গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে তুরাগ অভিমুখে ঢল নেমেছে মুসল্লিদের। শেষ পর্বের বিশ্ব ইজতেমার মোনাজাত ঘিরে রোববার (২২ জানুয়ারি) সকাল থেকেই ইজতেমা ময়দানে মানুষের ঢল নেমেছে। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ সব বয়সী ধর্মপ্রাণ মানুষ শীতকে উপেক্ষা করে ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ছুটছেন।
সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ থেকে ছেড়ে আসা আব্দুল্লাহপুর-টঙ্গীগামী প্রতিটি বাসে ছিল ব্যাপক ভিড়। এছাড়া রামপুরা, বাড্ডা, নতুনবাজার এলাকায় অনেক মানুষকে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
বাড্ডা, রামপুরা ও নতুনবাজার এলাকায় যারা বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের কেউ কেউ বাসে উঠতে পারলেও অনেকের স্থান হয়নি। উপায় না পেয়ে কেউ কেউ বাইকে আবারও কেউ রিকশা বা হেঁটে ইজতেমার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
প্রথমে পর্বের আখেরি মোনাজাত সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১২টার মধ্যে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই মোনাজাত হওয়ায় বিষয়টি মাথায় রেখে দ্বিতীয় পর্বে বহু মানুষ আগেভাগেই ইজতেমার ময়দানে যাচ্ছেন। এবার মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে বেলা ১২ টায়।
ঢাকা ছাড়াও দেশের নানা প্রান্ত থেকে বহু মানুষ আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ইজতেমা ময়দানে যাচ্ছেন। আগেভাগে যারা এসেছেন শীতকে উপেক্ষা করে চটের ছাউনির নিচে অবস্থান নিয়েছেন।
বিশ্ব ইজতেমাকে ঘিরে টঙ্গী ও আশপাশের এলাকায় ধর্মীয় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। আল্লাহু আকবর ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়ে উঠেছে টঙ্গীর আকাশ বাতাস।
বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে পাঁচটি স্পেশাল ট্রেন পরিচালনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেই সঙ্গে আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে ঢাকা ছেড়ে যাওয়া ও ঢাকায় প্রবেশের সময় সব ট্রেন টঙ্গী রেলস্টেশনে থামবে। এছাড়া আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে ‘মোনাজাত স্পেশাল’ নামে বিশেষ ট্রেন পরিচালিত হবে।
বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতকে ঘিরে শনিবার মধ্যরাত থেকে গাজীপুরের কয়েকটি রুটে যান চলাচল বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
গত ১৩ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয়। ১৫ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে তা শেষ হয়।
চার দিন বিরতির পর গত শুক্রবার (২০ জানুয়রি) শুরু হয়ে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। সেদিন বাদ ফজর পাকিস্তানের মাওলানা ওসমানের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার এই পর্বের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। ইজতেমায় আসা মুসল্লিরা মনোযোগ সহকারে ধর্মীয় বয়ান শোনেন। সেখানে শুক্রবার দেশের সর্ববৃহৎ জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর থেকে দুই দিন ইসলামের নানা হুকুম আহকাম নিয়ে বয়ান করেন বিভিন্ন দেশের ইসলামী আলোচকরা। বিশ্বের সকল মুসলমানকে আল্লাহ যেন দ্বীনের পথ দেখান এমনটাই প্রত্যাশা করেন মুরব্বিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন