স্টাফ রিপোটার : রাজধানীর গুলশান, বনানী ও ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার সকল অবৈধ স্থাপনা আগামী ১০ মাসের মধ্যে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বুধবার বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন। রাজউকের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রায়ের পর এ বি এম আলতাফ হোসেন বলেন, গুলশান, বনানী ও ধানমন্ডিসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকার আবাসিক প্লট থেকে সব অননুমোদিত বাণিজ্যিক ও অবৈধ স্থাপনা দশ মাসের মধ্যে সরিয়ে নিতে বলেছে আদালত। রিটকারী পক্ষের আরেক আইনজীবী আবদুল কাইয়ুম বলেন, দশ মাসের মধ্যে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মালিকদের আবাসিক এলাকায় বাণিজিক স্থাপনার বিষয়ে রাজউকের অনুমোদন নিতে হবে। সে অনুমোদন নিতে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছে আদালত।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন,আবাসিক এলাকায় অবৈধভাবে হোটেল, দোকাপাটসহ বিভিন্ন ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান তৈরি করে ব্যবসা চালাচ্ছিল সেসব প্রতিষ্ঠান, গত বছর হলি আর্টিজানে হামলার পর রাজউক থেকে তাদের নোটিস দেয়া হয়েছিল।
গত বছর জানুয়ারিতে এসব আবাসিক এলাকার অবৈধ ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয় রাজউক। পরে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরায় সন্ত্রাসী হামলার পর এই উচ্ছেদ অভিযানে গতি পায়। রাজউজক কর্তৃক চিহ্নিত অবৈধ স্থাপনার তালিকায় রয়েছে বার, গেস্টহাউস, বেসরকারি কমিউনিটি সেন্টার, ফিটনেস সেন্টার, স্পা, বিউটি পারলার, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ক্লিনিক, কলেজ, কোচিং সেন্টার, বুটিকের দোকান।
রাজউক ২০০৭ সাল থেকে আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক লাইসেন্স বন্ধ রেখেছে। তবে অভিযোগ রয়েছে এরপরও অনেকে আবাসিক ঠিকানা ব্যবহার করে ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছেন। এ ছাড়া আবাসিক এলাকার কোনো প্লটে কেউ যদি বেসমেন্ট বা ভূতলের গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা বন্ধ রাখেন বা বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করেন, সেগুলোও উচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজউক। রাজউকের উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। সেসব রিটের নিষ্পত্তি করে হাইকোর্ট এই আদেশ দেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন