৭ কর্মী আটক প্রিজন ভ্যান ভাঙচুর
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর হাইকোর্ট এলাকায় পুলিশের সাথে বিএনপির নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় পুলিশ বিএনপির ৭ জন নেতাকর্মী আটক করে। তাদের শাহবাগ থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম জানা যায়নি। বিএনপির কর্মীরা একটি প্রিজন ভ্যোন ভাংচুর করেছে বলে পুলিশ জানায়।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের পর হাইকোর্টের সামনে কদম ফোয়ারার কাছে এই ঘটনা ঘটে। ওই সময় বকশিবাজারের বিশেষ জজ আদালতে দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিয়ে বাসায় ফিরছিলেন বেগম খালেদা জিয়া।
সংঘর্ষের সময় পুলিশের প্রিজন থেকে আটক দুই বিএনপি নেতাকে ছিনিয়ে নিয়েছে দলের নেতাকর্মীরা। এর আগেও বেশ কয়েকবার খালেদা জিয়ার আদালতে যাওয়ার আসার সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। অনেক নেতাকর্মী এ সময় আটকও হয়েছেন। তবে এই প্রথম পুলিশের গাড়ি থেকে দুই নেতাকে বের করে নিল বিএনপি কর্মীরা। প্রিজন থেকে মুক্তি পাওয়া দুই নেতা হলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ওবায়দুল হক নাসির ও সোহাগ মজুমদার। সোহাগ মজুমদারের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান সাংবাদিকদের জানান, ‘প্রিজন ভ্যানে কোনো আসামি ছিলেন না।
জানা গেছে, খালেদা জিয়ার হাজিরাকে কেন্দ্র করে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলসহ দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী কদম ফোয়ারা মোড় ও হাইকোর্টের মাজার এলাকার আশপাশে অবস্থান নেয়।
এসময় পুলিশ তাদের একাধিকবার ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং সেখান থেকে পুলিশ বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ওবায়দুল হক নাসির ও সোহাগ মজুমদার নামে দুই নেতাকে আটক করে। পরে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর হাইকোর্ট মোড় হয়ে ফেরার সময় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা পুলিশের গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর করে নেতাদের ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার পর বিপুল সংখ্যক পুলিশ সেখানে গিয়ে বিএনপির কয়েকজন কর্মীকে আটক করে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা জোনের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া কোর্ট থেকে ফেরার পথে আমরা যথেষ্ট ধৈর্যশীল ছিলাম। আমাদের একটি প্রিজন তারা ভ্যান ভাঙচুর করে। আমাদের কয়েকজন সদস্যও আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জাফর আলী বিশ্বাস বলে হাইকোর্টের আশপাশ থেকে কয়েকজন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে নাসির আছেন কি-না আমি নিশ্চিত না। বাকিদের নাম তিনি জানাতে পারেননি। এ ঘটনায় হাইকোর্ট মাজার গেটের সামনে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
এদিকে রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) নাবিদ কামাল শৈবাল আসামি ছিনিয়ে নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় তারা ভ্যানটি ভাঙচুর করে। ভেতরে কোনো আসামি ছিল না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন