে মূর্খ মনে করা। নিজেকে বেশী জ্ঞানী মনে করা। আত্মঅহংকারী করা।
Total Reply(1)
Hasan ২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১১:৪২ এএম says : 4
আলেমগণ কে মূর্খ মনে করা, নিজেকে বেশী জ্ঞানী মনে করা, আত্মঅহংকার করা---এসব অবশ্যই অত্যন্ত গর্হিত ও পরিত্যাজ্য । (অমুসলিম ব্যতীত) মুসলিম কে (ইসলামের নয় বরং আমালের) দাওয়াত দেয়ার তাৎপর্য হল জীবনকে আমাল দ্বারা সুসজ্জিত করা, যে ইসলামী জীবনের সৌন্দর্য অমুসলিমদেরকে ইসলামের প্রতি আগ্রহী করে তুলবে।
Md Mamun Hossain ২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০৩ এএম says : 0
এসব কারনে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারে না
Total Reply(0)
Hossain Shaz ২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০৪ এএম says : 1
সরকার কি পারে না রেব বাহিনী পুলিশ বাহিনী সেনাবাহিনী এগুলো দিয়ে বিশ্ব ইজতেমার কর্মসূচি সম্পূর্ণ করতে
Total Reply(0)
MH Manik ২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:০৫ এএম says : 1
তাবলীগ জামায়াতের সাথে পারিবারিকভাবেই ছোটবেলা থেকেই পরিচিত। অনেকবার উনাদের সাথে গিয়েছি। বাড়ির পাশের মসজিদে আসলে খাবারের ব্যবস্থা করেছি। যতটুকু জানি, উনাদের অধিকাংশই নিম্ন-মধ্যবিত্ত, সহজ-সরল মুসলমান। যদের মধ্যে আনুপাতিক হারে প্রবীণের সংখ্যাই বেশি। গ্রাম-বাংলার সোজা-সাপ্টা মানুষগুলোর ধর্মীয় ইমোশনকে ব্যবহার করে কিছু মানুষ দুনিয়ায় নিজেদের আখের গুছিয়ে নিচ্ছে। গ্রুপিং সৃষ্টি করে যারা এই মানুষগুলোকে রক্তাক্ত সংঘর্ষের দিকে ঠেলে দিয়েছে লানত এবং অভিশাপ তাদের উপর। একটা টুপি পাঞ্জাবি ওয়ালা দল আরেকটা পাঞ্জাবি ওয়ালা আর এক দলের উপর হামলাত্র করছে এমন ভিডিও ও ছবি দেখাটা খুবই দুঃখজনক। আল্লাহ মুসলিম মিল্লাতকে ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ করে দিন।
Total Reply(0)
H M AWLAD ২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:২৬ এএম says : 1
পুলিশ কখন আসছে একটু দয়া করে জানাবেন
Total Reply(0)
শরীফ ২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৭:০০ এএম says : 0
সাদপন্থীরা বাটা গেইট ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করেছে। কুরআন তিলাওয়াত অবস্থায় নিরীহ ছাত্রদেরকে রক্তাক্ত করছে। কুরআনে লাথি মেরে সরিয়ে দিয়েছে। চাক্ষুস প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা
Total Reply(0)
আব্দুল্লাহ ২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৭:০৯ এএম says : 0
গত রাতে গঠনাস্থলে উপস্থিত এক জনের সঙ্গে আমার পাশেই এক ব্যাক্তি ফোনে কথাবলছিল৷ যা সে জানাল বাহির থেকে আসা সাদপন্থিদের সাথে কিছু দারি - টুপিবিহীন উগ্র যোবকদের দেখাযায়, যারা ভিতরে অবস্থানরতদের উপর তিব্রআক্রমন করছিল৷ এতে কি প্রতিমান হয়না? যে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাজিয়ে তৃতীয় কোন একটি স্বারথান্যেশী গোষ্ঠী ফায়দা লোটছে!!
Total Reply(0)
মোঃ জসীম উদ্দিন ২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১০:২৭ এএম says : 1
অধিকাংশ মন্তব্যগুলো পড়ে আমার মনে হলো ......... .......দের কোন কাজ নাই। সুযোগ পেলেই ওরা হক্কানী আলেমদের সমালোচনা করার জন্য উঠেপরে লাগে। বিভিন্ন হাদিস নিয়ে হাজির হয় আর কিছু সাধারণ মুসলমান সরল বিশ্বাসে তাদের সাথে তালমিলায়। যখন হযরত আলী রা. এর খেলাফতের সময় মুয়াবিয়া রা. এর সাথে জিহাদ হয়েছিল তখনও তো সবাই মুসলমান ছিল অনেক সাহাবী রা. ছিল। তাতে তো সবাই জাহান্নামী হয়ে যায় নি। সাহাবী রা. গণ জাহান্নামে যাবে এ কথা কেউ বিশ্বাস করলে তো তার ঈমান থাকবে না। কারণ আল্লাহ তাদের উপর খুশি তারাও আল্লাহর উপর খুশি। তারা সৎ পথ প্রাপ্ত। আসলে তথা কথিত ...........রা সব জায়গার ফতুয়াবাজি করে মুসলমানদের ভিতর ফেতনা সৃষ্টি করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। এসব ..........দের থেকে মুসলমানগন যত দূরে থাকবে ততই ভাল। ইসলামের শুরু থেকেই মতপার্থক্য ছিল আছে থাকবেই। ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে আবার আল্লাহ চাহে তো মীমাংসাও হবে ইনশআল্লাহ।মুসলমানদের মধ্যে ভুলবুঝাবুঝির সুযোগে পানি গোলা করা মুসলমানের কাজ না বরং আল্লাহর কাছে দোয়া করা উচিৎ যাতে এত সুন্দর একটা দ্বীনি কাজের কোন ক্ষতি না হয়, আগের মতো সুন্দর ভাবে চলতে পারে।
Total Reply(0)
jack ali ২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১১:১৩ এএম says : 0
O Muslim can't you see muslim's are getting killed raped expelled from their country around the world i.e. mayanmar, kashmir, india......because of You Muslim creating division among themselves. Allah and His Prophet [SAW] ordered us to not to create any group. Allah [SWT] mentioned in the Qur'an that Allah's group is Hezbollah and rest of the group is Hezbous Shaitan. Those muslim's are not united under the Group of Allah [SWT] they belongs to the Group of Hezbous Shaitan... and they will remain in the Jahannam forever. Still there is time submit to the Qur';an and Sunnah ...this will eliminate all the problem inshaAllah.
Total Reply(0)
Dr. Alamin Md.Alauddin ২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৫:৫২ পিএম says : 0
ilias meoati miththa nabir dabidar chilo.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন