বেসিক ব্যাংকের অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনায় তৎকালীন এমডি কাজী ফখরুল ইসলাম ও ডিএমডি ফজলুস সোবহানের সম্পদ অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশনকে অনুসন্ধান করতে বলা হয়েছে। বুধবার ফজলুস সোবহানকে জামিন দিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান ও সৈয়দ মামুন মাহবুব। আসামিদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে ২০১৫ সালের ২১-২৩ সেপ্টেম্বর ১৫৬ জনকে আসামি করে মতিঝিল, পল্টন ও গুলশান থানায় ৫৬টি মামলা করে দুদক। ১৫৬ আসামির মধ্যে বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা ২৬ জন। বাকি ১৩০ জন আসামি ঋণগ্রহীতা ৫৪ প্রতিষ্ঠানের মালিক ও সার্ভে প্রতিষ্ঠানের। এর মধ্যে ব্যাংকের সাবেক এমডি কাজী ফখরুল ইসলামকে ৪৮টি, ডিএমডি ফজলুস সোবহানকে ৪৭টি, কনক কুমার পুরকায়স্থকে ২৩টি এবং ডিএমডি এ মোনায়েম খানকে ৩৫টি মামলায় আসামি করে দুদক। পরবর্তীতে আরো মামলা হয়। অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান ও সৈয়দ মামুন মাহবুব জানান, আদালত ফজলুস সোবহানকে এক মামলায় জামিন দিয়েছেন, যে মামলায় কম অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে। একই সঙ্গে ফখল ইসলাম এবং ফজলুস সোবহানের সম্পদ অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আসলাম চৌধুরীর জামিন আবেদন খারিজ: দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর জামিন আবেদন খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। একই হাইকোর্ট বেঞ্চ‘উত্থাপিত হয়নি মর্মে’জামিন আবেদন খারিজ করেন। আদালতে আসলাম চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফয়সল মাহমুদ ফয়জী। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট সায়মা চৌধুরী নীরা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোরশেদ। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে এবি ব্যাংকের ঋণ আত্মসাতের অভিযোগে বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী ও এবি ব্যাংকের এমডিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক মানিক লাল দাশ বাদী হয়ে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন