অর্থনৈতিক রিপোর্টার : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, দেশের ব্যাংকিং খাতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে খেলাপি ঋণ। মোট ঋণের বিপরীতে খেলাপির হার খুব বেশি, যা একটি দেশের জন্য খুবই খারাপ। তবে আশার কথা হচ্ছে, এক সময় মোট ঋণের ৪০ শতাংশই ছিল খেলাপি বর্তমানে তা ৯ থেকে ১১ শতাংশে নেমে এসেছে। আশা করছি আগামীতে আরও কমে আসবে।
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নরওয়ের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ব্যাংকিং সেক্টরে প্রবৃদ্ধি খুব দ্রæত হয়েছে। বর্তমানে ৫৮টি ব্যাংক রয়েছে। ব্যাংকের সংখ্যা বেশি মনে হলেও সমস্যা নেই। বর্তমানে কয়েকটি ছাড়া প্রায় সব ব্যাংকের অবস্থা ভালো। এমনও হতে পারে যেসব ব্যাংকের অবস্থা খারাপ সেগুলোকে অন্য ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করে দেয়া হবে। আগামীতে ব্যাংকিং সেক্টরকে আরও সুশৃঙ্খল করতে অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে।
মুহিত বলেন, এ মুহূর্তে দেশের ব্যাংকিং খাতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে খেলাপি ঋণ। বেসরকারি ব্যাংকের চেয়ে সরকারি ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেশি। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে বেসরকারি ব্যাংকগুলোতেও এখন খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়ছে। এমনও শোনা গেছে, এক ব্যাংকের পরিচালক অন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে খেলাপি হচ্ছে। বিষয়গুলো এতদিন খুব কড়াকড়িভাবে নজর দেয়া হতো না। কিন্তু বর্তমানে এসব বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে আরও নজর দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিদেশিদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করা জন্য বিডা কাজ করছে। আমরা বর্তমানে বিনিয়োগের অগ্রাধিকার খাত হিসেবে চিহ্নিত করেছি বিদ্যুৎ ও অবকাঠামো খাতকে। বিদ্যুৎ ও অবকাঠামোর উন্নয়ন ঘটলে বিদেশি বিনিয়োগ আরও বাড়বে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার পরপর দুই মেয়াদে ক্ষমতায় রয়েছে। ২০০৯ সালে খুব ফেয়ার নির্বাচন হয়েছিল, ২০১৪ সালে ফেয়ার নির্বাচন হয়েছিল কিন্তু সে সময় বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি। ফলে জাতীয় পার্টি বর্তমান সংসদে বিরোধী দল হিসেবে আছে। আগামীতেও যদি জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোটে নির্বাচিত করে তাহলে দেশের উন্নয়নে যেসব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন