মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

শেরপুরে বিস্ফোরক উদ্ধারের মূল আসামী আবুল কাশেম গ্রেফতার, ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

শেরপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০১৭, ৫:৫৩ পিএম

শেরপুরের পুলিশ নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা বাজারে জঙ্গিদের একটি গোডাউনে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্যের মালামাল উদ্ধারের ঘটনার মূল নায়ক, প্রধান আসামী ও জেএমবির নব্য সদস্য আবুল কাশেম ওরফে আবু মোসাবকে গ্রেফতার করেছে। ২৩ অক্টোবর বিকেলে কাশেমকে পুলিশ আদালতে প্রেরণ করে। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে।

চাপাই নবাবগঞ্জ থেকে কাশেমের সহযোগীদের সাথে দেখা করে ঢাকায় ফেরার পথে পুলিশ হেড কোয়ার্টারের প্রযুক্তিগত সহায়তায় শেরপুরের পুলিশের একটি বিশেষ দল টাঙ্গাইলের কালিহাতিতে অভিযান চালিয়ে আবুল কাশেম ওরফে আবু মোসাবকে গ্রেফতার করে। ২২ অক্টোবর রাত ৯টার সময় এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মি: রফিকুল হাসান গনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

এর আগে শেরপুরের পুলিশ গত ৫ অক্টোবর রাতে নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা বাজারে জঙ্গিদের একটি গোডাউনে অভিযান চালিয়ে ২০০ লিটার নাইট্রিক এসিড, ১৬০ লিটার হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড, ৬৫ লিটার সালফিউরিক এসিড + টেট্রা হাইড্রো ফোরান, ১০০ লিটার ক্লোরোফুম+ ডাইক্লোমেথিন, ৩৫ লিটার ডাইক্লোমিথেন, ৩৫ লিটার ক্লোরোফুম সহ মোট ৫৯০ লিটার বিস্ফোরক উদ্ধার করে। এসব বিস্ফোরক মালামাল ১৮টি কন্টেনারে ভর্তি ছিল। উদ্ধারকৃত মালামাল দিয়ে শক্তিশালী বোমা তৈরি করে যে কোন বড় ধরনের নাশকতা চালানো সম্ভব।

এ ঘটনার পর থেকেই জঙ্গিদের গোডাউনের মূল হোতা কাশেম পলাতক ছিল।

পুলিশ জানায় ওই গোডাউনটি কাশেম সাব ভাড়া নেয়ার পর গত মার্চ মাসে জেএমবির নেতারা একটি মিনি ট্রাক যোগে মালামালগুলি ওই গোডাউনে রেখে। এরপর তারা শেরপুরে পূজা ও ঈদে একটি বড় ধরনের নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু পুলিশের বিশেষ নজরদারীর কারণে তা সম্ভব হতে পারেনি।

এর আগেই এ ঘটনায় নকলা থানায় মামলা হওয়ার পর বাড়ীর মালিক মিনারা বেগম ও অপর আসামী ফয়েজ উদ্দিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার মো. রফিকুল হাসান গনি ছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম, শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খান আব্দুল হালিম প্রমুখ।

সবশেষে খবরে জানা যায়, অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মি. মমিনুল ইসলামের আদালতে হাজির হরে ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করার পর আদালত আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে ৫দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন