শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

বিএনপি আর সিপিডি তো একই

আওয়ামী লীগের প্রচার উপকমিটির সভায় তোফায়েল

| প্রকাশের সময় : ১৯ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিতের পর বিএনপি নেতাদের দেয়া বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সেটাও নাকি সরকারের রাজনীতি! তার মানে হাইকোর্টের প্রতি, বিচার ব্যবস্থার প্রতি তাদের কোনো শ্রদ্ধা-ভক্তি নাই। তিনি বলেন, রায় দিল হাইকোর্ট, সুযোগ নিলাম আমরা! এটা কোনো কথা হলো। এই সব বক্তব্যের উত্তর দেয়াটা কোনো ভদ্রলোকের উচিত হবে না। এরা বোঝে না যেকোন বিষয়ে বেশী বলা মানুষের কাছে ভাল লাগে না। কথা কম বলতে হবে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির সমালোচনা করে স¤প্রতি দেয়া বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, সিপিডির বক্তব্য আর বিএনপির বক্তব্যের মধ্যে কোন পার্থক্য নাই। আমাকে এক জন বললেন, সিপিডির সাথে বিএনপির তুলনা করাটা ঠিক হয়নি। পরে আমি তাকে বললাম দেখ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়াটা দেয়ার কথা বিএনপির। কিন্তু সেই বক্তব্যটা দিল সিপিডি। বিএনপি আর সিপিডি তো একই। বিএনপি যে নেগেটিভ কথাগুলো বলে আমাদের বিরুদ্ধে সেই কথা গুলোই সিপিডি বলেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির উদ্যোগে ‘দেশরত্ম শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির নয় বছর’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
বিগত কয়েকটি সিটি নির্বাচনের প্রসঙ্গে টেনে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, রংপুরের নির্বাচনে বিএনপি তৃতীয় হয়েছে, কুমিল্লায় তারা জয় পেয়েও বলছে নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আরো বেশি ভোট পেত। নারায়ণগঞ্জে সূ² কারচুপির অভিযোগ করেছে। আমরা কি হাই কোর্টের সাথে কথা বলেছি, যত্তসব নেগেটিভ কথা তাদের মুখে। রায় দিল হাইকোর্ট, আর সুযোগ নিলাম আমরা, এটা কোন কথা হলো। এই কথার কোন জবাব নেই।
এসময় বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের চিত্র তুল ধরে মন্ত্রী সরকারের চার বছর পূর্তিতে জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পরের দিনই সিপিডির দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করেন।
সেমিনারে প্রচার উপ-কমিটির আহŸায়ক প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম প্রশ্নোত্তর পর্বের জবাব দেন। প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে সরকারের অবস্থান কি; এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রশ্ন ফাঁস বর্তমানে একটা বড় রকমের সমস্যা। দেশ এগিয়ে যাবার সময় এ ধরনের ঘটনা কাম্য নয়। এটা সরকারকে যন্ত্রনা দিয়ে থাকে। এইচটি ইমাম বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের জন্য কোচিং সেন্টার একটা সমস্যা। পাবলিক সার্ভিসের পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস হয় না। অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কিভাবে প্রশ্ন ফাঁস হয়? সবার পাবলিক সার্ভিসেস কমিশনের মত পরীক্ষা নেয়া উচিৎ।
সিপিডি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করছে কেন; এমন প্রশ্নের জবাবে এই উপদেষ্টা বলেন, সিপিডি এখন পলিটিক্যাল ইকোনোমি করছে। তারা অন্য একটি রাজনৈতিক দলের তাবিদারি নিয়ে ব্যস্ত। আসলে যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা। ওদের মূল্য দিলে চলবে না, আমাদের নিজেদের মত করে এগিয়ে যেতে হবে।
সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আবুল বারাকাত, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস এমপি, অর্থনীবিদ ডা. জাহাঙ্গীর আলম, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ প্রমুখ। মুল প্রবন্ধ পাঠ করেন পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলম। পরিচালনা করেন উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
বিপ্লব ১৯ জানুয়ারি, ২০১৮, ৪:১২ এএম says : 1
বিপক্ষে গেলে সব বিএনপি হয়ে যায় !
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন