বিশেষ সংবাদদাতা : চার মাস আগে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে নিখোঁজ বিএনপি নেতা ব্যবসায়ী সৈয়দ সাদাত আহমেদকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রামপুরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. ইউসুফ আলী জানিয়েছেন। পরে গতকাল রমনা থানার নাশকতার মামলায় তাকে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল তাকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই সাইফুল ইসলাম। এ সময় তার আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। ঢাকা মহানগর হাকিম প্রণব কুমার হুই জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ৩ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে রমনা থানায় নাশকতার (জ্বালাও-পোড়াও) একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। ব্যবসায়িক গ্রুপ এবিএন-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাদাত আহমেদ চট্টগ্রাম দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি। বিএনপির বিগত কমিটিতে নির্বাহী সদস্য ছিলেন তিনি। সাদাতকে গত ২২ আগস্ট কয়েকজন তুলে নিয়ে যায় বলে তার স্বজনরা জানিয়েছিলেন। সাদাতকে তুলে নেয়ার পর তার বাবা অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল সৈয়দ শাহাবুদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ওই দিন বিকেলে ছেলে মেহেদি জামান ও বাসার কেয়ারটেকারকে গাড়িতে নিয়ে বেরিয়েছিলেন সাদাত আহমেদ। বনানী ফ্লাইওভারের নিচে একটি মাইক্রোবাস তাদের পথরোধ করে এবং মাইক্রোবাস থেকে কয়েকজন এসে সাদাতকে জোর করে নামিয়ে তাদের গাড়িতে তুলে নেয়। এরপর ওই মাইক্রোবাসের একজন এসে সাদাতের গাড়ির চালকের আসনে বসেন। দুটি গাড়িই কুড়িল বিশ্বরোডের তিনশ’ ফুট রাস্তা দিয়ে পূর্বাচলে গিয়ে থামে। সাদাতের গাড়িতে ওই সময়ও তার ছেলে মেহেদি ও কেয়ারটেকার ছিল। পূর্বাচলে সাদাতের গাড়ি থেকে ওই ব্যক্তি নেমে যান। সাদাত ১৫ মিনিট পর ফিরে আসবেন বলে তার ছেলেকে বলে যান তিনি। পরে ওই মাইক্রোবাস নারায়ণগঞ্জের দিকে চলে যায় বলে নাতির বরাত দিয়ে জানিয়েছিলেন শাহাবুদ্দিন আহমেদ। ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে ২৭৫/জি নম্বর ভবন কনকর্ড রয়েল কোর্টের চতুর্থ তলায় এবিএন গ্রুপের করপোরেট কার্যালয়। পরে তাকে না পেয়ে থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন তার স্ত্রী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন