শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

মার্কিন-ইহুদী অনধিকার চর্চা গ্রহণযোগ্য নয় : এরদোগান

| প্রকাশের সময় : ৭ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

মুসলিম দেশগুলোকে একে অপরের বিরুদ্ধে টার্গেট করানো হচ্ছে
ইনকিলাব ডেস্ক : ইরান, পাকিস্তান তথা মুসলিম বিশ্বকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল অনধিকার চর্চা করছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। তিনি বলেন, মুসলিম রাষ্ট্র ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া, তিউনিসিয়া, সুদান এবং শাদেও একই রকমের হস্তক্ষেপ দেখা গেছে। ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় সফর শুরুর আগে গত শুক্রবার ইস্তাম্বুলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এরদোগান বলেন, ইরান ও পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাচ্ছে তারা। বিভিন্ন দেশের জনগণকে পরস্পরের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে। এসব আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু সাংবাদিকদের বলেছেন, ইসরাইল ও আমেরিকার মদদেই ইরানে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটছে। এই অস্থিরতার পেছনে দুইজন ব্যক্তি রয়েছেন। তাদের একজন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। অন্যজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তুরস্ক সবসময়ই এ ধরনের বহিরাগত হস্তক্ষেপের বিরোধী। পশ্চিমা ষড়যন্ত্রের মুখে থাকা প্রতিবেশী ইরান ও পাকিস্তানের পাক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। দেশ দুটির সরকার ও স্থিতিশীলতার প্রতি তিনি সমর্থন জানান তিনি। ইরানের সা¤প্রতিক বিক্ষোভ ও বিচ্ছিন্ন কিছু সহিংসতার প্রতিক্রিয়ায় দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিকে ফোন করে এরদোগান বলেছেন, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা তার দেশের কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ইরানের নিরাপত্তাকে তুরস্ক নিজের নিরাপত্তা মনে করে। সা¤প্রতিক বিক্ষোভ নিয়ে পশ্চিমা কিছু গণমাধ্যমের খবর এবং আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইলের কয়েকজন কর্মকর্তার মন্তব্য সম্পর্কে এরদোগান বলেন, পশ্চিমা অপপ্রচার এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর অত্যুক্তি, হস্তক্ষেপমূলক বক্তব্য সম্পর্কে তার দেশ খুব ভালোভাবেই ধারণা রাখে। টেলিফোনালাপে এরদোগান বলেন, ইরানের সঙ্গে ব্যাংকিংসহ সর্বাত্মক সম্পর্ক বাড়াতে তার দেশ আগ্রহী। এছাড়া, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় তেহরান ও আংকারার মধ্যকার সহযোগিতার প্রশংসা করেন তিনি। ফোনালাপে ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি বলেন, তার দেশের জনগণ আইনি কাঠামোর ভেতরে থেকে প্রতিবাদ করার ক্ষেত্রে স্বাধীন। দেশের মানুষের নিরাপত্তা তার সরকারের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তবে যেকোনো রকমের বেআইনি সহিংসতার মুখে সরকার চুপ করে বসে থাকবে না। ফোনালাপে প্রেসিডেন্ট রুহানি রাজনীতি, নিরাপত্তা ও অর্থনীতিসহ নানা ক্ষেত্রে তেহরান এবং আংকারার মধ্যকার সহযোগিতার প্রশংসা করেন। আরটি, এক্সপ্রেস ট্রিবিউন, পার্সটুডে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
শুকুর আলী ৭ জানুয়ারি, ২০১৮, ২:০৮ পিএম says : 2
এরদোগান মুসলিম বিশ্বের নেতা।
Total Reply(0)
সৌরভ ৭ জানুয়ারি, ২০১৮, ২:০৮ পিএম says : 0
এরদোগানকে সালাম জানাই।
Total Reply(0)
সালাম ৭ জানুয়ারি, ২০১৮, ২:০৯ পিএম says : 1
মুসলিম বিশ্ব আপনার অেপেকষায়।
Total Reply(0)
জুয়েল ৭ জানুয়ারি, ২০১৮, ২:০৯ পিএম says : 0
আমি তাকে খুব পছন্দ করি।
Total Reply(0)
ALIM ৭ জানুয়ারি, ২০১৮, ১১:০৫ পিএম says : 0
“ সব নীতিবান দেশের এক হওয়া উচিত ৷অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের জয়,হবে নিশ্চয়ই ৷বিশ্বে ন্যায়ের সূর্য উদিত হবে, সত্যের পতাকা উড়বে মাথা উঁচু করে ৷”
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন