সিলেটের সীমান্তবর্তী জকিগঞ্জে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৯ এর অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ এ যুবককে আটক করা হয়েছে। আটককৃত যুবক হচ্ছেন জকিগঞ্জের বারোঠাকুরি ইউনিয়নের মৃত জোবেদ আলীর ছেলে আব্দুল মান্নান(৩৮)।
গত শনিবার (২৭ অক্টোবর) দিনগত রাত ১১ টার দিকে র্যাব-৯ এর সিনিয়র এএসপি পিযুষ চন্দ্র দাস এর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। র্যাব-৯ সিনিয়র এএসপি ও মিডিয়া অফিসার মাঈন উদ্দিন চৌধুরীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা এ বিষয়ে রবিবার দুপুরে র্যাব-৯ দফতরে একটি সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জকিগঞ্জ থানাধীন কোনাগ্রাম সাকিনস্থ বাবুরখাল পুল জাবির স্টোরের সামনে কতিপয় দুষ্কৃতিকারী বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্য মজুদ পূর্বক অবস্থান করছে। র্যাবের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা দৌড়ে পালানোর প্রাক্কালে যুবক আব্দুল মান্নাকে আটক করা হয়।
এসময় তার নিকট হতে ৫ টি নীল রংয়ের পলি ব্যাগ ভর্তি খাকী কাগজের মোড়ানো ১০০ (একশত) পিস হাই এক্সপ্লোসিভ পাওয়ার জেল এবং সাদা তার সহ ইলেকট্রিক ডেটোনেটর ১০০ (একশত) পিস উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, বিস্ফোরক দ্রব্যগুলো অতি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এবং উচ্চ মান সম্পন্ন বিস্ফোরক পদার্থ, যার ১০টি দ্বারা একটি ২/৩ তলা স্থাপনা পুরোপুরি গুড়িয়ে দেওয়া সম্ভব।
আটককৃত ব্যক্তি র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, বিস্ফোরকগুলো মূলত সীমান্তবর্তী এলাকার কয়লা খনি সমূহে ব্যবহৃত হয় এবং এই বিস্ফোরক চালান আসাম ও মেঘালয় রাজ্যের বিভিন্ন কয়লা খনিতে কর্মরত কিছু অসাধু কর্মচারীর মাধ্যমে বিভিন্ন মাধ্যম হয়ে দূর্গম এলাকার ভিতর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব কর্মকর্তারা বলেন, একই জাতীয় বিস্ফোরকসমূহ পূর্বে আটককৃত জঙ্গীদের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত বিস্ফোরকের সাথে মিল রয়েছে, যাতে প্রতিয়মান হয় এই বিস্ফোরক দ্রব্য সমূহ জঙ্গী কার্যক্রমে ব্যবহার হতে পারে। অভিযানের সময় অপর ৪/৫ জনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে এবং তাদের আটকের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন