রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

মওলানা ভাসানীর ১৩৭তম জন্মবার্ষিকী আজ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৩৭তম জন্মবার্ষিকী আজ। তিনি ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। মওলানা ভাসানীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্য রয়েছে ভাসানীর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা ও কবিতাপাঠ। মওলানা ভাসানীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ তাঁর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ-ভাসানী)।
মওলানা ভাসানী ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের অন্যতম তৃণমূল রাজনীতিবিদ ও গণ-আন্দোলনের নায়ক, যিনি জীবদ্দশায় ১৯৪৭-এ সৃষ্ট পাকিস্তান ও ১৯৭১-এ প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি বাংলাদেশের মানুষের কাছে ‘মজলুম জননেতা’ হিসেবেই বেশি পরিচিত। তিনি রাজনৈতিক জীবনের বেশির ভাগ সময় মাওপন্থি কমিউনিস্ট তথা বামধারা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার অনুসারীদের অনেকে এ জন্য তাকে ‘লাল মওলানা’ নামেও ডাকতেন। তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী নেতা এবং পঞ্চাশের দশকেই নিশ্চিত হয়েছিলেন যে পাকিস্তানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ একটি অচল রাষ্ট্রকাঠামো। ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দের কাগমারী সম্মেলনে তিনি পাকিস্তানের পশ্চিমা শাসকদের ওয়ালাইকুমুসসালাম বলে সর্বপ্রথম পূর্ব পাকিস্তানের বিচ্ছিন্নতার ইঙ্গিত দেন।
মওলানা ভাসানী সারাটা জীবন কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য ব্যয় করেছেন। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের জীবনে কখনো কোথাও মাথা নত করেননি। আপসহীন থেকেছেন নিজের আদর্শের প্রতি। জাতীয়তাবাদী চেতনাকে ধারণ করে মেহনতি মানুষের মুক্তির সংগ্রামে ছিলেন অবিচল। শুধু ব্রিটিশ নয়, পাকিস্তান স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে তিনি জীবনপণ লড়াই চালিয়েছেন। এই সকল লড়াই-সংগ্রামের জন্য জেল, জুলুম, হুলিয়াসহ নানা নির্যাতনের শিকার হন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে তার অবদান অবিস্মরণীয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন