শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন কারাগারে

আরো এক কর্মকর্তা পলাতক

| প্রকাশের সময় : ২৪ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : লেকহেড স্কুলের পরিচালক খালেক হাসান মতিন, শিক্ষামন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) মো. মোতালেব হোসেন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চমান সহকারী নাসির উদ্দিনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়ারুল ইসলাম জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই মো. ফিরোজ আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
জামিনের বিরোধিতা করে আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, আসামিরা খুবই প্রভাবশালী। তারা জামিনে মুক্তি পেলে মামলার সাক্ষীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে, চাপ সৃষ্টি করে এবং সাক্ষীদের যে কোনোভাবে প্রভাবিত করে মামলার তদন্তে বিঘœ সৃষ্টি করবে। এজন্য মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিদের জামিন নামঞ্জুরের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে তাদের বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে গত সোমবার রাত ১১টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর বনানী থানায় এ মামলা করেন ডিবির এসআই মনিরুল ইসলাম মৃধা। মামলা নম্বর ৩৬। এছাড়া শিক্ষামন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) মো. মোতালেব হোসেন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চমান সহকারী নাসিরউদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার কর্মকর্তারা এসব কথা জানান। তবে সরকারি কর্মচারীদের ঘুষ লেনদেনের মামলা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সিডিউলভুক্ত হওয়ায় মামলাটির তদন্ত করবে দুদক। গতকাল মামলার নথিপত্র দুদক কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
মোতালেব হোসেনের পক্ষে তার আইনজীবী গাজী শাহ আলম বলেন, মোতালেব কোনো অর্থ লেনদেনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়। মন্ত্রণালয়ের ভাবমর্যাদা নষ্ট করার জন্য সুপরিকল্পিতভাবে তাকে ফাঁসানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। হয়রানি করতে সন্দেহজনকভাবে তাকে মামলায় জড়ানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে পুলিশ রিমান্ড চাইত।
খালেক হাসান মতিনের পক্ষে এহেসানুল হক সমাজী বলেন, মামলাটি মহা ত্রæটিপূর্ণ। প্রসিকিউশনের মামলাটি আইনের দৃষ্টিতে দুর্বল। মিথ্যা অভিযোগে তাকে মামলায় সম্পৃক্ত করা হয়েছে। আর আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন। আসামি অসুস্থ ব্যক্তি। তার চিকিৎসা চলছে। তাকে জামিন দিলে জামিনের অপব্যবহার করবেন না। তাই আমি তার জামিন চাইছি।
নাসির উদ্দিনের পক্ষে কিবরিয়া হাসান বলেন, ১৮ তারিখে তিনি নিখোঁজ হন। বনানী থানায় একটা জিডি করা হয়েছে। ২১ তারিখ পুলিশ তাকে গ্রেফতার দেখিয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করার আইন থাকলেও তাকে হাজির করা হয়নি। আমি তার নিঃশর্ত জামিন চাইছি।
দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জামিনের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, জঙ্গি-সম্পৃক্ততার কারণে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। লেকহেড স্কুল খুলে দেয়ার বিষয়ে ঘুষ লেনদেন হয়েছে। আমি তাদের জামিনের বিরোধিতা করছি।
অন্যদিকে অফিস থেকে ছুটি না নিয়ে, কাউকে না জানিয়ে গত তিন দিন ধরে কর্মস্থলে আসছেন না আবু আলম নামে শিক্ষা মন্ত্রণায়ের আরেক কর্মচারী। তাকেও পুলিশ খোঁচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের ধারণা তিনি পালাতক রয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন