ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রকে রুখতে এবার পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ইরান। একইসঙ্গে মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে বিভেদ তৈরির মার্কিন নীতির বিরুদ্ধে অন্য মুসলিম দেশগুলোকেও ইসলামাবাদের সঙ্গে সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান জানিয়েছে তেহরান। রবিবার তেহরানে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা নাসের খান জানজুয়া›র সঙ্গে বৈঠকের পর এ আহ্বান জানান ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলী শামখানি। সোমবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
আলী শামখানি বলেন, মুসলিম দেশগুলোর বিরুদ্ধে মার্কিন কপটতা, দ্বিচারিতা ও বিদ্বেষী নীতি মোকাবিলা করতে হবে। এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। শুধু পাকিস্তান ও ইরানের মধ্যে নয়; বরং সব মুসলিম দেশের মধ্যেই সহযোগিতা বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসী ভাড়া করে ও অস্ত্র দিয়ে কিছু দেশ সীমান্তকে অনিরাপদ করে তুলবে এবং তেহরান-ইসলামবাদ সম্পর্কে ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে; এমনটা হতে দেওয়া হবে না।
পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা নাসের খান জানজুয়া বলেন, তেহরানের সঙ্গে নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করবে ইসলামাবাদ। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহযোগিতা স্থগিতের ঘোষণার পর আফগানিস্তান সীমান্ত দিয়ে মার্কিন সেনাদের রসদ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে পাকিস্তান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘প্রস্তাবটি নিয়ে কূটনীতিক এবং বেসামরিক ও সামরিক নেতাদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। আমরা শিগগিরই একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাবো। তবে পাকিস্তানি কূটনীতিকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের বিপরীতে এটি একটি ভালো কৌশল। আমাদের হাতে এই অস্ত্র রয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তান থেকে এসব পথ দিয়ে আফগানিস্তানে খাদ্য ও যন্ত্রপাতি আনা নেওয়া করে থাকে। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানকে নিরাপত্তা সহায়তা বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তে পাকিস্তান বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে। আর এরপর থেকে দেশটির বিরোধী দলগুলো সরকারকে এমন উদ্যোগ নিতে চাপ দিয়ে যাচ্ছে। দুই দেশের সম্পর্কে টানাপড়েনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রও পাকিস্তানের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে নজর রাখছে।
সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে পাকিস্তান। এছাড়া পাকিস্তানকে ৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলার সামরিক সহায়তা দেওয়ার ট্রাম্পের দাবি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে দেশটি। ইসলামাবাদ বলছে, তারা নিজ দেশ ও বিশ্বের শান্তি বজায় রাখতে নিজের সম্পদ ব্যবহার করে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াই করে আসছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন