উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলা ধ্বংসের প্রান্তে চলে এসেছে। সরকারের নির্লিপ্ততায় এখানকার সঙ্কট আরো বাড়বে। কুড়িগ্রামে এক ধরণের দুর্ভিক্ষ পীড়িত বা মঙ্গা অবস্থা বিরাজ করছে। এবারের প্রবল বন্যায় এর মাত্রা আরো বেড়েছে। সরকার এসব মোকাবেলা ও এই অঞ্চলের উন্নয়নে ব্যর্থ হয়েছে। এই এলাকার ক্ষুধা পীড়িত দরিদ্র অসহায় মানুষের কর্মসংস্থান ও আহারের বিষয়টি সরকারের দেখবে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে কুড়িগ্রাম শহরের সরদারপাড়াস্থ নিজস্ব বাসভবণে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
তিনি ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে তিনি আরও জানান, ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ে স্বয়ং নির্বাহী বিভাগ ও তার প্রধান ক্ষুব্ধ হয়েছেন। ক্রুদ্ধ হয়ে তখন থেকেই বিচার বিভাগের উপর গুন্ডামী শুরু করেছে। দেশের গণতন্ত্রের নূন্যতম অস্তিত্বটুকুও নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে প্রথমে জোড় করে ছুটি নিতে বাধ্য করেছে এবং গুন্ডামী করে সরকার প্রধান বিচারপতিকে অবসরে যেতে বাধ্য করে। এই সরকার নির্দয়, নিষ্ঠুর ও ফ্যাসিবাদি সরকার। এখানে একজনের স্বাধীনতা অবাধ। তিনি রাস্ট্রের প্রত্যেকটি অঙ্গের উপরে সর্বপ্রধান হিসেবে কাজ করতে চান।
আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনে যাবো, তবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে। শেখ হাসিনার অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবেও না, নির্বাচন করতেও দিবে না। দেশের জনগণকে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে। কেননা বর্তমান সরকার ভোটার বিহিন সরকার। তারা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না। তার আমলে নির্বাচন মানেই শেখ হাসিনা নির্বাচন বা ফেরী মার্কা নির্বাচন। রাত ৩টার সময় ব্যালট বাক্স পুরণ হয়ে যাবে। আর রাজনৈতিক বিরোধী প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারবেনা।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রানা, সহ-সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান, যুগ্ম সম্পাদক সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক নুর ইসলাম নুরু, জেলা মহিলা দলের আহবায়ক এড. রেহেনা খানম বিউটি, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নাদিম আহমেদ, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর বিপ্লব প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন