শুধু দেশ ও জনগণের পক্ষে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের মুখপত্র দৈনিক ইনকিলাব এর সম্পাদক আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন সারাদেশ ঘুরে বিভিন্ন সভা-সামাবেশ বলতেন, আলেম ওলামা ও পীর মাশায়েখদের বাংলাদেশ। তারা যা বলেন, মানুষ তা শুনে, বিশ্বাস করে। তাই আলেম ওলামা, পীর-মাশায়েখদের অবহেলা, অবজ্ঞা ও অসম্মান করা যাবে না। তার কথাটি সত্য প্রমাণিত হলো গতকাল শনিবার রাজধানীর সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে উপস্থিত লাখো আলেম ওলামা পীর-মাশায়েখদের উপস্থিতিতে। শুধু তাই নয়, ভিআইপি এ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সু-শৃঙ্খল, নিরবচ্ছিন্ন সফল সমাবেশ সম্পন্ন করে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ছাড়াও আইন শৃংখলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে আশপাশের সাধারণ মানুষ ও ফুটপাতের দোকানদারগণ এ সমাবেশের সফলতার কথা মুখে মুখে বলেছেন। বাংলাদেশের একজন সৎ সাহসী ইসলামী গবেষক, মিডিয়া জগতের অন্যতম ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের (মাদরাসা শিক্ষকদের একক ও বৃহত্তম সংগঠন) সভাপতি আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন-এর আহ্বানে সারা দেশ থেকে আলেম-ওলামা ও পীর-মাশায়েখ নিজ নিজ খরচে এ মহা-সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে দলমত নির্বিশেষে এতো আলেম ও পীর-মাশায়েখের এক সাথে উপস্থিত হওয়ার দৃষ্টান্ত এই প্রথম। এখানে বহুমতের আলেম, পীর-মাশায়েখ উপস্থিত হলেও আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীনের নেতৃত্বে তারা এক অভিন্ন। কারণ একজন সৎ লোভ-লালসাহীন ব্যক্তিত্ব যার কোন চাওয়া-পাওয়া অতীতে কারো কাছে ছিল না, বর্তমনেও নেই। তার সু-নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশের আলেম সমাজ শুধু ঐক্যবদ্ধই নন তারা জঙ্গিবাদ, সমাজবিরোধী, অপরাধ ও দুর্নীতি বিরোধী কর্মকান্ডে সারাদেশের স্ব-স্ব অবস্থানে থেকেই খুৎবা, ওয়াজ মাহফিল, মাদরাসা শিক্ষার পাঠদানে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। গতকাল শনিবার এ মহাসম্মেলন শুধু ইতিহাসের নজীর সৃষ্টি করেনি, বরং সারাদেশের নতুন বার্তা নিয়ে আগামীর বাংলাদেশকে একটি আদর্শ মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে বিশে^র দরবারে পরিচিত করতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। পৃথিবীর ইতিহাসে মুসলমান বৃহত্তম দুটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রতিবছর। তার একটি হল পবিত্র হজ এবং বিশ^ এজতেমা। সে দুটি মহা সম্মেলেনেও কখনো কখনো দ্বিমতের বিষয় উঠে আসে। কিন্তু বাংলাদেশের এ প্রথম একজন সৎ মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সাহসী মানুষ আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন-এর নেতৃত্বে বাংলদেশের আলেম সমাজ ও পীর-মাশায়েখ এক অভিন্ন মতের মধ্যে থেকে আজ ঐক্যবদ্ধ। সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে কয়েক লাখ আলেম ও পীর-মাশায়েখ শান্তি শৃংখলার মধ্যে দিয়ে এ ভিআইপি উদ্যানে উপস্থিত হয়ে সমাবেশ সফল ও সু-সম্পন্ন করে প্রমাণ করলেন সৎ সাহসী ব্যক্তিত্বের নেতৃত্ব থাকলে আল্লাহর সাহায্য পাওয়া যায়। আর তখন সব কাজ সহজ ও শান্তিপূর্ণ হয়। জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের এ মহাসম্মেলন বাংলাদেশের আগামী দিনের রাজনীতি ও জাতীয় নির্বাচনে সৎ নেতৃত্ব সৃষ্টি ও বাংলাদেশের উন্নয়ন সামঞ্জস্য সমন্বয়ে বিশাল ভূমিকা রাখিবে বলে মনে করছেন সমাবেশের আশপাশের সাধারণ মানুষ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন