বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

ফিলিস্তিনি সেনাবাহিনী গঠনের আহবান : জেরুজালেম ইসলামি-খ্রিস্টীয় কাউন্সিলের

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:২২ এএম

ফিলিস্তিনি যুবকদের সামরিক কর্মকাÐে যুক্ত করে ফিলিস্তিনি সেনাবাহিনী গঠনের জন্য ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ও ফিলিস্তিনি মুক্তি আন্দোলনের সংগঠন হামাসের প্রতি আহŸান জানিয়েছে জেরুজালেমে ইসলামি-খ্রিস্টীয় কাউন্সিল। গাজা উপত্যকায় ইসলামি জিহাদ আন্দোলন আয়োজিত একটি জাতীয় সম্মেলনে জেরুজালেম ইসলামি-খ্রিস্টীয় কাউন্সিলের সদস্য ফাদার ম্যানুয়েল মোসাল্লাম এ আহŸান জানান। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডলইস্ট মনিটর এসব তথ্য জানিয়েছে।
মোসাল্লাম বলেন, ‘জেরুজালেম ফিলিস্তিনিদের চিরন্তন মাতৃভূমি ও রাজধানী।’ তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বৈধতা, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব ও অসলো চুক্তি ভঙ্গ করে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি বিশ্বকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলেছে।’ ‘য্ক্তুরাষ্ট্র এসব প্রস্তাব ও আন্তর্জাতিক চুক্তিকে পদদলিত করেছে’ উল্লেখ করে তিনি এর নিন্দা জানান। দুই রাষ্ট্র গঠনের মাধ্যমে সংকট সমাধানের বিষয়টি উল্লেখ করে মোসাল্লাম বলেন, ‘এই প্রকল্প অনেক দিন আগের নেওয়া। ফিলিস্তিনিরা আর কাউকে বিশ্বাস করে না। তারা তাদের অস্ত্র, প্রতিরোধ ও রক্তের উপর বিশ্বাস করে।’
‘আল আকসা মসজিদ ইসলামি বিশ্বাসের অংশ’ উল্লেখ করেন ফাদার ম্যানুয়েল মোসাল্লাম। সে সময় ‘আল আকসাকে মুক্ত করতে সহায়তার জন্য’ মুসলিম দেশগুলোকে ফিলিস্তিনিদের অস্ত্র সরবরাহ করার আহŸান জানান তিনি।
ফিলিস্তিনের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণই নীতিনির্ধারক। একমাত্র সমাধান হলো প্রতিরোধ ও গণআন্দোলন।’
উল্লেখ্য, ইসরাইল-ফিলিস্তিনি সংকটের সবচেয়ে স্পর্শকাতর বিষয় হলো জেরুজালেম। ১৯৮০ সালে জেরুজালেমকে রাজধানী ঘোষণা করেছিল ইসরাইল। তবে আন্তর্জাতিক স¤প্রদায় এর সমর্থন দেয়নি। আর ফিলিস্তিনিরা চায় দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেম যেন তাদের রাজধানী হয়। এ কারণে সেখানে কোনও দেশ দূতাবাস স্থাপন করেনি। সবগুলো দূতাবাসই তেল আবিবে অবস্থিত। মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন নীতির বাইরে গিয়ে গত ৬ ডিসেম্বর জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর থেকেই বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে। আর ফিলিস্তিনে শুরু হয়েছে তীব্র বিক্ষোভ।
ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম ও গাজা উপত্যকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হচ্ছে ইসরাইলি বাহিনীর। এরপরও প্রতিদিনই বিক্ষোভ হচ্ছে। ইসরাইলি বাহিনীর হামলার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনিরা ইন্তিফাদার অন্যতম হাতিয়ার পাথর আর গুলতি নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছে। সশস্ত্র সংগ্রামের প্রস্তুতি নিচ্ছে ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের সংগঠন হামাস।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
আবু নোমান ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৭, ২:১৭ এএম says : 0
ইসলামি-খ্রিস্টীয় কাউন্সিলের সাথে আমিও একমত
Total Reply(0)
মোঃ মুসা আকন ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১:১৪ পিএম says : 0
হতাশ হবার কারন নাই সমায় আসবে অমুসলিমদের ধংশো হবার
Total Reply(0)
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৭, ২:২৩ পিএম says : 0
এইরাকোম একটা পদোকখেফ আগেই নেয়া উচিত ছিলো|
Total Reply(0)
Jafor ৯ মে, ২০১৮, ১১:৩১ পিএম says : 0
America ato kharap keno
Total Reply(0)
mokhlesur rahaman ২৬ অক্টোবর, ২০১৯, ১১:১২ পিএম says : 0
ফিলিস্তিনী সেনাবাহিনী গঠন জরুরি
Total Reply(0)
রুহুল ২১ মে, ২০২১, ১১:৪৮ পিএম says : 0
সেনাবাহিনী গঠন জরুরী।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন