রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ফিরে দেখা স্বাধীনতার মাস

প্রকাশের সময় : ২৫ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ফারুক হোসাইন : উত্তাল মার্চের ২৫ তারিখেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের দীর্ঘ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ছিল বৃহস্পতিবার। মার্চের শুরু থেকেই স্বাধীনতা ও স্বাধিকার রক্ষার লক্ষ্যে লাগাতার আন্দোলন অব্যাহত ছিল। বঙ্গবন্ধুর ডাকে চলতে থাকে অসহযোগ আন্দোলন। লাগাতার চলা অসহযোগ আন্দোলনের ২৪তম দিন ছিল ২৫ মার্চ। অন্যান্য দিনের মতো এদিনও ভোর থেকেই অসংখ্য মিছিল সারা শহর প্রদক্ষিণ করতে থাকে। তবে অন্যান্য দিনের মিছিলগুলোর চেয়ে আজকের মিছিলটি ছিল কিছুটা ভিন্ন। মিছিলকারী সকলের হাতেই ছিল নানারকম দেশি অস্ত্র। মূলত গতকাল থেকেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল যে, আজ কিছু একটা ঘটবে। ২৫ মার্চে ডাকা জাতীয় পরিষদের অধিবেশন পুনরায় স্থগিত করার মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া এবং ভুট্টো এই দিনটিতেই বাঙালি নিধনে অপারেশন সার্চলাইট প্রণয়ন করে রেখেছিল। এদিন দুপুর ১২টায় প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া তার দলবলসহ ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে চলে যান। পশ্চিম পাকিস্তান থেকে ঢাকায় আলোচনা করতে আসা সব রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দও ঢাক ত্যাগ করেন। কয়েকদিন ধরে কয়েক পর্বে চলতে থাকা আলোচনা অবশেষে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়ে যায়। আলোচনা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। আর সব সম্ভাবনাকে নস্যাৎ করে দিয়ে এবং গণহত্যার নীলনকশা ক্যান্টনমেন্টে সেরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া করাচির উদ্দেশে যাত্রা করেন। তার সাথে সাথে তার উপদেষ্টারাও ঢাকা ত্যাগ করেন। এর ফলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি সঙ্কটাবস্থা ধারণ করে। থমথমে হয়ে যায় পূর্ববাংলা। আর এদিনই রাত সাড়ে ১১টার পর নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সশস্ত্র পাক হানাদার বাহিনী। গণহত্যা চালায় সারা দেশে। এই হত্যাকাÐে দেশ একটা মৃত্যুপুরীতে রূপান্তরিত হয়। আর এর মাধ্যমেই শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক যাত্রা। দীর্ঘ ৯ মাস চলার পর ১৬ ডিসেম্বর লাল-সবুজের স্বাধীন বাংলার পতাকা ছিনিয়ে আনে বীর বাঙালিরা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন