রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ফিরে দেখা স্বাধীনতার মাস

প্রকাশের সময় : ২২ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ফারুক হোসাইন : ১৯৭১-এর ২২ মার্চ ছিল সোমবার। বঙ্গবন্ধুর ডাকে পূর্বঘোষিতভাবেই সারাদেশে চলছিলো লাগাতার অসহযোগ আন্দোলন। স্বাধিকার তথা স্বাধীনতার দাবিতে বিক্ষুব্ধ মানুষ মার্চ মাস জুড়েই সভা, সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে তাদের দাবির কথা তুলে ধরে। আজকের এই দিনেও একই দাবিতে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত হয় সভা, শোভাযাত্রা, সমাবেশ। ৭ মার্চে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পর পরিপূর্ণ স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হতে থাকে বাঙালি জাতি। আজ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অসংখ্য মিছিলে রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। এদিনেও সরকারী বেসরকারী বাসভবন এবং যানবাহনসমূহে যথারীতি কালো পতাকা উত্তোলিত ছিল। যে সকল অফিস খোলা রাখার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নির্দেশ দিয়েছিলেন সেগুলো ছাড়া আর সব সরকারী-আধাসরকারী, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠানসমূহে অসহযোগ কর্মসূচী শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে পালিত হয়। এ রকম বিক্ষুব্ধ পরিস্থিতির মধ্যে সকাল সাড়ে ১১টায় প্রেসিডেন্ট ভবনে বঙ্গবন্ধু, ইয়াহিয়া ও ভুট্টোর সঙ্গে আলোচনায় মিলিত হন। প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা স্থায়ী হয় এই বৈঠক। বৈঠক শেষে জুলফিকার আলী ভুট্টো তাড়াহুড়ো করে হোটেল কন্টিনেন্টালে আহূত এক সংবাদ সম্মেলনের ডাক দেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ভবনে শেখ মুজিব, ইয়াহিয়া ও আমার মধ্যে এক ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছে। শেখ মুজিবের সঙ্গে তিনি আরও ফলপ্রসূ ও সন্তোষজনক আলোচনা করায় আগ্রহী বলে জানান। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এদিন সকালে ২৫ মার্চ ঢাকায় অনুষ্ঠেয় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন। এদিকে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আজকের ঢাকার প্রতিটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বাংলাদেশের মুক্তি নামে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হয়। বঙ্গবন্ধু এক লিখিত বাণীতে বলেন, লক্ষ্য অর্জনের জন্য যে কোন ত্যাগ স্বীকারে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে হবে- প্রতিরোধের দুর্গ। আমাদের দাবি ন্যায়সঙ্গত। তাই সাফল্য আমাদের সুনিশ্চিত। জয় বাংলা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন