বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

ট্রাম্পের ঘোষণা বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না

| প্রকাশের সময় : ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বীকৃতির প্রতিবাদে ইন্তিফাদা বা সর্বাত্মক প্রতিরোধ পালন করছেন ফিলিস্তিনিরা। ইন্তিফাদার নবম দিন ছিল গতকাল। ৬ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে ট্রাম্পের ওই ঘোষণার পর দুনিয়াজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠে। ৮ ডিসেম্বর থেকে তৃতীয় ইন্তিফাদার ডাক দেয় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইন্তিফাদার অষ্টম দিনে গত শুক্রবার ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৩৪০ ফিলিস্তিনি। এ নিয়ে ট্রাম্পের ওই ঘোষণার পর ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে আটজনে দাঁড়িয়েছে। এদিকে, ইসরাইলি সেনাদের বর্বরোচিত হামলায় অন্তত চার ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পর তেল আবিবের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। সংগঠনটি গত শুক্রবার রাতে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরাইলি সেনাদের হামলায় ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের নিহতের ঘটনায় আরেকবার প্রমাণিত হয়েছে ইহুদিবাদী ইসরাইল একটি অপরাধী সরকার। হামাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জেরুজালেমকে কেন্দ্র করে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীরা জানিয়ে দিয়েছেন, তারা কখনোই ট্রাম্পের ঘোষণাকে বাস্তবায়িত হতে দেবে না বরং নিজেদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার আদায় করে ছাড়বে। শুক্রবার অধিকৃত জর্দান নদীর পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকা ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে। ফিলিস্তিনের জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত ঘোষণার প্রতিবাদে এসব বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হছ। ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনারা পাশবিক কায়দায় এসব বিক্ষোভ দমন করে। তাদের গুলিতে অন্তত চার ফিলিস্তিনি নিহত এবং অপর ৩৬৭ জন আহত হন। ট্রাম্পের ঘোষণার পরপরই জেরুজালেম, গাজা উপত্যকা, পশ্চিম তীরের রামাল্লা, হেবরন, বেথলেহেম, নাবলুস, কালকিলিয়া, তুলকার্ম ও জেনিনের রাস্তায় নেমে আসেন মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিরা। বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলে পড়ে ইসরাইলি বাহিনী। হতাহত হন বহু বিক্ষোভকারী। তারপরও দমে যাননি মুক্তিকামী মানুষেরা। প্রতিবাদ বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন তারা। ট্রাম্প আর নেতানিয়াহু’র ছবি পুড়িয়ে, আমেরিকা-ইসরাইলের পতাকা জ্বালিয়ে দিয়ে শ্লোগান তুলছেন, ফিলিস্তিনিদের রাজধানী নির্ধারণের অধিকার আমেরিকাকে কেউ দেয়নি। আর হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, ইসরাইল নামে কোনও দেশ নেই। তাই এর কোনও রাজধানীও থাকতে পারে না। ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধ সংগ্রামের বিপরীতে তাদের ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি বাহিনী। শুক্রবার ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে নিহত ফিলিস্তিনিরা হচ্ছেন গাজা উপত্যকার ইয়াসির সকার (৩২), ইব্রাহিম আবু থুরাইয়া (২৯), পশ্চিম তীরের রামাল্লার মোহাম্মদ আমিন আকেল (২২) এবং পূর্ব জেরুজালেমের বাসেল ইব্রাহিম। গাজায় আহতদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কাদরা এক বিবৃতিতে ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করেছেন।পূর্ব জেরুজালেমের উত্তরে আনাতা গ্রামে সংঘর্ষ চলাকালে ইসরাইলি বাহিনীর ছোড়া গুলি বুকে বিদ্ধ হলে ইব্রাহিম আবু থুরাইয়া নিহত হন। অন্যরাও ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় একই পরিণতি বরণ করেন। ইন্তিফাদা বা প্রতিরোধ আন্দোলনের অংশ হিসেবে শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিক্ষোভে অংশ নেন ফিলিস্তিনিরা। এ সময় ইসরাইলি বাহিনী বাধা দিলে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বিবিসি, রয়টার্স, এএফপি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন