দেশে বর্তমানে ৩ কোটি ৭৮ লাখ মানুষ তামাক ব্যবহার করে। শতকরা হিসাবে এই হার ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০০৯ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ১৩ লাখ। শতাংশের হিসেবে এই হার ছিল ৪৩ দশমিক ৩ শতাংশ। ৮ বছরে বাংলাদেশে তামাকের ব্যবহার কমার হার ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ। এই তামাক ব্যবহারকারীদের বয়স ১৫ বছরের ওপরে। গতকাল সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ‘আত্মজিজ্ঞাসা’ শিরোনামে ম্যাস মিডিয়া ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে এই তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের পক্ষে এসব তথ্য জানান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য ও বিশ্বস্বাস্থ্য) হাবিবুর রহমান খান। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন এই প্রচারণায় সহায়তাকারী ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিসের হেড অব প্রোগ্রামস ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব শফিকুল ইসলাম, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী (যুগ্ম-সচিব) মো. খলিলুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডাইরেক্টর (অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. নুর মোহাম্মদ। এ সময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা এবং বিভিন্ন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
শফিকুল ইসলাম বলেন, তামাকের বহুমাত্রিক ক্ষতি ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সম্পর্কে গণমাধ্যমে সচেতনতামূলক কর্মসূচি বছরব্যাপী আয়োজন করা দরকার। এতে আইনের বাস্তবায়ন গতিশীল হবে ও মানুষের মধ্যে তামাক গ্রহণের প্রবণতা কমে আসবে। এজন্য স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ তহবিলের আওতায় সরকারের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় এ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হওয়া প্রয়োজন।
অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান জানান, রিলেটিভ রিডাকশান বা আপেক্ষিক হ্রাস বিবেচনায় নিলে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ৮ বছরে বাংলাদেশে তামাকের ব্যবহার কমার হার ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ। তামাকের ভয়াবহতা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল (এনটিসিসি), স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি (এনসিডিসি) এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিস এর যৌথ উদ্যোগে ‘আত্মজিজ্ঞাসা’ শিরোনামে ৩০ সেকেন্ডের একটি টিভি স্পট বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ সরকারি-বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোতে ধারাবাহিকভাবে প্রচার করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এই টিভি স্পটটি গতকাল মঙ্গলবার থেকে শুরু করে আগামী ৬ সপ্তাহে ৫ হাজার বার প্রচারিত হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন