আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংলাপে দলটি জনস্বার্থ মাথায় রেখে প্রস্তাব দিয়েছে, অন্যদিকে বিএনপি দলীয় স্বার্থ বিবেচনায় ইসিতে প্রস্তাব দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দলটি সব সময়ে নিজেদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে দাবি করে তিনি বলেন, প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশন যদি বলতো বিএনপিকে ৩০০ সিটে নির্বাচিত করার পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে; তাতে যেন বিএনপির সোনায় সোহাগা হত। ইসির সঙ্গে সংলাপে জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়নের বিষয়ে আওয়ামী লীগ বিরোধিতা করেনি জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ চেয়েছি। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যে ব্যবস্থা নেয়া দরকার আমরা তাই নিতে বলেছি।
আজ বৃহস্পতিবার মহাখালী সেতুভবনে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে তিনি এসব কথা বলেন। গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত বাস র্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্পের উত্তরা থেকে টঙ্গী চেরাগ আলী মার্কেট পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেস নির্মাণে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
ওবায়দুল কাদের বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আদালতের জবানবন্দির বিষয়ে বলেন, আদালত নিয়ে দ্বি-চারিতা করছে বিএনপি। রায় পক্ষে গেলে বিচার বিভাগ স্বাধীন, আর বিপক্ষে গেলে বিচারকদের প্রভাব খাটানোর অভিযোগ তাদের।
বিএনপি নেতাদের প্রশ্ন রেখে কাদের বলেন, ১৫০ বারের বেশি শুনানির তারিখ পেছানোতে কি আদালতের প্রতি আস্থা প্রমাণ করে।
বিএনপিকে বিশৃঙ্খল দল আখ্যা দিয়ে বলেন, বিনা কারণে (কোন অর্জন না থাকলেও) বেগম জিয়ার দেশে ফেরার দিনে সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে বিএনপি। খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাতে উত্তরা-বনানী সড়কের দুইপাশে অবস্থান নেয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরলেও তাকে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। তারা রাস্তায় দাঁড়ায়নি। কিন্তু বিএনপি তাণ্ডব চালিয়েছে। তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য রাস্তায় সৃষ্ট যানজটের কারণে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন